ইরাক রাজতন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{Infobox Former Country |native_name = {{lang|ar|المملكة العراقية}}<br/>''{{transl|ar|al-Mamlakah al-‘Irāqiyyah}}'' |conventional_long_name =...
 
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যা?
৫১ নং লাইন:
[[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় [[রশিদ আলি আল গিলানি|রশিদ আলি আল গিলানির]] নেতৃত্বে [[গোল্ডেন স্কয়ার (ইরাক)|গোল্ডেন স্কয়ার]] অফিসাররা [[১৯৪১ ইরাকি অভ্যুত্থান|অভ্যুত্থানের]] মাধ্যমে রাজার অভিভাবক [[আবদুল্লাহ|আবদুল্লাহর]] শাসন উৎখাত করে। নাৎসিপন্থি ইরাক সরকার ১৯৪১ সালের মে মাসে [[ইঙ্গ-ইরাকি যুদ্ধে]] মিত্রশক্তির কাছে পরাজিত হয়। ইরাক এরপর মিত্রশক্তির ঘাটি হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে। একই সময় কুর্দি নেতা [[মোস্তফা বারজানি]] কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি [[১৯৪৩ বারজানি বিদ্রোহ|বিদ্রোহে]] নেতৃত্ব দেন। এটি ব্যর্থ হলে বারজানি ও তার অনুসারিরা [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]] চলে যান।
 
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ইরাক [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘে]] যোগ দেয় এবং [[আরব লীগ|আরব লীগের]] প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের সাথে সরকারের চুক্তির বিরুদ্ধে বাগদাদজুড়ে [[আল ওয়াসবাহ আন্দোলন]] নামক প্রতিবাদ শুরু হয়। কমিউনিস্টরা এতে সমর্থন দেয়। এতে সমর্থক বাড়তে থাকে। কিন্তু [[আরব লীগ|আরব লীগের]] অন্যান্য সদস্যদের সাথে ইরাকও [[১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ|১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধে]] যোগ দেয়ার পর সামরিক আইন জারি হলে তা বাধাগ্রস্ত হয়।
 
১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারি জর্ডানের বাদশাহ [[হুসাইন বিন তালাল]] ও [[আবদুল্লাহ]] [[মিশর]] ও [[সিরিয়া|সিরিয়ার]] নতুন গঠিত ইউনিয়নের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দুই হাশিমি রাজতন্ত্রের মধ্যে ইউনিয়ন গড়ার প্রস্তাব করেন। এর ফলে সে বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি [[আরব ফেডারেশন]] গঠন করা হয়। একই বছর [[আবদুল করিম কাসেম|আবদুল করিম কাসেমের]] নেতৃত্বে সংঘটিত [[১৪ জুলাই বিপ্লব|অভ্যুত্থানে]] রাজতন্ত্র উৎখাত হলে আরব ফেডারেশনের সমাপ্তি ঘটে।
৮১ নং লাইন:
১৯৪১ সালে [[১৯৪১ ইরাকি অভ্যুত্থান|অভ্যুত্থানের]] মাধ্যমে [[নুরি আস সাইদ]] ক্ষমতাচ্যুত হন এবং [[রশিদ আলি আল গিলানি]] নাৎসিপন্থি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন। আলি রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করেননি। ১৯৩০ সালের চুক্তির অধীনে ব্রিটিশদের প্রাপ্ত সুবিধা সংকীর্ণ করার চেষ্টা চালান। ইরাকের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রতিষ্টিত করার জন্য রশিদ আলি নাৎসি জার্মানি ও ফেসিস্ট ইটালির সাহায্য আবেদন করেন।
 
৩০ এপ্রিল ইরাকের সেনাবাহিনী হাবানিয়াহ বিমান ঘাটির দক্ষিণে নিজেদের স্থাপন করে। কোনো বিমান উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে পারবে না বলে একজন ইরাকি প্রতিনিধি পাঠানো হয়। ব্রিটিশরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং ইরাকি সেনাবাহিনীর এলাকা ত্যাগের দাবি জানায়। আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্রিটিশরা ইরাকি সেনাদের উপর বোমা হামলা শুরু করে এবং [[ইঙ্গ-ইরাকি যুদ্ধ]] শুরু হয়। ১৯৪১ এর ২ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ইরাকি ও ব্রিটিশদের মধ্যে সহিংসতা চলতে থাকে।
 
ইরাকিদের পরাজয়ের পর জুন মাসের ২ তারিখ বাগদাদে ফারহুদ গণহত্যা সংঘটিত হয়। এতে ১৮০ জন ইহুদি মারা যায় এবং ইহুদি সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৮৯ নং লাইন:
 
==প্রজাতন্ত্র ঘোষণা==
১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের হাশিমি রাজতন্ত্র টিকে ছিল। এসময় ইরাকি সেনাবাহিনী পরিচালিত [[১৪ জুলাই বিপ্লব]] বলে পরিচিত অভ্যুত্থানে রাজতন্ত্র উৎখাত করা হয়। বাদশাহ [[দ্বিতীয় ফয়সাল]] ও রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করা হয়। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে [[আবদুল করিম কাসেম]] ক্ষমতায় আসেন। তিনি [[বাগদাদ চুক্তি]] প্রত্যাহার করে নেন এবং [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন।
 
==আরও দেখুন==