চাঁদ সদাগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫ নং লাইন:
এত সুরক্ষা সত্ত্বেও মনসা ঠিক পথ বের করে একটি সাপ পাঠিয়ে লখিন্দরের প্রাণনাশ করেন। সেযুগে প্রথা ছিল, সর্পদংশনে মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তিকে দাহ না করে কলার ভেলায় করে ভাসিয়ে দেওয়া হত। বেহুলা তাঁর মৃত স্বামীর সঙ্গ নেন। সকলেই তাঁকে বারণ করেন। কিন্তু বেহুলা কারোর নিষেধ শোনেন না। ছয় মাস ধরে বেহুলা ভেলায় ভাসতে থাকেন। তিনি গ্রামের পর গ্রাম পেরিয়ে চলেন। লখিন্দরের মৃতদেহে পচন ধরে। গ্রামবাসীরা তাকে উন্মাদ মনে করেন। বেহুলা মনসার কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন। কিন্তু মনসা শুধু ভেলাটিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা ছাড়া কিছুই করেন না।<ref name = "Radice"/>
 
কলার ভেলা ভাসতে ভাসতে মনসার সহচরী নেতার ঘাটে এসে ভিড়ল। সেই ঘাটে কাপড় কাচত নেতা। বেহুলার প্রার্থনা শুনে নেতা ঠিক করেন যে তাঁকে নিয়ে যাবেন মনসার কাছে। নিজের অলৌকিক ক্ষমতাবলে তিনি বেহুলা ও মৃত লখিন্দরকে স্বর্গে উপস্থিত করেন। মনসা বেহুলাকে বলেন, “যদি তোমার শ্বশুরকে দিয়ে আমার পূজা করাতে পারো, তবে তুমি তোমার স্বামীর প্রাণ ফিরে পাবে।” <ref name = "Radice"/>
 
বেহুলা শুধু বলেন, “আমি করবই।” আর তাতেই তাঁর মৃত স্বামীর দেহে প্রাণ সঞ্চারিত হয়। তাঁর পচাগলা দেহের অস্থিমাংস পূর্বাবস্থায় ফিরে আসেন। তিনি চোখ মেলে তাকান এবং বেহুলার দিকে তাকিয়ে হাসেন।<ref name = "Radice"/>
২৬ নং লাইন:
[[চিত্র:BD Mahasthangarh8.JPG|thumb|right|180px|[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[বগুড়া|বগুড়ার]] নিকটবর্তী এই ধ্বংসাবশেষটিকে বেহুলা-লখিন্দরের লৌহবাসর বলে দাবি করা হয়।]]
অনেকে মনে করেন, চম্পক নগর [[অঙ্গদেশ|অঙ্গদেশে]] অবস্থিত ছিল।<ref>{{cite web | url =http://bihula.rediffblogs.com/2005_31_07_bihula_archive.html
| title = Bihula, the legendary lady of Anga/ Ang Desh| accessdate = 2007-12-12 | last = | first = | work = | publisher = rediff.com, 1 August 2005}}</ref> [[মহাস্থানগড়|মহাস্থানগড়ের]] ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং [[বগুড়া]] শহরের ৯ কিলোমিটার উত্তরে বগুড়া-রংপুর সড়ক থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গোকুল মেধ নামে একটি জায়গা রয়েছে। এই জায়গাটির স্থানীয়ভাবে বেহুলার বাসরঘর বা লক্ষ্মীন্দ্রেরলখিন্দরের মেধ নামে পরিচিত। ১৯৩৪-৩৬ সালে এখানে খননকার্যের সময় একটি সারিবদ্ধ অঙ্গনে ১৭২টি আয়তাকার বদ্ধঘরের সন্ধান মিলেছে। এটি খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ অথবা সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত হয়। স্থানীয় লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই স্থানটি বেহুলা ও লখিন্দরের সঙ্গে যুক্ত। মহাস্থানগড়ের চেঙ্গিসপুর গ্রামে ধ্বংসস্তুপের উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে ৭০০ মিটার পশ্চিমে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এটিকে খুল্লনার ঢিপি বলা হয়। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত [[করতোয়া নদী|করতোয়া]] নদী এখন শীর্ণকায়া হলেও অতীতে এই নদী বিশালাকার ছিল বলে জানা যায়।<ref>Hossain, Md. Mosharraf, ''Mahasthan: Anecdote to History'', 2006, pp. 56-65, Dibyaprakash, 38/2 ka Bangla Bazar, Dhaka, ISBN 984 483</ref>
 
বগুড়ার অনেক উত্তরে [[অসম|অসমের]] [[ধুবড়ি জেলা|ধুবড়ি জেলায়]] একটি অঞ্চল আছে। এই অঞ্চলটি মনসার সহচরী নেতার স্মৃতিবিজড়িত বলে মনে করা হয়। [[কলকাতা|কলকাতার]] পার্শ্ববর্তী [[হাওড়া|হাওড়ার]] একটি মন্দিরকে চাঁদ সদাগরের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করা হয়।