অপ্রকৃত বাস্তবতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zarin Shemonty (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Zarin Shemonty (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩ নং লাইন:
 
ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়।তথ্য আদান-প্রদানকারী বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সম্বলিত চশমা, headsets,gloves,suit ইত্যাদি পরিধান করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে বাস্তবকে উপলব্ধি করতে পারে।একটি টিপিক্যাল ভার্চুয়াল রিয়ালিটি তে একজন ব্যবহারকারী স্টেরিওস্কোপিক (Stereoscopic) বা ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সম্বলিত একটি হেলমেট পরে এবং তার মধ্যে দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্যানিমেটেড বা প্রাণবন্ত ছবি দেখে।Telepresence বা কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতে উপস্থিত থাকার ভ্রমণ একটি গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর দ্বারা প্রভাবিত করা হয়।গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর এর মাধ্যমে স্ক্রিন এ প্রদর্শিত ছবির গতিকে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যবহারকারীর গতির সাথে মেলানো হয়।যখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যবহারকারীর গতির পরিবর্তন হয় তখন স্ক্রিন এ প্রদর্শিত দৃশ্যের গতিও পরিবর্তিত হয়।এভাবে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যবহারকারী কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতের সাথে মিশে যায় এবং সেই জগতের একটি অংশে পরিণত হয়।আবার force-feedback সম্বলিত data gloves পরিধান করলে তা স্পর্শের অনুভূতি প্রদান করে এবং এসময় ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ভার্চুয়াল পরিবেশের কোনো বস্তু তুলতে বা ধরতেও তা ব্যবহার করতে পারে।
 
 
প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এর প্রভাব:
বর্তমান জীবনে যদিও ভার্চুয়াল রিয়ালিটি কেবলমাত্র বিকশিত হতে শুরু করেছে ধারণা করা হচ্ছে যে,আগামী প্রাত্যহিক জীবনে এটি প্রচন্ড প্রভাব ফেলবে।ভবিষ্যতে যখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি অনেক বেশি সহজলভ্য হয়ে যাবে তখন তা বিনোদন থেকে শুরু করে যোগাযোগ পর্যন্ত প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে।বিভিন্ন পেশা ও গবেষণায় ভার্চুয়াল রিয়ালিটির প্রয়োগের ফলে সমাজে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক এবং উভয় ধরণের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসাক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রয়োগ করে বিভিন্ন ধরণের ভুল ও ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।যেমন-সিম্যুলেটেড সার্জারির মাধ্যমে নতুন ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব।আবার সিম্যুলেটেড রোগীর উপর নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালানোও সম্ভব।
 
সামরিক বাহিনীয়ে অনেক বছর যাবৎ মিলিটারি প্রশিক্ষণে ফ্লাইট সিম্যুলেটর ব্যবহৃত হয়ে আসছে।ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যবহার করে প্রচলিত ফ্লাইট সিম্যুলেটর এর আরও উন্নতি সাধন করা সম্ভব।এছাড়াও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মাধ্যমে সিম্যুলেটেড ওয়ার দ্বারা সৈন্যদের অনেক বেশি বাস্তব ও উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব।
 
ব্যবসা বাণিজ্যেও ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যবহার করে তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সহজ করা সম্ভব।ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যবহারকারী ফাইল কেবিনেট দিয়ে কম্পিউটার ডেস্কটপে তথ্য খুঁজতে হবেনা।ব্যবহারকারী নিজেই ফাইল ড্রয়ার খুলতে পারবে এবং নিজের হাতে ফাইলগুলো সাজাতে পারবে।
 
ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে।ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সরঞ্জামের চড়া দাম ও জটিলতা হচ্ছে বর্তমানে বিজ্ঞানীদের প্রধান দুটি সমস্যা।যেমন-কখনও কখনও headset- এর গতি ব্যবহারকারীর স্বাভাবিক গতির সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে পারেনা।
 
বর্তমান সমাজের মনুষ্যত্বহীনতা বা ডিহিউম্যানাইজেশন (Dehumanization) ইস্যুটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়ালিটির আরও একটি নেতিবাচক দিক।পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদেরকে মনুষ্যত্ব ধরে রাখতে হবে এবং একই সাথে খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা প্রযুক্তি দ্বারা চালিত না হই।কিন্তু বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী যদি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে তাহলে মানুষের পারস্পারিক ক্রিয়া উল্লেখ্যযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।কারণ মানুষ তখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বাস্তব জীবনের চেয়েও অনেক ভাল এবং মনের মত সঙ্গী পাবে।আর মানুষ যদি এভাবে goggles আর gloves মানুষ ও সমাজের বিকল্প হিসেবে বেছে নেয় তাহলে মানব সমাজ বিলুপ্ত হতে আর বেশি সময় লাগবেনা।