অ্যালান টুরিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪৪ নং লাইন:
'''অ্যালান টুরিং''' ({{lang-en|Alan Turing}}), অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ফেলো অব দ্য রয়েল সোসাইটি ([[২৩শে জুন]], [[১৯১২]]—[[৭ই জুন]], [[১৯৫৪]]) [[যুক্তরাজ্য|ইংরেজ]] গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ। তাকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক মনে করা হয়।
 
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সবচেয়ে মৌলিক দুটি ধারণার সাথে তার নাম জড়িত: টুরিং টেস্ট এবং টিউরিংটুরিং মেশিন। প্রথমটি জড়িত বিতর্কিত [[কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা]] ধারণার সাথে, দ্বিতীয়টি হচ্ছে কম্পিউটারের বিমূর্ত গাণিতিক গঠন। [[কম্পিউটার বিজ্ঞান]] ও প্রকৌশলের প্রধান সম্মামনা তার নামে, "[[টুরিং পুরস্কার|টুরিং পুরস্কারকে]] প্রায়ই কম্পিউটার বিজ্ঞানের [[নোবেল পুরস্কার]] নামে অভিহিত করা হয়।
 
'''''অ্যালান ম্যাথিসন টুরিং''''' একজন অগ্রণী কম্পিউটার প্রকৌশলী, গণিতজ্ঞ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, গোপন সংকেত বিশেষজ্ঞ, গাণিতিক জীববিজ্ঞানী এবং ম্যারাথন দৌড়বিদ ছিলেন। কম্পিউটার প্রকৌশলের বিকাশে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি তাঁর টুরিং মেশিনের ([[Turing machinemachinehttp://en.wikipedia.org/wiki/Turing_machine]]) মাধ্যমে গণনা ([[computation]]) ও অ্যালগোরিদম ([[algorithmalgorithmhttp://en.wikipedia.org/wiki/Algorithm]]) এর ধারণার প্রচলন করেন। টুরিংকে তাত্ত্বিক কম্পিউটার প্রকৌশল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং ব্লেচলি পার্কে ([[bletchly parkparkhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bletchley_Park]]) অবস্থিত ব্রিটেনের গভার্নমেন্ট কোড অ্যান্ড সাইফার স্কুলের ([[government code and cipher schoolschoolhttp://en.wikipedia.org/wiki/Government_Communications_Headquarters#Government_Code_and_Cypher_School_.28GC.26CS.29]]) জন্য কাজ করতেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি জার্মান নৌবাহিনীর গুপ্তসংকেত বিশ্লেষণে নিয়োজিত হাট-৮ ([[hut-88http://en.wikipedia.org/wiki/Hut_8]]) এর নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি জার্মান সাইফার বিশ্লেষণের বেশ কিছু কৌশল আবিষ্কার করেন। তিনি এনিগমা ([[enigmaenigmahttp://en.wikipedia.org/wiki/Enigma_machine]]) মেশিনের বিন্যাস বের করার জন্য তড়িৎযান্ত্রিক ([[electromagnetic]]) যন্ত্র তৈরি করেন। গোপন সংকেত বিশ্লেষণে টিউরিং এর অবদান অ্যাটলান্টিকের যুদ্ধে নাৎসীদের হারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ধারণা করা হয় ব্লেচলি পার্কের অবদানের কারণে ইয়োরোপের যুদ্ধের দৈর্ঘ্য দুই থেকে চার বছর কমে যায়।
 
যুদ্ধের শেষে তিনি ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন যেখানে তিনি এইসের ([[aceacehttp://en.wikipedia.org/wiki/Automatic_Computing_Engine]]) নকশা তৈরি করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ম্যাক্স নিউম্যানের কম্পিউটিং ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন যেখানে তিনি ম্যাঞ্চেস্টার কম্পিউটার তৈরিতে সাহায্য করেন। এসময় তিনি গাণিতিক জীববিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি মর্ফোজেনেসিসের রাসায়নিক ভিত্তির উপর গবেষণাপত্র লিখেন এবং স্পন্দিত রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্বন্ধে ধারণা পোষণ করেন যা প্রথম লক্ষ্য করা হয় ১৯৬০ সালে।
 
১৯৫২ সালে টুরিংকে সমকামিতার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সে সময়ে যুক্তরাজ্যে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হত। জেলে যাওয়া এড়াতে তিনি এস্ট্রোজেন ([[oestrogenoestrogenhttp://en.wikipedia.org/wiki/Estrogen]]) ইঞ্জেকশন গ্রহণ মেনে নেন। টিউরিং ১৯৫৪ সালে তাঁর ৪২তম জম্নদিনের ১৬ দিন আগে মারা যান। ২০০৯ সালে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন টুরিংকে যে ক্ষতিকর চিকিৎসায় বাধ্য করা হয় তার জন্য দাপ্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১৩ সালে রাণী এলিজাবেথ তাঁকে মরণোত্তর ক্ষমা প্রদান করেন।