উইকিপিডিয়া আলোচনা:ব্যবহারকারীর পাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Dasharbarta (আলোচনা | অবদান)
Dasharbarta-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Aftabuzzaman-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
১ নং লাইন:
{{আলাপ পাতা}}
 
== ডাসার থানার নবগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ চলবল গ্রামের মানুষ চরম অবহেলার শিকার। ==
 
মাদারীপুরের ডাসার থানার নবগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ চলবল গ্রামের মানুষ চরম অবহেলার শিকার। শত শত বছর পুরোনো এই গ্রামটির কোন উন্নয়ন নেই। রাতে দেখলে মনে হয় ভুত-প্রেতও বাস করতে সাহস হারিয়ে ফেলে। বর্ষা মৌসুমে এক বাড়ী থেকে অন্য বাড়ীতে যেতে একমাত্র ভরসা নৌকা। রাস্তা-ঘাট নেই বললেই চলে। যাও আছে তার উপর দিয়ে বিভিন্ন শস্য রোপন করায় চলাচলের উপযোগিতা হারিয়ে ফেলেছে।খোজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামটিতে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে ১৯৪২ সালে। এরপর একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে। যার এমপিও ভুক্তি পেয়েছে ২০১০ সালে। দুটি স্কুলই পাশাপাশি। দু’স্কুল মিলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪ শতাধিক। এসকল ছাত্র-ছাত্রীরা বরিশালের আগৈলঝারা উপজেলার শেষ মাথা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেষ মাথা ও ডাসার থানার চলবল গ্রামের বাসিন্দা।বর্ষা মৌসুমে স্কুলটিতে যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন হল নৌকা। যাদের নৌকা আছে তারা স্কুলে আসতে পারে। যাদের নৌকা নেই তারা আসতে পারেনা। অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের পানিতে সাতার কেটে স্কুলে আসতে হয়।এই এলাকার শিক্ষার মান এত ভাল যে যারা কষ্ট করে লেখা-পড়া চালিয়ে যেতে পারে তারা সরকারী চাকুরীসহ বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করে। আর যারা লেখা-পড়া করতে পাড়েনা তারা একেবারেই গ্রামের হতদরিদ্রার মধ্যে বাস করে। সরকারী চাকুরীজীবীরা নিজ এলাকায় খুব কম যাতায়াত করে। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের অবহেলা কখনোই কাটেনি।এদিকে এলাকার মানুষের অভিযোগ, স্বাধীনতার পড়ে কালকিনি-মাদারীপুর সংসদীয় এলাকায় ১০বার এমপি নির্বাচিত হলেও তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন কেউ করতে পারেনি। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের মত একজন মহানুভব, জনদরদী, শিক্ষানুরাগী ও বিশাল ক্ষমতার অধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ২৪ বছর এমপি থেকেও তার ডাসার থানা ইউনিয়নের পাশের ইউনিয়ন হিসেবেও কোন উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। তবে তিনি চলবল উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিও ভুক্তি পাওয়ার কাজ করেছেন।এছাড়া রাস্তা-ঘাটের তেমন কোন উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। তাই এলাকাবাসির দাবী বর্তমান সরকার জেন তাদের এ সমস্যার সমাধান কল্পে একটি বাস্তব ভিত্তিক পদক্ষেপ নেন ।সরকার যেন নবগ্রাম ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে চলবল গ্রামের মানুষের পাশে এসে দাড়ান। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যেন ঠিকমত স্কুলে যেতে পারে তার জন্য কয়েকটি রাস্তা, বিদ্যুৎ ও একটি গভির নলকুপের ব্যবস্থা করেন।রাস্তাগুলোর মধ্যে আগৈলঝারার শেষ মাথার আহতি বার্তা মিলন হালদারের বাড়ী থেকে চলবল উচ্চ বিদ্যালয়, কোটালীপাড়ার শেষ মাথা থেকে স্কুল পর্যন্ত, মিশনবাড়ী থেকে স্কুল ও পান্ডে বাড়ী থেকে দক্ষিন চলবল উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। নবগ্রাম ইউনিয়নের বেশীর ভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন আছে। দুটি স্কুল ও একটি সর্বজনিন মন্দির থাকলেও কোন বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় একটি ডিপ টিউবয়েলের দাবী জানান।মিন্টু জয়ধর, অনিল জয়ধর, কার্তিক পান্ডে, নিখিল চন্দ্র সরকার, বাবুল জয়ধর, বিপ্লব সরকারসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা ছোট কাল থেকে আমাদের গ্রামের অবস্থা একই রকম দেখছি। আমাদের কষ্ট দেখার মত কি কেউ নেই। আমাদের দাবী এ গ্রামটিকে অবহেলা মুক্ত করুন।দক্ষিণ চলবল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজন চন্দ্র হালদার বলেন, স্কুলে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট দেখা যায়না। রাস্তাঘাট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকলকে। একটি গভির নলকুপের দরকার জরুরীভাবে।নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান পুনিল বিহারী সরকার বলেন, আমি এই এলাকার রাস্তা ঘাটের জন্য একাধিকবার লেখা-লেখি করেও কোন ফল পাই নাই।
"ব্যবহারকারীর পাতা" প্রকল্প পাতায় ফিরুন।