আমার বন্ধু রাশেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Moheen (আলোচনা | অবদান)
উইকিতে অন্যান্য চলচ্চিতের নিবন্ধ অনুসারে সাজানো এবং হালনাগাদ করা হল।
২৪ নং লাইন:
| imdb_id = 1918969
}}
'''আমার বন্ধু রাশেদ''' [[২০১১]] সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-04-06/news/54370 বিজয় দিবসে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’]</ref> [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] রচিত [[আমার বন্ধু রাশেদ (উপন্যাস)|একই নামের শিশুতোষ উপন্যাস]] অবলম্বনে [[বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে]] চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন [[মোরশেদুল ইসলাম]]।<ref>[http://glitz.bdnews24.com/details.php?catry=15&showns=634 ‘আমার বন্ধু রাশেদ’]</ref><ref>[http://glitz.bdnews24.com/sobBinodonKhoborDetails.php?bindnewid=2295 শ্যুটিং শুরু ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এর]</ref>
'''আমার বন্ধু রাশেদ''' [[২০১১]] সালে ১ এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-04-06/news/54370 বিজয় দিবসে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’]</ref>। ছবিটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা [[মোরশেদুল ইসলাম]]<ref>[http://glitz.bdnews24.com/details.php?catry=15&showns=634 ‘আমার বন্ধু রাশেদ’]</ref>। সরকারি অনুদানে [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] এর জনপ্রিয় একটি শিশুতোষ উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন তিনি<ref>[http://glitz.bdnews24.com/sobBinodonKhoborDetails.php?bindnewid=2295 শ্যুটিং শুরু ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এর]</ref>। ১৯৭১ সালে মফস্বল শহরের কয়েকজন কিশোর কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তারই কিছু চিত্র ফুঁটে উঠেছে গল্পে। মমন চলচ্চিত্র ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিঃ এর ব্যানারে ছবিটি নির্মাণ করা হযেছে। এর আগে তিনি [[দীপু নাম্বার টু (চলচ্চিত্র)|দীপু নাম্বার টু]] নামে আরও একটি কিশোর চলচ্চিত্র এবং পরে [[২০০৬]] সালে [[খেলাঘর (চলচ্চিত্র)|খেলাঘর: Dollhouse]] নামে একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছে জাওয়াতা আফনান এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রে অভিনয় করেন [[রাইসুল ইসলাম আসাদ]], হোমায়রা হিমু, পারভেজ মুরাদ, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ইনামুল হক, কেরামত মওলা ও ওয়াহিদা মল্লিক জলি সহ শিশুশিল্পীরা হলো জাওয়াতা আফনান, ইবতেশাম চৌধুরী, রিফায়েত জিন্নাত, ফাইয়াজ বিন জিয়া, লিখন রাহি, কাওসার আবেদীন ও কাজী রায়হান সোকাহান<ref>[http://www.samakal.com.bd/details.php?news=21&view=archiev&y=2010&m=04&d=10&action=main&menu_type=&option=single&news_id=58443&pub_no=303&type= চেন্নাইতে 'আমার বন্ধু রাশেদ']</ref>।
 
চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে মমন চলচ্চিত্র ও [[ইমপ্রেস টেলিফিল্ম]]। অভিনয়ে ছিলেন জাওয়াতা আফনান, [[রাইসুল ইসলাম আসাদ]], হোমায়রা হিমু, পারভেজ মুরাদ, [[পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়]], [[ইনামুল হক]], কেরামত মওলা ও [[ওয়াহিদা মল্লিক জলি]] এছাড়াও শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন জাওয়াতা আফনান, ইবতেশাম চৌধুরী, রিফায়েত জিন্নাত, ফাইয়াজ বিন জিয়া, লিখন রাহি, কাওসার আবেদীন ও কাজী রায়হান সোকাহান।<ref>[http://www.samakal.com.bd/details.php?news=21&view=archiev&y=2010&m=04&d=10&action=main&menu_type=&option=single&news_id=58443&pub_no=303&type= চেন্নাইতে 'আমার বন্ধু রাশেদ']</ref>
== কাহিনী সংক্ষেপ ==
১৯৭১ সালে মফস্বল শহরের কয়েকজন কিশোর কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তারই কিছু চিত্র ফুঁটে উঠেছে গল্পে। এর আগে মোরশেদুল ইসলাম কিশোর চলচ্চিত্র ''[[দীপু নাম্বার টু (চলচ্চিত্র)|দীপু নাম্বার টু]]'' (১৯৯৬) এবং ''[[খেলাঘর (চলচ্চিত্র)|খেলাঘর]]'' (২০০৬) নামে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
 
== কাহিনীসংক্ষেপ ==
{{spoiler}}
“আমার''আমার বন্ধু রাশেদ”রাশেদ'' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে বানানো হয়েছে। দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করার ডাকে এক কিশোরের মনও কীভাবে আন্দোলিত হয়েছে- সে চিত্রই ফুটে উঠবে ছবির কাহিনীতে। প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মফস্বলের ছোট একটা শহর। আর চরিত্রগুলো হচ্ছে কয়েকজন স্কুলছাত্র। মূল চরিত্র রাশেদ হঠাৎ স্কুলে হাজির হয়। তার নাম আসলে রাশেদ নয়, স্কুলের শিক্ষক তাঁর ছাত্রদের নিয়ে রাশেদকে এই নামটি দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যায়, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলো যখন ছোট ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনীতিসচেতন রাশেদ তখন ঠিক তার মতো করে সেটা সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছে।
একসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং একদিন এই ছোট শহরেও তারা এসে হাজির হয়। ভয়ংকর এক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়ে থাকে রাশেদ। স্বাধীনতাসংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে সে। সঙ্গে কয়েকজন বন্ধু। সম্মুখযুদ্ধে বন্দী হয়ে যায় তাদের পরিচিত একজন মুক্তিযোদ্ধা। একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে রাশেদ ও তার বন্ধুদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বন্ধু যখন আবার একত্র হয় ছোট্ট শহরটিতে, তারা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের বিচিত্র ছেলেটি আর নেই। কিন্তু রাশেদের স্মৃতি তার বন্ধুদের হূদয়ে বেঁচে থাকে চিরদিন।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/news/142932 ‘আমার বন্ধু রাশেদ---প্রথম আলো’]</ref>
 
== অভিনয়ে ==
== নির্মাণ ইতিহাস ==
প্রায় বছর পনেরো আগে 'আমার বন্ধু রাশেদ' পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম। তখন থেকেই উপন্যাসটি নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরির কথা ভাবছিলেন তিনি। উপন্যাসটি পড়ে এতটা আবেগপ্রবণ হওয়ার মূল কারণ, উপন্যাসের গল্পটি অনেকটাই মিলে যায় তাঁর নিজের জীবনের সঙ্গে। এই উপন্যাসের নায়ক রাশেদ মাত্র এইটে পড়ার সময় ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মোরশেদুল ইসলামও ক্লাস এইটে পড়ছিলেন। ফলে উপন্যাসটি পড়ার সময় নায়কের সঙ্গে নিজের শৈশবকেও কিছুটা মিলিয়ে দেখেন তিনি। রাশেদের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে তিনি নিজেও অনুভব করেন যুদ্ধের উত্তেজনা। মনে মনে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এই উপন্যাসটিকে চলচ্চিত্রে রূপ দেবেন। এরপর পেরিয়ে গেল এক যুগেরও বেশি সময়।
এই গল্পটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা ছিল বেশ জটিল একটি কাজ। এই কঠিন কাজটির জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করতে নির্মাতার সময় লেগেছে বেশ। এতে রয়েছে যুদ্ধের কিছু দৃশ্য। বড় একটি চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে তিনি লিখে ফেলেন খসড়া পাণ্ডুলিপি। ২০০৮ সালে বরকতুল্লাহ মারুফকে সঙ্গে নিয়ে চূড়ান্ত করেন চিত্রনাট্য। সে বছরই সরকারি অনুদানের জন্য পাণ্ডুলিপি জমা দেন। ২০০৯ সালে ছবিটি সরকারি অনুদান লাভ করে। অনুদান পেলেও ছবিটি তৈরি হতে সময় লেগে যায় প্রায় বছর দুয়েক। নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার নেপথ্যে আর্থিক সমস্যাই দায়ী।
২০০৯ সালের জুলাই মাসে দিনাজপুরে শুরু হয় শুটিং। সেখানে ইকবাল হাই স্কুল ও শহরসংলগ্ন এলাকায় ধারণ করা হয় অধিকাংশ দৃশ্য। প্রথম লটের শুটিংয়ের পর অর্থনৈতিক জটিলতায় কিছুদিন থেমেছিল শুটিং। অল্প কিছু দিনের মধ্যে নবোদ্যমে আবারও শুরু হয় শুটিং। দিনাজপুর, মংলা ও ময়মনসিংহে ধারণ করা হয় কিছু যুদ্ধের দৃশ্য। এ ছাড়া আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে ময়মনসিংহ এস কে হাসপাতালে। নির্মাতা জানান, অল্প বাজেটে অধিক কাজ হওয়ায় ছবিটি নির্মাণে বেগ পেতে হয়েছে। ধকলটা শরীরের ওপর দিয়েই গেছে বেশি। শুটিংয়ের সময় সেনাবাহিনী আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। শুটিং শুরুর আগেই পরিচালক সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারে শুটিংয়ে সহায়তা চান। রংপুর ক্যান্টনমেন্টের সহযোগিতা সত্যিই মনে রাখার মতো।
 
ছবির বিশেষত্ব সম্পর্কে মোরশেদুল ইসলাম বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের অংশগ্রহণ নিয়ে রচিত উপন্যাসের সংখ্যা খুবই কম। এ উপন্যাসে বিষয়টি রয়েছে বলেই চলচ্চিত্রায়ণের জন্য এটি বেছে নিয়েছি। এ ছবি দেখে কিশোররা মুক্তিযুদ্ধকে অনুভব করবে এবং অনুপ্রাণিত হবে বলেই আমার ধারণা। আর কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে এটিই প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। সরাসরি বেশ কিছু যুদ্ধের দৃশ্য আছে ছবিতে। বিশ্বাসযোগ্যভাবে দৃশ্যগুলো চিত্রায়ণের চেষ্টা করেছি। অনেকের অভিযোগ, আমার চলচ্চিত্র বরাবরই ধীরগতির। এ ছবিতে আমি এ বিষয়টা মাথায় রেখেছি। আমি মনে করি, এ ছবিটি বেশ গতিশীল।'<ref>[http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=02-02-2011&feature=yes&type=gold&data=Hotel&pub_no=413&cat_id=3&menu_id=78&news_type_id=1&index=9 ‘আমার বন্ধু রাশেদ---কালের কণ্ঠ’]</ref>
 
== শ্রেষ্ঠাংশে ==
* জাওয়াতা আফনান - রাশেদ
* [[রাইসুল ইসলাম আসাদ]] - বড় ইবু
* হোমায়রা হিমু -অরু আপা
* পারভেজ মুরাদ -শফিক ভাই
৫৫ ⟶ ৫২ নং লাইন:
* কাজী রায়হান সোকাহান -
 
== নির্মাণ ইতিহাস ==
== সংগীত ==
প্রায় বছর পনেরো আগে 'আমার বন্ধু রাশেদ' পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম। তখন থেকেই উপন্যাসটি নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরির কথা ভাবছিলেন তিনি। উপন্যাসটি পড়ে এতটা আবেগপ্রবণ হওয়ার মূল কারণ, উপন্যাসের গল্পটি অনেকটাই মিলে যায় তাঁর নিজের জীবনের সঙ্গে। এই উপন্যাসের নায়ক রাশেদ মাত্র এইটে পড়ার সময় ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মোরশেদুল ইসলামও ক্লাস এইটে পড়ছিলেন। ফলে উপন্যাসটি পড়ার সময় নায়কের সঙ্গে নিজের শৈশবকেও কিছুটা মিলিয়ে দেখেন তিনি। রাশেদের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে তিনি নিজেও অনুভব করেন যুদ্ধের উত্তেজনা। মনে মনে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এই উপন্যাসটিকে চলচ্চিত্রে রূপ দেবেন। এরপর পেরিয়ে গেল এক যুগেরও বেশি সময়।
'আমার বন্ধু রাশেদ' ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র সংগীত পরিচালক [[ইমন সাহা]]।
এই গল্পটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা ছিল বেশ জটিল একটি কাজ। এই কঠিন কাজটির জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করতে নির্মাতার সময় লেগেছে বেশ। এতে রয়েছে যুদ্ধের কিছু দৃশ্য। বড় একটি চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে তিনি লিখে ফেলেন খসড়া পাণ্ডুলিপি। ২০০৮ সালে বরকতুল্লাহ মারুফকে সঙ্গে নিয়ে চূড়ান্ত করেন চিত্রনাট্য। সে বছরই সরকারি অনুদানের জন্য পাণ্ডুলিপি জমা দেন। ২০০৯ সালে ছবিটি সরকারি অনুদান লাভ করে। অনুদান পেলেও ছবিটি তৈরি হতে সময় লেগে যায় প্রায় বছর দুয়েক। নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার নেপথ্যে আর্থিক সমস্যাই দায়ী।
২০০৯ সালের জুলাই মাসে দিনাজপুরে শুরু হয় শুটিং। সেখানে ইকবাল হাই স্কুল ও শহরসংলগ্ন এলাকায় ধারণ করা হয় অধিকাংশ দৃশ্য। প্রথম লটের শুটিংয়ের পর অর্থনৈতিক জটিলতায় কিছুদিন থেমেছিল শুটিং। অল্প কিছু দিনের মধ্যে নবোদ্যমে আবারও শুরু হয় শুটিং। দিনাজপুর, মংলা ও ময়মনসিংহে ধারণ করা হয় কিছু যুদ্ধের দৃশ্য। এ ছাড়া আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে ময়মনসিংহ এস কে হাসপাতালে। নির্মাতা জানান, অল্প বাজেটে অধিক কাজ হওয়ায় ছবিটি নির্মাণে বেগ পেতে হয়েছে। ধকলটা শরীরের ওপর দিয়েই গেছে বেশি। শুটিংয়ের সময় সেনাবাহিনী আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। শুটিং শুরুর আগেই পরিচালক সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারে শুটিংয়ে সহায়তা চান। রংপুর ক্যান্টনমেন্টের সহযোগিতা সত্যিই মনে রাখার মতো।
 
ছবির বিশেষত্ব সম্পর্কে মোরশেদুল ইসলাম বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের অংশগ্রহণ নিয়ে রচিত উপন্যাসের সংখ্যা খুবই কম। এ উপন্যাসে বিষয়টি রয়েছে বলেই চলচ্চিত্রায়ণের জন্য এটি বেছে নিয়েছি। এ ছবি দেখে কিশোররা মুক্তিযুদ্ধকে অনুভব করবে এবং অনুপ্রাণিত হবে বলেই আমার ধারণা। আর কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে এটিই প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। সরাসরি বেশ কিছু যুদ্ধের দৃশ্য আছে ছবিতে। বিশ্বাসযোগ্যভাবে দৃশ্যগুলো চিত্রায়ণের চেষ্টা করেছি। অনেকের অভিযোগ, আমার চলচ্চিত্র বরাবরই ধীরগতির। এ ছবিতে আমি এ বিষয়টা মাথায় রেখেছি। আমি মনে করি, এ ছবিটি বেশ গতিশীল।'<ref>[http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=02-02-2011&feature=yes&type=gold&data=Hotel&pub_no=413&cat_id=3&menu_id=78&news_type_id=1&index=9 ‘আমার বন্ধু রাশেদ---কালের কণ্ঠ’]</ref>
 
== সঙ্গীত ==
'আমার বন্ধু রাশেদ' ছবিরচলচ্চিত্রের সংগীতসঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র সংগীতসঙ্গীত পরিচালক [[ইমন সাহা]]।
 
== আরওআরো দেখুন ==
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|চলচ্চিত্র|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র}}
* [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]]
* [[:বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র]]
* [[মোরশেদুল ইসলাম]]
* [[দীপু নাম্বার টু (চলচ্চিত্র)]]
 
== তথ্যসূত্র ==
৬৭ ⟶ ৭০ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{প্রবেশদ্বার|চলচ্চিত্র|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র}}
* [http://www.amarbondhurashed.com অফিসিয়াল ওয়েবসাইট]
* {{imdbআইএমডিবি titleশিরোনাম|id=1918969|title=আমার বন্ধু রাশেদ}} - এ
* [http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-03/news/143824 ছবিটি দেখে আমারই চোখ ভিজে যায়]
* [http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-06-09/news/160799 ভালো লাগা ছবি]