ইবনে বতুতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"IbnBattatuEffendi.jpg" সরানো হয়েছে, কমন্স হতে INeverCry এটি মুছে ফেলেছেন কারণ: Per commons:Commons:Deletion requests/File:IbnBattatuEffendi.jpg
বানান
১৮ নং লাইন:
| signature =
}}
'''আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন বতুতা''' ({{lang-ar|أبو عبد الله محمد بن عبد الله اللواتي الطنجي بن بطوطة}}, ''{{transl|ar|DIN|ʾAbū ʿAbd al-Lāh Muḥammad ibn ʿAbd al-Lāh l-Lawātī ṭ-Ṭanǧī ibn Baṭūṭah}}'') [[সুন্নি]] মুসলিম পর্যটক, চিন্তাবিদ, বিচারক এবং সুন্নি ইসলামের মালিকি মাযহাবে বিশ্বাসী একজন ধর্মতাত্ত্বিক। তিনি ১৩০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী মরোক্কোর তাঞ্জিয়ারে জন্মগ্রহন করেন।<ref>http://www.si.edu/Content/SE/Educator%20Guides/Journey-to-Mecca.pdf</ref> চীন সহ পৃথিবীর অনেক যায়গায় তিনি "শামস-উদ-দীন" <ref>Ibn Buttuta, Travels in Asia and Africa 1325-1345, Published by Routledge and Kegan Paul (ISBN O 7100 9568 6)</ref> নামেও পরিচীত। ইবন বতুতা সারা জীবন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেরিয়েছেন। পৃথিবী ভ্রমণের জন্যই তিনি মূলত বিখ্যাত হয়ে আছেন। একুশ বছর থেকে শুরু করে জীবনের পরবর্তী ৩০ বছরে তিনি প্রায় ৭৫,০০০ মাইল<ref>http://www.teachislam.com/dmdocuments/scholars_ibn_battuta_the_great_traveller.pdf</ref>(১,২০,০০০কিমি) অঞ্চল পরিভ্রমণ করেছেন। তিনিই একমাত্র পরিব্রাজক যিনি তার সময়কার সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন এবং এর সুলতানদের সাথে স্বাক্ষাত করেছেন। অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকা থেকে শুরু করে [[মিশর]], [[সৌদি আরব]], [[সিরিয়া]], [[ইরান]], [[ইরাক]], [[কাজাকিস্তান]], [[আফগানিস্তান]], [[পাকিস্তান]], [[মালদ্বীপ]], [[ভারত]], [[বাংলাদেশ]], [[শ্রীলংকা]], [[দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া]] এবং [[চীন]] ভ্রমণ করেছিলেন। তার কিছুকাল পূর্বে এমন দীর্ঘ ভ্রমণ করে বিখ্যাত হয়েছিলেন [[ভেনিস|ভেনিসের]] ব্যাবসায়ী এবং পরিব্রাজক [[মার্কো পোলো]]। কিন্তু তিনি মার্কো পোলোর চেয়েও তিনগুন বেশি পথ সফর করেছেন।করেছিলেন। ভ্রমণকালে তিনি এই উপমহাদেশের বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব, সুফি, সুলতান, কাজি এবং আলেমদের সাক্ষাত লাভ করেন। ৩০ বছরে প্রায় ৪০ টি দেশ ভ্রমণ করে নিজ দেশ মরোক্কোতে ফেরার পর মরোক্কোর সুলতান আবু ইনান ফারিস তার ভ্রমণকাহিনীর বর্ননা লিপিবদ্ধ করার জন্য একজন সচিব নিয়োগ করেন। এই ভ্রমণকহিনীর নাম "রিহলা"। এটি ১৪শ শতকের পূর্ব, মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সম্রাজ্যের ইতিহাসের অন্যতম দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
 
== প্রথম জীবন ==
৬৮ নং লাইন:
 
== ভারতবর্ষ ==
[[চিত্র:Feroze Sha's tomb with adjoining Madrasa.JPG|right|200px|thumb|মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাষনশাসন আমলের মসজিদ যেখানে ইবন বতুতা প্রায় ছয় বছর কাজী হিসেবে কাজ করেছেন]]
 
সারা থেকে প্রায় তিন মাস ধরে যাত্রা করে খাওয়ারিজম হয়ে [[হিন্দুকুশ পর্বতমালা|হিন্দুকুশ]] পার হয়ে তিনি [[গজনি প্রদেশ|গজনি]] পৌছান। এর মাঝে তিনি তৎকালীন প্রশিদ্ধ শহর সমরখন্দ এওং খুরাশানে (বর্তমান [[আফগানিস্তান]]) সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অবস্থান করেন। তারপর ১৩৩৩ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর আরবি ৭৩৪ সালের পহেলা মহররমে সিন্ধের পাঞ্জাব পৌছান। পাঞ্জাব শহরে পৌছার সাথে সাথে ইবন বতুতার আগমন বার্তা সিন্ধের রাজদধানী মুলতানের গভর্নরের কাছে এবং দিল্লির বাদশা সুলতান মোহাম্মদ শাহ এর কাছে পাঠানো হয়। [[সিন্ধু প্রদেশ|সিন্ধ]] থেকে [[দিল্লি]] ডাক পৌছাতে স্বাভাবিকভাবে প্রায় পঞ্চাশ দিন লাগার কথা কিন্তু বাদশাহর গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ডাক দিল্লিতে মাত্র পাঁচ দিনেই পৌছে যায়। বহিরাগত যে-ই হোক, সুলতানের তরফ থেকে তাকে [[ভারত|ভারতে]] ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, হলেও কোন শ্রেনীর মর্যাদা দেওয়া হবে সে ব্যাপারে দিল্লি থেকে অফিসিয়াল নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাকে সিন্ধের রাজধানী মুলতানে অপেক্ষা করতে হয়। ইবন বতুতাকেও অপেক্ষা করতে হল এবং শেষ পর্যন্ত তাকে “আজিজ” (সম্মানিত) পদবি দেওয়া হল।
৭৫ নং লাইন:
ভারতে ইবন বতুতা প্রায় সাত বছর অবস্থান করেন। সুলতান তাকে দুটি ছোট গ্রাম দিয়ে দেন যাতে করে এর থেকে সংগৃহীত রাজস্ব উত্তোলন করে তিনি তার খরচ চালাতে পারেন এবং এই সময়টা তিনি মালিকি সম্প্রদায়ের কাজি হিসেবে সুলতান কতৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কাজী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম কারন ছিল তার পিতাও কাজী ছিলেন। কাজীর দায়িত্ব পালনকালীন ইবন বতুতা অনেক বেহিসেবি খরচ করেন যা সুলতানের দৃষ্টিগোচর হয়। অপরদিকে ইবন বতুতাও সুলতানের রহস্যময় আচরনে ত্যাক্ত হয়ে ভারত থেকে চলে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। অবশেষে সুলতান তাকে চীনে মোঙ্গল সম্রাট মোহাম্মদ ইবন তুঘলকের কাছে দূত হিসেবে প্রেরন করার ইচ্ছা পোষন করলে তিনি রাজি হয়ে যান। সুলতান তার ভ্রমনের জন্য ২ টি জাহাজ, কর্মচারী এবং ক্রীতদাশের ব্যাবস্থা করলেন।
 
চীন যাওয়ার উদ্দেশ্যে সমুদ্র তীরের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তায় তিনি একদল ডাকাত দ্বাড়া আক্রান্ত হন। এই আক্রমনে তিনি সবকিছু হারান কিন্তু কোনরকমে প্রানে বেঁচে যান। প্রায় দশদিন পর তিনি পুনরায় তার সংগিদের সাথে মিলিত হন এবং বর্তমান ভারতের [[গুজরাট|গুজরাটের]] দিকে রওনা হন। [[গুজরাট|গুজরাটে]] তিনি সুলতানের মূল্যবান উপটৌকোন গুলোর সুরক্ষার জন্য প্রায় পঞ্চাশ জন আবিসিনিয়ান হাবসি যোদ্ধা ভাড়া করলেন এবং কয়েকদিন যাত্রা করে অবশেষে কালিকোট বন্দরে পৌছান যেখান থেকে তার চীন যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ইবন বতুতা কালিকোট বন্দরে পৌছানোরও প্রায় দুইশত বছর পরে পর্তুগীজ পরিব্রাজক [[ভাস্কো দা গামা]] এই বন্দরে এসে পৌছান। তিনি যখন কালিকোটের মসজিদসমূহের পরিদর্শনে ব্যাস্ত ছিলেন তখন এক আচমকা ঝড় এসে সুলতানের মূল্যবান উপটৌকোন সহ তার একটি জাহায ডুবিয়ে দেয়। এতে করে ঐ জাহাযের সব নাবিক মৃত্যুবরন করে। সুলতানের প্রেরিত সমস্ত উপহার হারিয়ে ফেলে তার আর দিল্লি ফেরৎ যাওয়ার কোন উপায় ছিল না। তাই তিনি তৎকালীন দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশের শাষনকর্তাশাসনকর্তা জামাল-উদ-দীনের নিরাপত্তায় কিছুদিন থাকলেন। চীনের সম্রাটের কাছে ভারতের সুলতানের পাঠানো উপহারসামগ্রী হারিয়ে ফেলার পর ভারত ছেড়ে যাওয়া ছাড়া ইবন বতুতার আর কোন উপায় অন্তর ছিল না কিন্তু তিনি তার চীন যাওয়ার ইচ্ছার প্রতি অনড় ছিলেন। তাই তিনি অবশেষে [[মালদ্বীপ|মালদ্বীপের]] উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন।
=== মালদ্বীপ ===
[[চিত্র:405-Maldives.jpg|180px|thumb|left|মালদ্বীপের অনেকগুলো দ্বীপের মধ্যে একটি দ্বীপ]]