টুসু উৎসব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
+
১ নং লাইন:
'''টুসু উৎসব''' বা '''মকর পরব'''' [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া]], [[বাঁকুড়া জেলা|বাঁকুড়া]], [[পূর্ব মেদিনীপুর জেলা|পূর্ব]] ও [[পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা]], [[আসানসোল]] মহকুমা এবং [[ঝাড়খণ্ড]] রাজ্যের [[সাঁওতাল পরগণা]], [[ধানবাদ জেলা|ধানবাদ]], [[রাঁচি জেলা|রাঁচি]] ও [[হাজারিবাগ জেলা|হাজারিবাগ জেলার]] কৃষিভিত্তিক উৎসব।
 
== নামকরণ ==
টুসুর নামকরণ সম্বন্ধে সর্বজনগ্রাহ্য কোন মত নেই। ডঃ বঙ্কিমচন্দ্র মাহাতোর মতে, তুষ থেকে টুসু শব্দটি এসেছে।{{#tag:ref|''টুসু শব্দটি তুষ থেকে এসেছে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। ধানের তুষ যাদুক্রিয়ার যেমন অঙ্গ তেমনি মৃত ধানেরও প্রতীক। টুসুকে জলে বিসর্জন দেওয়ার অর্থ হল তাঁকে কবর দেওয়া। আদিম মানুষ মৃত্যু ও পুনর্জন্মকে পরস্পরের সম্পর্কযুক্ত দুটি ঘটনার অতিরিক্ত কিছু মনে করত না।''<ref>ডঃ বঙ্কিমচন্দ্র মাহাতো, ঝাড়খণ্ডের লোকসাহিত্য</ref>{{rp|১০২}}|group=n}} দীনেন্দ্রনাথ সরকারের মতে তিষ্যা বা পুষ্যা নক্ষত্র থেকে অথবা উষা থেকে টুসু শব্দটি এসেছে,<ref name=Dinendra>টুসু ব্রতের উৎসচিন্তা, দীনেন্দ্রনাথ সরকার, টুসু ইতিহাস ও সংগীতে</ref>{{rp|৩৬}} আবার কখনো তিনি বলেছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের প্রজনের দেবতা টেষুব থেকে টুসু শব্দটি তৈরী হয়েছে।{{#tag:ref|''টুসু মধ্যপ্রাচ্যের প্রজনের দেবতা 'টেষুব' এই শব্দটির অপভ্রংশ, ...এটি কৃষি উৎসব নয় - সন্তান কামনার কুমারী উৎসব।<ref name=Dinendra/>{তসব।/১৭}}
 
== পালনরীতি ==
৯ ⟶ ১২ নং লাইন:
 
== টুসু সঙ্গীত ==
টুসু উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ টুসু সঙ্গীত। এই সঙ্গীতের মূল বিষয়বস্তু তাৎক্ষণিকলৌকিক ও দেহগত প্রেম। এই এবংগান গায়কেরগায়িকার কল্পনা, দুঃখ, আনন্দ ও সামাজিক অভিজ্ঞতাকে ব্যক্ত করে। কুমারী মেয়ে ও বিবাহিত নারীরা তাঁদের সাংসারিক সুখ দুঃখকে এই সঙ্গীতের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। <ref name=Tarun/>{{rp|২৬৭}} গানের মাধ্যমে মেয়েলি কলহ, ঈর্ষা, অভীপ্সা, দ্বেষ, ঘৃণা স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া সমকালীন রাজনীতির কথা ব্যাপক ভাবে এই গানে ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এই সমস্ত গানে পণপ্রথা, সারক্ষরতা সম্বন্ধে সচেতনতা, বধূ নির্যাতন প্রভৃতি সামাজিক দায়িত্বের কথাও বলা হয়।<ref name=Dilip/>{{rp|৪১- ৪৩}}
 
টুসু গীতকে ভনিতাযুক্ত ও ভনিতাবিহীন এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। ভনিতাবিহিন টুসু গীতকে মূল টুসু পদ এবং টুসু পদের রঙ এই দুইটি অংশে ভাগ করা যায়। টুসু পদের রঙ অংশটি কখনো মূল পদের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে রচনা করা হয়, কখনো স্বতন্ত্র ভাবে রচিত হয়। ভনিতাবিহীন টুসু পদ মূলতঃ চার চরণে বাঁধা থাকে, যার অধ্যে রঙের জন্য মাত্র দুইটি চরণ নির্দিষ্ট থাকে।<ref>ধীরেন্দ্রনাথ সাহা, ঝাড়খণ্ডী লোকভাষার গান</ref>{{rp|১৮}}
 
== মূর্তি==
[[ঝাড়খণ্ড]] রাজ্য ও [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া জেলার]] অধিকাংশ স্থানে পুরাতন প্রথা অনুযায়ী টুসু উৎসবে কোন মূর্তির প্রচলন নেই, কিন্তু [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া জেলার]] [[বান্দোয়ান]] থানা এবং [[বাঁকুড়া জেলা|বাঁকুড়া জেলার]] [[খাতড়া]] থানার পোএওকুলের টুসু মেলায় টুসু মূর্তির প্রচলন রয়েছে। বিভিন্ন ভঙ্গীতে অশ্ব বাহিনী বা ময়ূর বাহিনী মূর্তিগুলির গায়ের রঙ হলুদ বর্ণের ও শাড়ী নীল রঙের হয়ে থাকে। মূর্তির হাতে কখনো শঙ্খ, কখনো পদ্ম, কখনো পাতা বা কখনো বরাভয় মুদ্রা দেখা যায়।
 
== পাদটীকা ==
<references group=n/>
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
 
{{পুরুলিয়া}}