টুসু উৎসব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
+
১ নং লাইন:
'''টুসু উৎসব''' বা '''মকর পরব'''' [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া]], [[বাঁকুড়া জেলা|বাঁকুড়া]], [[পূর্ব মেদিনীপুর জেলা|পূর্ব]] ও [[পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা]], [[আসানসোল]] মহকুমা এবং [[ঝাড়খণ্ড]] রাজ্যের [[সাঁওতাল পরগণা]], [[ধানবাদ জেলা|ধানবাদ]], [[রাঁচি জেলা|রাঁচি]] ও [[হাজারিবাগ জেলা|হাজারিবাগ জেলার]] কৃষিভিত্তিক উৎসব।
 
== পালনরীতি ==
টুসু উৎসব অগ্রহায়ণ সংক্রান্তি থেকে পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত এক মাস ধরে পালিত হয়। মহিলারাধানের অগ্রহায়ণক্ষেত মাসেথেকে নতুনএক ধানেরগোছা তুষনতুন তুলেআমন রেখেধান পৌষমাথায় মাসেরকরে শুরুতেএনে সেইখামারে তুষ,পিঁড়িতে কাড়ুলিরেখে বাছুরেরদেওয়া গোবরেরহয়। মন্ডঅগ্রহায়ণ এবংমাসের আকন্দসংক্রান্তির সন্ধ্যাবেলায় গাঁদাগ্রামের ফুলেরকুমারী মালামেয়েরা একটি পাত্রে রাখাচালের হয়।গুঁড়ো অন্যলাগিয়ে একটিতাতে পাত্রতুষ দিয়েরাখেন। এইতারপর পাত্রটিতুষের ঢেকেওপর রাখাধান, হয়কাড়ুলি বাছুরের পিড়িগোবরের বামন্ড, কুলুঙ্গীরদূর্বা ওপরঘাস, রেখেআল দেওয়াচাল, হয়।আকন্দ, পাত্রেরবাসক এইফুল, পুরোকাঁচ ব্যবস্থাফুল, প্রতিদিনগাঁদা সন্ধ্যারফুলের পরেমালা টুসুপ্রভৃতি দেবীরেখে হিসেবেপাত্রটির পূজিতাগায়ে হন।হলুদ এইরঙের সময়টিপ মহিলারালাগিয়ে টুসুপাত্রটিকে দেবীরপিড়ি নিকটবা তাঁদেরকুলুঙ্গীর ব্যক্তিগতওপর রেখে সামাজিকস্থাপন অভিজ্ঞতাকরা সুরহয়। করেপাত্রের নিবেদনএই করেন।পুরো পৌষব্যবস্থা সংক্রান্তিরপ্রতিদিন দিনেসন্ধ্যার চতুর্দোলায়পরে বসিয়ে নদী বা পুকুরেটুসু দেবী বিসর্জনেরহিসেবে রীতিপূজিতা প্রচলিত।হন।<ref name=Tarun>তরুণদেব ভট্টাচার্য, পুরুলিয়া,ফার্মা কে এল প্রাইভেট লিমিটেড, ২৫৭-বি, বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিট, কলকাতা-১২, ২০০৯</ref>{{rp|২৬৬}} পৌষ মাসের প্রতি সন্ধ্যাবেলায় কুমারী মেয়েরা দলবদ্ধ হয়ে টুসু দেবীর নিকট তাঁদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক অভিজ্ঞতা সুর করে নিবেদন করেন ও দেবীর উদ্দেশ্যে চিঁড়ে, গুড়, বাতাসা, মুড়ি, ছোলা ইত্যাদি ভোগ নিবেদন করেন।<ref name=Dilip>{{rp|৩৭}}
 
টুসু উৎসব পালনের সময় পৌষ মাসের শেষ চারদিন চাঁউড়ি, বাঁউড়ি, মকর এবং আখান নামে পরিচিত। চাঁউড়ির দিনে গ্রিহস্থ বাড়ির মেয়েরা উঠোন গোবরমাটি দিয়ে নিকিয়ে পরিস্কার করে চালের গুঁড়ো তৈরী করা হয়। বাঁউড়ির দিন অর্ধচন্দ্রাকৃতি, ত্রিকোণাকৃতি ও চতুষ্কোণাকৃতির পিঠে তৈরী করে তাতে চাঁছি, তিল, নারকেল বা মিষ্টি লুর পুর দিয়ে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় ভাবে এই পিঠে গড়গড়্যা পিঠে বা বাঁকা পিঠে বা উধি পিঠে নামে পরিচিত। বাঁউড়ির রাত দশটা থেকে টুসুর জাগরণ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেয়েরা জাগরণের ঘর পরিষ্কার করে ফুল, মালা ও আলো দিয়ে সাজায়। এই রাতে কিশোরী কুমারী মেয়েরা ছাড়াও গৃহবধূ ও বয়স্কা মহিলারাও টুসু গানে অংশগ্রহণ করেন। এই রাতে টুসু দেবীর ভোগ হিসেবে নানারকম মিষ্টান্ন, ছোল্ভাজা, মটরহাজা, মুড়ি, জিলিপি ইত্যাদি নিবেদন করা হয়।<ref name=Dilip>দিলীপ কুমার গোস্বামী, সীমান্ত রাঢ়ের লোকসংস্কৃতি, প্রকাশক- পারিজাত প্রকাশনী, বিদ্যাসাগর পল্লী, পুরুলিয়া-৭২৩১০১, প্রথম প্রকাশ- ২৪শে ডিসেম্বর, ২০১৪</ref>{{rp|৩৮}}
 
পৌষ সংক্রান্তি বা মকরের ভোরবেলায় মেয়েরা দলবদ্ধভাবে গান গাইতে গাইতে টুসু দেবীকে বাঁশ বা কাঠের তৈরী রঙিন কাগজে সজ্জিত চৌডল বা চতুর্দোলায় বসিয়ে নদী বা পুকুরে নিয়ে যান। সেখানে প্রত্যেক টুসু দল একে অপরের টুসুর প্রতি বক্রোক্তি করে গান গাইতে দেবী বিসর্জন করে থাকেন। টুসু বিসর্জনের পরে মেয়েরা নদী বা পুকুরে স্নান করে নতুন বস্ত্র পরেন। ছেলেরা খড়, কাঠ, পাটকাঠি দিয়ে ম্যাড়াঘর বানিয়ে তাতে আগুন লাগান।<ref name=Dilip>{{rp|৩৮, ৩৯}}
 
== টুসু সঙ্গীত ==
১৪ ⟶ ১৮ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পুরুলিয়া জেলার উৎসব]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঝাড়খণ্ডের সংস্কৃতি]]