হাইনরিখ হের্ত্‌স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shahriar Kabir Pavel (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Shahriar Kabir Pavel (আলোচনা | অবদান)
→‎গবেষণা: পরিচ্ছেদ বিস্তার
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৯ নং লাইন:
 
===আবহাওয়াবিজ্ঞান===
হার্টজের সবসময় [[আবহাওয়াবিজ্ঞান|আবহাওয়াবিদ্যার]] উপর এক গভীর আগ্রহ ছিল, ধারণা করা হয় এটা [[উইলহেম ভন বেজল্ড]] (১৮৭৮ সালে মিউনিখ পলিটেকনিক-এ হার্টজের প্রফেসর ছিলেন) এর সাথে যোগাযোগের পর থেকেই ৷ কিন্তু হার্টজ কিছু প্রাথমিক নিবন্ধ বাদে এই ক্ষেত্রে তেমন কোনো অবদান রাখেননি৷ নিবন্ধগুলি তিনি [[বার্লিন|বার্লিনে]] [[হারম্যান ভন হেলমহোল্টজহেল্মহোল্টজ|হেলমহোল্টজেরহেল্মহোল্টজের]] সহকারী হিসেবে থাকাকালীন লিখেছিলেন, যেগুলোর মধ্যে ছিল তরলের [[বাষ্পীভবন|বাষ্পীভবনের]] উপর গবেষণা, এক নতুন ধরণের [[আর্দ্রতা]]মাপক যন্ত্র এবং একই [[রুদ্ধতাপীয় পরিবর্তন|রুদ্ধতাপীয় পরিবর্তনে]] আর্দ্র বাতাসের বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের রৈখিক উপায় ৷ <ref>{{cite journal|doi=10.1119/1.18565|author=Mulligan, J. F. and Hertz, H. G. |title=An unpublished lecture by Heinrich Hertz: “On the energy balance of the Earth’’ |journal=American Journal of Physics|volume= 65|pages=36–45}}</ref>
 
=== সংস্পর্শ বলবিজ্ঞান ===
<--তড়িৎচুম্বক -এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য হার্জ সবার কাছে পরিচিত (নিচে দেখুন)-->
 
১৯৮৬-১৯৮৯ সালের মধ্যে হার্টজ দুইটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যা পরে সংস্পর্শ বলবিদ্যা নামে পরিচিতি লাভ করে। বেশিরভাগ প্রতিবেদন যেগুলো সংস্পর্শের মৌলিক ধর্ম নিয়ে আলোচিত ছিল,তাদের মধ্যে হার্টজের ঐ দুইটি প্রতিবেদন উদ্বাহরণস্বরুপ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারনার উৎস হিসেবে পরিচিত ছিল। যোসেফ ভেলেন্তিন বোসিনেস্ক হার্টজের কাজের উপর কিছু জটিল গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষন প্রকাশ করেন, যাই হোক,সংস্পর্শ [[বলবিদ্যা|বলবিদ্যার]] উপর এইসব অধিষ্ঠিত কাজের বিপুল গুরুত্ব ছিল। তার কাজের মূলত সারসংক্ষেপ হলো,দুইটি এক্সি-সিমেট্রিক বস্তু একে অপরের সংস্পর্শে ভারবহনক্রিতভারবহনকৃত অবস্থায় কিরূপ আচরণ করে তা বের করা। এইসব কাজের ফলাফল তিনি চিরায়ত স্থিতিস্থাপক এবং সন্ততি বলবিদ্যা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করেন।
 
===তড়িৎচৌম্বক গবেষণা===
[[Image:Hertz schematic0.PNG|right|300px|thumb|1887 experimental setup of Hertz's apparatus]]
 
১৮৭৯ সালে হার্টজের গবেষণার সময় হেল্মহোল্টজ প্রস্তাব করেছিলেন যে, হার্টজের গবেষণামূলক প্রবন্ধ ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎচুম্বকীয় তত্ত্ব পরীক্ষা করতে পারে। এটা ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত যা তড়িৎচুম্বকীয় তরংগের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে অনুমান করেছিলো। এটি ভবিষ্যতবাণী করেছিলো যে, তড়িৎচুম্বকীয় তরংগ আলোর দ্রুতিতে চলে এবং আলো নিজেই ঠিক একটি তরংগের মতো। এছাড়াও হেল্মহোল্টজ সে বছর প্রুসিয়ান একাডেমী অব সাইন্স একটি সমস্যার উপর 'বার্লিন পুরস্কার' প্রস্তাব করেছিলেন। যে পরীক্ষামূলকভাবে অপরিবাহী/ অন্তরক(insulator) এর [[সমবর্তন]](polarization) এবং [[অসমবর্তন]] এর মধ্যে তড়িৎচুম্বকীয় প্রভাব প্রমাণ করতে পারবে এই পুরস্কার তার জন্য। ম্যাক্সওয়েল এর তত্ত্ব থেকে এই প্রভাব সম্পর্কে কিছু একটা আভাস পাওয়া গিয়েছিলো। <ref>[http://www.nndb.com/people/419/000072203/ Heinrich Hertz]. nndb.com. Retrieved on 22 August 2014.</ref><ref name="autogenerated49">Baird, Davis, Hughes, R.I.G. and Nordmann, Alfred eds. (1998). ''Heinrich Hertz: Classical Physicist, Modern Philosopher.'' New York: [[Springer-Verlag]]. ISBN 0-7923-4653-X. p. 49</ref> হেল্মহোল্টজ প্রায় নিশ্চিত ছিলেন যে, এটা জেতার জন্যে হার্টজই ছিলেন সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী। <ref name="autogenerated49"/> হার্টজের ধারণা ছিলো এটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণের জন্য যন্ত্রপাতি তৈরি বেশ কষ্টকর। অন্য কোন উপায় না পেয়ে তিনি এর পরিবর্তে তড়িৎচুম্বকীয় আবেশন এর উপর কাজ করেছিলেন। কিয়েল এ তার সময়ে প্রচলিত 'একশান এট আ ডিসটেন্স' তত্ত্বের তুলনায় তাদের অধিক বৈধতা রয়েছে দেখাতে হার্টজ ম্যাক্সওয়েল এর সূত্রের বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছিলেন। <ref>Heilbron, John L. (2005) ''The Oxford Guide to the History of Physics and Astronomy''. Oxford University Press. ISBN 0195171985. p. 148</ref>
 
কার্লশ্রুহে অধ্যাপনা শুরু করার পর ১৮৮৬ সালের এক হেমন্তে যখন হার্জ এক জোড়া রেইস স্পাইরাল নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন তখন তিনি দেখতে পেলেন এই কয়েলগুলোর মধ্যকার একটি লেইডেন জার আধানমুক্ত করার প্রক্রিয়া অন্য একটি কয়েলে স্ফূলিঙ্গের সৃষ্টি করে।ম্যাক্সওয়েল এর তত্ত্ব প্রমাণ করার সমস্যা সমাধানের জন্য হার্জ একটি নতুন যন্ত্র তৈরীর উপায় বের করেছিলেন যা তাকে ১৮৭৯ সালের 'বার্লিন পুরস্কার' এনে দিয়েছিল (যদিও আসল পুরস্কারটি গ্রহণ না করার জন্য ১৮৮২ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছিল)। <ref>Baird, Davis, Hughes, R.I.G. and Nordmann, Alfred eds. (1998). ''Heinrich Hertz: Classical Physicist, Modern Philosopher.'' New York: [[Springer-Verlag]]. ISBN 0-7923-4653-X. p. 53</ref><ref name=h202>Huurdeman, Anton A. (2003) ''The Worldwide History of Telecommunications''. Wiley. ISBN 0471205052. p. 202</ref> তিনি একটি রামকর্ফ কয়েল চালিত স্ফূলিঙ্গ ফাঁক এবং এক জোড়া [[এক মিটার]] লম্বা তারকে প্রস্তুতকারী হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। [[তড়িৎ বর্তনী|বর্তনীর]] অণুরণন সমন্বয়ের জন্য ধারক গোলক ব্যবহার করা হয়েছিল।তার গ্রাহকযন্ত্রটি ছিল একটি সরল অর্ধ-তরঙ্গ ডায়াপোল এন্টেনা যা ভূমির সাথে তড়িৎসংযোগ ছাড়াই কাজ করত, এটিই ছিল বর্তমান ডাইপোল [[এন্টেনা|এন্টেনার]] পূর্বরূপ।এই যন্ত্রটি অতি উচ্চ কম্পাংক সীমায় [[বেতার তরঙ্গ]] সৃষ্টি ও ধারণ করতে সমর্থ হয়েছিল।