উমাপতিধর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সন্দীপ সরকার (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সন্দীপ সরকার (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৯ নং লাইন:
 
অর্থাৎ লক্ষ্মণসেনের সভায় ছিলেন গোবর্ধন, শরণ, জয়দেব, উমাপতি, কবিরাজ ধোয়ী প্রমুখ রত্ন। এই শ্লোক থেকে তাই মনে হয় এই পাঁচ কবিরত্ন একই সময় লক্ষ্মণসেনের সভায় অবস্থান ক'রেছিলেন। তবে এঁদের আবির্ভাবের কোন সুনির্দিষ্ট সন তারিখ জানা যায় না। শুধু এটুকু নিঃসংশয়ে বলা যায় যে, উমাপতিধর কবি জয়দেবের বন্ধু ও সমসাময়িক কবি এবং জয়দেবের সঙ্গে লক্ষ্মণসেনের সভায় একই সঙ্গে অবস্থান করতেন।
 
==সাহিত্যকর্ম==
শ্রীধরদাসকৃত 'সদুক্তিওকর্ণামৃতে' উমাপতিধরের নামে অন্তত ৯০টি শ্লোক গৃহীত হ'য়েছে। তাঁর অসাধারণ কবিত্বশক্তি থাকলেও অনুমিত হয় তিনি কোন পুরোমাপের কাব্য লেখেন নি। গৌড়ীয় রীতির আদর্শে 'অক্ষর ডম্বর' ও 'অলংকার ডম্বর'-এর সাহায্যে উমাপতির রচনাশৈলীর বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। কবিত্ব যতটুকু থাক, পল্লবিত বাক্য রচনার আসক্তিই তাঁকে বেশি আকৃষ্ট করত। 'দেওপাড়া প্রশস্তি' ও মাধাইনগরের তাম্রশাসনে' উমাপতির রচনাকৌশল লক্ষ্য করা যাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন তাম্রশাসন বা লিপি লেখনে কবিদের রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্যই ছিল রচনার সহজ স্বাভাবিকতাকে উপেক্ষা করে অলংকার সজ্জার আতিশয্যকে বরণ করা। উমাপতি ছিলেন এই রীতির প্রধান হোতা।