ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ArpanIISc (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৫ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
ব্রিটিশ আমলের শেষদিকে ভাইসরয়ের কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য স্যার যোগেন্দ্র সিংহ ১৯৪৬ সনে ২২ সদস্যবিসিষ্ট একটি সমিতি তৈরি করেন যার শীর্ষপ্রতিনিধিত্ব করেন নলিনী রঞ্জন সরকার। এই সমিতি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে "ভারতীয় প্রযুক্তিপ্রৌদ্যোগিকী স্ংস্থাসংস্থান" স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
১৯৫০ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খড়গপুরের হিজলি অঞ্চলে প্রথম IIT-টি স্থাপিত হয়। ১৯৫৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর [[ভারতীয় স্ংসদসংসদ]] "''[[Indian Institute of Technology|ভারতীয় প্রযুক্তিপ্রৌদ্যোগিকী স্ংস্থাসংস্থান]] "'' আইনের দ্বারা এই বিদ্যাপ্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষনা করেন।
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শ্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৫৬ সালে IIT খড়গপুরের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষণে বলেন,<ref name="Nehru speech">{{cite web
| last = Kharagpur
৩৮ নং লাইন:
}}</ref>
{{cquote|Here in the place of that Hijli Detention Camp stands the fine monument of India, representing India's urges, India's future in the making. This picture seems to me symbolical of the changes that are coming to India.}}
পরবর্তীকালে সরকার কমিটির প্রস্তাবে মুম্বাই (১৯৫৮), চেন্নাই (১৯৫৯), কানপুর (১৯৬০), দিল্লি (১৯৬১)-তে নতুন চারটি IIT স্থাপিত হয়। নতুন IIT প্রতিষ্ঠা করার জন্য "''ভারতীয় প্রযুক্তিপ্রৌদ্যোগিকী স্ংস্থাসংস্থান''" আইনে পরিবর্তন আনা হয়। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় রাজীব গান্ধীর প্রচেষ্টায় অসমের তৎকালীন রাজধানী গৌহাটি-তে ষষ্ঠ IIT-টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভারতের প্রাচীনতম প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় রুর্কি মহাবিদ্যালয় ২০০১ সালে IIT মর্যাদা লাভ করে। পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি IIT স্থাপনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
২০০৭ সালে একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় ভারতের আরও নতুন IIT স্থাপনের জন্য ৮টি রাজ্য নির্বাচন করা হয় এবং [[IT-BHU]] IIT উপাধি অর্জন করে।<ref name="PIB">{{cite web
৫৩ নং লাইন:
==স্বীকৃতি==
বর্তমানে IIT-গুলি বিশেষ সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত। ''ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যাপ্রৌদ্যোগিকী সংস্থাসংস্থান'' আইন অনুযায়ী এই মহাবিদ্যালয়গুলির প্রদত্ত উপাধিগুলি অখিল ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যাপ্রৌদ্যোগিকী শিক্ষা পরিষদের আওতার বাইরে রাখা হয়। এর ফলস্বরূপ এই মহাবিদ্যালয়গুলি নিজেদের আইন প্রনয়ণ করতে সক্ষম যা শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি করায় বিশেষ সাহায্য করেছে। এছাড়া ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় যা ভালো ছাত্রদের বেছে নিতে সাহায্য করে। শিক্ষকদেরকেও কঠোর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় যাতে গুনগত মান বজায় থাকে। এই ব্যবস্থার ফলে আত্যন্ত উচ্চমানের শিক্ষা বজায় থাকে।
দেশ বিদেশেও IIT-গুলি বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন IIT-গুলি বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে।