আবদুল মতিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিবর্ধন করা হলও |
পরিবর্ধন করা হলও |
||
৩৪ নং লাইন:
== শৈশব ও শিক্ষা জীবন ==
আব্দুল মতিন [[১৯২৬]] সালের [[৩ ডিসেম্বর]] [[সিরাজগঞ্জ জেলা|সিরাজগঞ্জের]] [[চৌহালি উপজেলা|চৌহালি উপজেলার]] ধুবালীয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আব্দুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তিনি ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর তাঁর ডাক নাম ছিল '''গেদু'''। [[১৯৩০]] সালে গ্রামের বাড়ী যমুনা ভাঙনে ভেঙ্গে গেলে আবদুল জলিল জীবিকার সন্ধানে [[ভারত|ভারতের]] দার্জিলিং এ চলে যান। সেখানে জালাপাহারের ক্যান্টনমেন্টে সুপারভাইস স্টাফ হিসেবে একটি চাকরি পেয়ে যান। [[১৯৩২]] সালে আব্দুল মতিন শিশু শ্রেণীতে দার্জিলিং-এর বাংলা মিডিয়াম স্কুল মহারাণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন এবং তখন সেখানেই তাঁর শিক্ষা জীবনের শুরু। [[১৯৩৩]] সালে আব্দুল মতিনের মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা অ্যাকলেমশিয়া রোগে মারা যান। মহারানী গার্লস স্কুলে ৪র্থ শ্রেণী পাশ করলে এখানে প্রাইমারি স্তরের পড়াশোনার শেষ হয়। এরপর [[১৯৩৬]] সালে দার্জিলিং গভর্মেন্ট হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি [[১৯৪৩]] সালে এনট্রেন্স (মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা) পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। আব্দুল মতিন [[১৯৪৩]] সালে রাজশাহী গভর্মেন্ট কলেজে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে ভর্তি হলেন। ২ বছর পর [[১৯৪৫]] সালে তিনি এইচ এস সি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে আব্দুল মতিন বৃটিশ আর্মির কমিশন র্যাঙ্কে ভর্তি পরীক্ষা দেন। দৈহিক আকৃতি, উচ্চতা, আত্মবিশ্বাস আর সাহসিকতার বলে তিনি [[ফোর্ট উইলিয়াম, কলকাতা|ফোর্ট উইলিয়াম]] থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কমিশন পান। এরপর তিনি কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর গিয়ে পৌছান। কিন্তু ততদিনে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। ফলে তিনি একটি সার্টিফিকেট নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসেন। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি [[১৯৪৫]] সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ব্যাচেলর অব আর্টস (পাশ কোর্স) এ ভর্তি হলেন। ফজলুল হক হলে তাঁর সিট হয়। [[১৯৪৭]] সালে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স শেষ করেন এবং পরে মাস্টার্স করেন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন বিভাগ থেকে।<ref name="ভাষা মতিন"/>
== কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবন ==
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলায় আব্দুল মতিনের অবদান অন্যতম। [[১৯৫২]] সালে আব্দুল মতিনসহ অন্যরা ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন।<ref name="ভাষা মতিন">{{cite news|title=ভাষা মতিন ১৯২৬-২০১৪ : Reports|urlhttp://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/330410.html|accessdate=৮ অক্টোবর, ২০১৪|work= বাংলানিউজ ২৪ ডট কম|date=৮ অক্টোবর, ২০১৪}}</ref> তারই নেতৃত্বে [[একুশে ফেব্রুয়ারি]] বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সারা বাংলার জন্য আন্দোলনের নানা কর্মসূচি। ভাষা আন্দোলনের পর তিনি ছাত্র ইউনিয়ন গঠনে ভূমিকা রাখেন এবং পরে সংগঠনটির সভাপতি হন। এরপর কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় হন। [[১৯৫৪]] সালে [[পাবনা জেলা]] কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক হন আব্দুল মতিন। [[মওলানা ভাসানী]]
==গ্রন্থপঞ্জী==
|