শাহ আলী বাগদাদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sufidisciple (আলোচনা | অবদান)
http://www.somoyerbibortan.com/archive2.php?archive=2012-04-29&id=92&nid=97&page=25 থএকে টুকে দেওয়া অংশ অপসারণ
২৩ নং লাইন:
==শাহ আলীর মসজিদ==
শাহ আলী বোগদাদীর মাজার যে মসজিদে অবস্থিত তা তার নামে শাহ আলী মসজিদ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করলেও মূলত তা তার আগমনপূর্ব একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। দিল্লী সম্রাট কতৃক মিরপুরে এ মসজিদটি নির্মিত হয়। বাংলার স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে (১৪৭৪-১৪৮১) এ অঞ্চলের গভর্নর জহিরউদ্দীন খান হিজরি ৮৮৫ সাল মোতাবেক ১৪৮০ খৃষ্টাব্ধে এটি নির্মান করেন বলে একটি সূত্রে উল্লেলেখ পাওয়া যায়। ঢাকায় যেসব আদি ইট নির্মিত স্থাপত্য<ref name="S Ali Biborton"/> দেখা যায় তার মধ্যে প্রথমে নির্মিত হয় বিনতা বিবির মসজিদ (১৪৫৭ ) এর এরপর নির্মিত হয় শাহ আলীর মসজিদ (১৪৮০)।
 
==শাহ আলীর মাজার==
বর্তমান মাজারটি ১৪৮০ সালে নির্মিত একটি মসজিদের পরিবর্তিত রূপ। মূল কবরকে ঘিরে যে বর্গাকার ইমারতটি রয়েছে তা খুব মজবুত স্থাপত্য কাঠোমোর ওপর নির্মিত। তবে এটি আদি কাঠোমোর ওপর সংস্কারকৃত। বর্তমানে দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে দুই দিকে সমান প্রতি বাহুর দেয়ালের পরিমাপ ৩৬ ফুট এবং গভীরতা ৭ ফুট। দেয়ালের দৈর্ঘ্যের সমান উচ্চতায় অভ্যন্তরীণ দিক থেকে পানদানতিফ পদ্ধতিতে নির্মিত একটি গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। এর শীর্ষে রয়েছে তিনটি কলসের উপর একটি সুন্দর পদ্মকলি। গম্বুজের ড্রামের শুরু থেকে চূড়া পর্যন্ত উচ্চতা ২০ ফুট ৩ ইঞ্চি। এর চার কোণায় চারটি মিনার। অক্টকোণাকার এসব মিনারের প্রতিটি অর্ধেকাংশ করে দেয়ালে ডুবন্ত এবং এগুলোর ওপর রয়েছে ছত্রাকার কিউপোলা। প্রত্যেকটি কিউপোলার ওপর তিনটি করে ক্রমহ্রাসমান কলসের ওপর পদ্মকলি শোভা পাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ দিক থেকে গম্বুজের উদগমস্থলে রয়েছে ঘোরানো মার্লন নকশা এবং তার নিচে অ্যারাবে। অনুরূপ নকশা ইমারতের বহির্দিকে ছাদের কিনারায়ও দেখা যায়। মাজারের দেয়ালে তিনটি খিলানাকার প্রবেশপথ মোগল-পূর্ব স্থাপত্যশৈলীর কথা মনে করিয়ে দেয়। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে আরও দুইটি করে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর খিলান পথ আছে। কেবলা দেয়ালের মাঝখানের খিলান পথটিকে ঠিক মেহরাবের মতো মনে হয়। এর উভয় পার্শে রয়েছে ক্ষুদ্রাকৃতির আরও দুইটি মেহরাব। ১৪৮০ সালে মসজিদ নির্মাণের স্মারক সম্বলিত আরবি তোগড়া হরফে উৎকীর্ণ। আলিফ এবং লাম অক্ষরকে খাড়াভাবে দীর্ঘায়িত করে লেখার ধরনকে বলে তোগড়া। ফার্সি একটি শিলালিপি তোরণ পথের উপরে দেয়ালের গায়ে প্রোথিত রয়েছে। <ref name="S Ali Biborton"/>
 
পুরাতন ঢাকা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মিরপুর শাহ আলী বাগদাদীর মাজার। ২.৭৬ একর জমির <ref name="S Ali Biborton"/> ওপর মাজারটি নির্মিত। এ তীর্থস্থানটিতে সিঁড়ির ধাপ বেয়ে উপরে উঠানামা, বিশাল প্রান্তর, পুকুর ও এর নদীতীরবর্তী অবস্থান মানুষের সহজে নজর কাড়ে। উঁচু অবস্থান ও পিরামিডাকার স্থাপত্যের বিচারে এ মাজারের সাথে শাহজালালের মাজার এবং ভারতের আজমীর শরীফের মাজারের তুলনা করা যায়। হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে মিরপুর মাজার। মুসলমান গৃহবধুরা যেমন মানত নিয়ে উপস্থিত হয়, তেমনি হিন্দুরা এসে সিনি্ন বিতরণ করে ও গাছের গোড়ায় ধুপ জ্বালায়। <ref name="S Ali 2"/>
 
==আরও দেখুন==