ভবানীপুর শক্তিপীঠ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ Reverted 3 edits by 180.211.189.158 (talk) identified as vandalism to last revision by Ibrahim Husain Meraj. (TW) |
||
১ নং লাইন:
'''ভবানীপুর''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[রাজশাহী বিভাগ|রাজশাহী বিভাগের]] [[বগুড়া জেলা|বগুড়া জেলার]] শেরপুরে করতোয়াতটে অবস্থিত [[সতী]] মাতা তারার একান্ন [[শক্তিপীঠ|শক্তিপীঠের]] অন্যতম।<ref>[[বাংলাপিডিয়া]] থেকে [http://www.banglapedia.org/HT/S_0042.htm বাংলাপিডিয়ায় প্রবন্ধ]</ref><ref>[http://www.vedarahasya.net/docs/Shakti.pdf www.vedarahasya.net/docs/Shakti.pdf]</ref><ref>[http://medlibrary.org/medwiki/Shakti_Peetha http://medlibrary.org/medwiki/Shakti_Peetha]</ref> হিন্দু ভক্তদের জন্য এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান।
== গুরুত্ব ==
সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর [[সতী]] মাতা দেহ ত্যাগ করলে [[শিব|মহাদেব]] সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে [[বিষ্ণু]] দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ [[শক্তিপীঠ]] হিসেবে পরিচিতি পায়।<ref>http://www.sacred-texts.com/tantra/maha/maha00.htm</ref> বিভিন্ন সূত্র মতে, [[করতোয়া নদী|করতোয়াতটের]] এ ভবানীপুরে সতী মাতা তারার বাম পায়ের অলঙ্কার বা বাম পাঁজর বা ডান চোখ বা বিছানা পড়েছিল বলে জানা যায়। ভবানীপুর বাংলাদেশ তথা [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] বিখ্যাত শক্তিপীঠসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের ভক্তরা সারা বছর এখানে তীর্থে আসেন।
== শক্তি দেবী ও ভৈরব ==
এই [[শক্তিপীঠ|শক্তিপীঠের]] শক্তি দেবী
== লোককাহিনী ==
কথিত আছে যে এখানে একদা একজন শাঁখাওয়ালা (শাঁখা নির্মাতা) ভবানীপুর মন্দিরের ধারের গভীর জঙ্গলের পাশের একটি পুকুরের ধার অতিক্রম করছিলেন। এমন সময় সিঁথিতে সিঁদুর দেয়া একটি ছোট মেয়ে তার কাছে গিয়ে বলেছিল যে সে [[নাটোর জেলা|নাটোর]] রাজবাড়ির রাজকন্যা। সে শাঁখাওয়ালার কাছ থেকে এক জোড়া শাঁখা কিনল এবং বলল যে শাঁখাওয়ালা যেন [[নাটোরের মহারানী|নাটোরের মহারাণীকে]] বলেন যে প্রাসাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা ঝুড়ি থেকে তার শাঁখার দাম দিয়ে দেন। শাঁখাওয়ালা মেয়েটির বিনীত কথায় মুগ্ধ হয়ে তাকে শাঁখা দিয়ে দিলেন। শাঁখাওয়ালার মুখ থেকে ছোট মেয়েটির কথা শুনে মহারাণী লোকজন ও সেই শাঁখাওয়ালাকে নিয়ে মেয়েটির বলা জায়গায় গেলেন। শাঁখাওয়ালার প্রার্থনা শুনে মা ভবানী সেই শাঁখা-পুকুর থেকে তার দুই হাতের শাঁখা তুলে দেখালেন। মহারানী ও সেখানে উপস্থিত লোকজন এতে বিস্মিত হলেন এবং মা ভবানীর (মা তারার) মহিমা এই উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ল। এই কিংবদন্তির শাঁখা-পুকুরে তীর্থযাত্রীরা স্নান করেন।
৫৩ ⟶ ১৭ নং লাইন:
== উত্সব/পার্বণ ==
[[মাঘী পূর্ণিমা]] (মাঘ-ফাল্গুন), [[রাম নবমী]] (চৈত্র-বৈশাখ), [[শারদীয় দুর্গোত্সব]], [[দীপান্বিতা শ্যামাপূজা]] এবং [[নবান্ন]] (অগ্রহায়ণ মাসে তিথি অনুযায়ী)।
== মন্দির তত্ত্বাবধান ==
১৯৯১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভবানীপুর মন্দির সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির দ্বারা মা ভবানীর সম্পত্তিসমূহ তত্ত্বাবধানসহ মন্দিরের সমস্ত কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল।
== তথ্যসূত্র ==
৭৪ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু মন্দির]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু তীর্থ]]
|