ভীম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bodhisattwa-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Sakkhar21-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
Bodhisattwa (আলাপ)-এর সম্পাদিত 1685574 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Bima-kl.jpg|right|thumb|জাভা দ্বীপের ছায়াচিত্রে প্রদর্শিত ভীমের প্রতিকৃতি]]
'''ভীম''' [[মহাভারত|মহাভারতের]] একটি চরিত্র। পঞ্চ পাণ্ডব ভ্রাতাদের মধ্যে [[ভীম]] ২য়।ঋষি দুর্বাষা হতে প্রাপ্ত বরের মাধ্যমে বায়ু দেবকে আহ্বান করে তার বরে ভীমের জন্ম হয়। বিশাল দেহ ও প্রবল শক্তির জন্য [[ভীম]] বিখ্যাত।
 
==জন্ম==
[[পাণ্ডু]] নামক রাজা কিমিন্দম মুনির অভিশাপের (যে কোন নারীর সাথে সঙ্গম করতে গেলে– পাণ্ডু মৃত্যুবরণ করবেন) কারণে স্ত্রীসংগম থেকে বিরত থাকেন। এই কারণে [[পাণ্ডু]] তাঁর স্ত্রীদ্বয়ের [[কুন্তি]] ও মাদ্রি এর গর্ভে কোন সন্তান লাভ করতে পারলেন না। এরপর [[পাণ্ডু]] তাঁর স্ত্রী [[কুন্তী]]'কে ক্ষেত্রজ সন্তান উৎপাদনের জন্য অন্য পুরুষকে গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। [[কুন্তী]] সন্তান কামনায় তিনবার তিনজন দেবতাকে আহ্বান করেছিলেন। প্রথমবারে [[কুন্তি]] ধর্মরাজ কে আহবান করে [[যুধিষ্ঠির]] কে লাভ করেন তারপরে তিনি পবনদেব কে আহবান করে [[ভীম]] কে লাভ করেন।
দৈহিক আকৃতিতে [[ভীম]]ছিলেন বিশাল এবং শক্তি ছিল অপরিমিত। এঁর কোন দাড়ি না থাকায় [[কর্ণ]] এঁকে মাকুন্দ বলে পরিহাস করতেন। এর গায়ের রং ছিল কাঁচা সোনার মত। ইনি ছিলেন বিশাল কাঁধের অধিকারী, উন্নতবক্ষ ও অযুত হাতীর শক্তির সমান বলশালী। ইনি অতিরিক্ত ভোজনপটু ছিলেন বলে, বৃকোদর নামপ্রাপ্ত হন। বাকী চার পাণ্ডব এবং ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রদের সাথে দ্রোণাচার্যের কাছে ইনি অস্ত্র শিক্ষা করেন। এরপর [[ভীম]] বলরামের কাছে বিশেষভাবে গদাযুদ্ধ শেখেন। ফলে ইনি অবিলম্বে গদা যুদ্ধে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। ছোটবেলায় শারীরীক শক্তির কারণে কৌরবদের একশত ভাইকে সবসময় নিপীড়িত করতেন। বিপদের সময় [[দ্রৌপদী]] এবং [[ভীম]] এঁর উপরই সবচেয়ে বেশী নির্ভর করতেন। <ref>http://www.ebanglalibrary.com/mahabharata/?p=945</ref>
 
==শৈশব==
শৈশবে [[দুর্যোধন]] তাঁকে হত্যা করার জন্য প্রমাণকোটি নামক স্থানে একটি জলক্রীড়ার জন্য স্থান নির্বাচন করেন। পরে সকলকে ডেকে উক্ত স্থানে জলক্রীড়া করার সময় বিষ মিশ্রিত পিঠা খাওয়ান এবং লতা দিয়ে হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেন। এই অবস্থায় [[ভীম]] নাগ লোকে পৌঁছুলে, নাগদের দংশনে তাঁর শরীরস্থ বিষের ক্ষয় হয়। জ্ঞান লাভ করে [[ভীম]] নাগদের হত্যা করতে থাকেন। পরে নাগরাজ তাঁকে নিজের দৌহিত্র কুন্তীভোজের দৌহিত্র বলে চিনতে পেরে ভীমকে আলিঙ্গন করেন এবং রসায়ন পান করান। [[ভীম]] মোট আটটি রসায়ন-কুণ্ডু পান করে আট দিন ঘুমিয়ে কাটান। আটদিন ধরে [[ভীম]] রসায়ন হজম করে অযুত হাতির বল লাভ করেন। পরে নাগদের সহায়তায় ইনি ঘরে ফিরে আসেন।<ref>http://www.abasar.net/unimahabharat/bheem1.htm</ref>
==বিবাহ==
দুর্যোধন জুতগৃহে অন্যান্য পাণ্ডবদের সাথে এঁকেও পুড়িয়ে মারার উদ্যোগ নেন। পরে বিদুরের সহায়তায় অন্যান্যদের সাথে ভীমও রক্ষা পান। [[ভীম]] সুরঙ্গপথে সকলকে অন্যত্র পাঠিয়ে নিজেই জতুগৃহে অগ্নিসংযোগ করে সকলকে সাথে নিয়ে গঙ্গাতীরে উপস্থিত হন এবং সেখান থেকে বিদুরের প্রেরিত নৌকায় করে [[গঙ্গা]] পার হয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করেন। এখানে সকলে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে [[ভীম]] একা সকলকে পাহারা দেন। এই বনে হিড়িম্ব নামক এক রাক্ষস বাস করতো। হিড়িম্ব এদের মাংস খাওয়ার জন্য তাঁর বোন হিড়িম্বাকে পাঠায়। কিন্তু [[হিড়িম্বা]] ভীমের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সুন্দরী নারীরূপ ধরে ভীমের সামনে আসেন এবং হিড়িম্বের অভিসন্ধির কথা বলে দেন। পরে ভীম হিড়িম্বকে বধ করলে রাক্ষস দের প্রথা অনুসারে যিনি তাদের রাজা কে হত্যা করবেন তার সাথে তাদের রাজার বোনের মানে [[হিড়িম্বা]]র বিয়ে হবে এবং তিনি তাদের রাজা হবেন। [[হিড়িম্বা]] ও [[ভীম]] এর একমাত্র পুত্র [[ঘটোৎকচ]]। পরে এই [[ঘটোৎকচ]] [[কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ]] ১৫ তম দিনে মারা যান [[কর্ণ]] এর হাতে।<ref>http://www.ebanglalibrary.com/mahabharata/?p=913</ref>
==জরাসন্ধ বধ==
এরপর পাণ্ডবেরা ইন্দ্রপ্রস্থে রাজধানী স্থাপন করে রাজত্ব শুরু করলে, যুধিষ্ঠির রাজা হন। নারদের পরামর্শে যুধিষ্ঠির রাজসূয় যজ্ঞের আয়োজন করেন। মগধরাজ জরাসন্ধ এই যজ্ঞের বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন জেনে কৃষ্ণ ভীম ও অর্জুনকে সাথে নিয়ে মগধ রাজ্যে উপস্থিত হন। কৃষ্ণ, ভীম ও অর্জুন স্নাতক ব্রাহ্মণবেশে জরাসন্ধের সম্মূখে আসেন। জরাসন্ধ এই তিনজনের হাতে অস্ত্রব্যবহারের চিহ্ন দেখে প্রকৃত পরিচয় জানতে ইচ্ছা করলে, কৃষ্ণ তাঁদের প্রকৃত পরিচয় দেন। এরপর জরাসন্ধের সাথে ভীমের মল্লযুদ্ধ হয়। ভীম একাধিকবার জরাসন্ধকে পরাজিত করে শরীর বিছিন্ন করেন, কিন্তু অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে উক্তশরীর জোড়া লেগে জরাসন্ধ জীবিত হয়ে উঠতে থাকেন। এরপর কৃষ্ণের ইশারায় ভীম বিচ্ছিন্ন হওয়া দেহকে মিলিত হওয়ায় বাধা সৃষ্টি করলে- জরাসন্ধের প্রকৃত মৃত্যু ঘটে। রাজসূয় যজ্ঞের অর্থ আহরণের জন্য পাণ্ডবরা দিগ্বিজয়ে বের হলে ভীম পূব দিকে যাত্রা করেন। এই যাত্রায় ইনি পাঞ্চাল, বিদেহ, দশার্ণ, চেদি, কোশল, অযোধ্যা প্রভৃতি দেশ জয় করে ইন্দ্রপ্রস্থে ফিরে আসেন।
হস্তিনাপুরে দুর্যোধনের দ্যুতসভায় শকুনির কাছে যুধিষ্ঠির পরাজিত হলে- সভামধ্যে দুঃশাসন দ্রৌপদীকে অপমান করলে, ভীম দুঃশাসনের বক্ষরক্ত পান করার প্রতিজ্ঞা করেন। সভামধ্যে দ্রৌপদীকে অপমান করার জন্য দুর্যোধন বাম উরু প্রদর্শন করলে, ভীম দুর্যোধনের উরুভঙ্গের প্রতিজ্ঞা করেন। বনযাত্রাকালে ইনি দুর্যোধনের রক্তপান ও কৌরবভ্রাতাদের হত্যা করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন।
==অজ্ঞাতবাস==
পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসকালে ভীম বল্লভ নামে বিরাটের রন্ধনশালার অধ্যক্ষ হন। এখানে থাকা অবস্থায় ব্রহ্মার উদ্দেশ্যে আয়োজিত উত্সবে জীমূত নামক মহামল্ল ও অন্যান্য বহু মল্লযোদ্ধাকে মল্লযুদ্ধে পরাজিত করেন। বিরাটের শ্যালক দ্রৌপদীকে ভোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সভামধ্যে অপমান করলে, দ্রৌপদী ভীমকে বিষয়টি জানান। পরে ভীমের পরামর্শে দ্রৌপদী কীচককে রাত্রিবেলায় নাট্যশালায় আমন্ত্রণ জানান। কীচক দ্রৌপদীকে পাবার জন্য রাত্রিবেলায় নাট্যশালায় এলে ভীমের হাতে নিহত হন। কীচকের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাবার সময় কীচকের ভাইয়েরা দ্রৌপদীকেও বন্দী করে শ্মশানে নিয়ে যান। ভীম ছদ্মবেশে তাঁদের সাথে গিয়ে সকলকে হত্যা করে দ্রৌপদীকে উদ্ধার করেন। এরপর সুশর্মা দুর্যোধনের সহায়তায় বিরাটরাজকে পরাজিত ও বন্দী করে তাঁর সকল গবাদি পশু হরণ করেন। পরে যুধিষ্ঠিরের আদেশে ভীম সুশর্মাকে পরাজিত ও বন্দী করে বিরাটরাজকে উদ্ধার করেন। অবশ্য এই যুদ্ধে মূখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন অর্জুন। দেখুন : অর্জুন
==রাক্ষস বধ==
জটাসুর নামক এক রাক্ষস পাণ্ডবদের সাথে ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে বাস করতেন। একদিন ভীম মৃগয়ায় গেলে, এই রাক্ষস যুধিষ্ঠির, নকুল, সহদেব ও দ্রৌপদীকে অপহরণ করে। ভীম ফিরে এসে প্রকৃত বিষয় অবগত হয়ে এই অসুরকে হত্যা করেন। অর্জুন স্বর্গে অস্ত্রশিক্ষার জন্য গেলে, তাঁর ফিরে আসার প্রতীক্ষায় কৈলাসপর্বতের কাছে পাণ্ডবরা যখন প্রতীক্ষা করছিলেন, তখন দ্রৌপদীর প্ররোচনায় ভীম কুবেরের অনুচর রাক্ষসদেরকে সেখান থেকে বিতারিত করেন। এই সময় কুবেরের বন্ধু মণিমান ভীমের হাতে নিহত হন। বনবাসের একাদশ বত্সরে যমুনার উত্পত্তিস্থানের নিকটস্থ বিশাখযূপ বনে পাণ্ডবেরা বসবাসকালে একদিন ভীম মৃগয়ায় বের হন। সেখানে অগস্ত্য-শাপে অজগররূপী নহুষ ভীমকে বেষ্ঠন করে ভক্ষণ করতে উদ্যত হন। যুধিষ্ঠির বিভিন্ন দুর্লক্ষণ দেখে ভীমের খোঁজে বের হয়ে, অজগররূপী নহুষের কাছে উপস্থিত হন। যুধিষ্ঠির নহুষের কাছে ভীমের মুক্তি দাবী করলে, নহুষ যুধিষ্ঠিরের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর দাবী করে বলেন যে, প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিলেই ভীমকে মুক্তি দেবেন। এরপর যুধিষ্ঠির নহুষের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়ে ভীমকে উদ্ধার করেন।
==কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ==
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভীম একা ধৃতরাষ্ট্রের একশত পুত্রকে হত্যা করেছিলেন। পাণ্ডবরা ভীমকে সামনে রেখে যুদ্ধ শুরু করেন। ইনি প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ভীষ্মের সাথে যুদ্ধ করেন। দ্বিতীয় দিনে ইনি ক্রমান্বয়ে শক্রদেব, ভানুমান, শ্রুতায়ু, সত্য, সত্যদেব, কেতুমানসহ বহু কৌরব সৈন্যকে হত্যা করেন। চতুর্দশ ও পঞ্চম দিনে দ্রোণাচার্যের সাথে বীরত্বব্যঞ্জক যুদ্ধ করেন। যুদ্ধের সপ্তদশ দিনে ইনি দুঃশাসনকে হত্যা করে প্রতিজ্ঞা স্বরূপ তার বক্ষ চিরে রক্তপান করেন। এই দিনেই ইনি কর্ণের কাছে পরাজিত হন। কিন্তু কর্ণ কুন্তীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে অর্জুন ছাড়া অন্য কোন পাণ্ডবকে হত্যা করবেন না। সেই কারণে ইনি ভীমকে মুক্তি দেন।
যুদ্ধের অষ্টাদশ দিনে দুর্যোধনের সকল সৈন্য নিহত হলে- দুর্যোধন পালিয়ে দ্বৈপায়ন হ্রদে যান। মায়া দ্বারা জলের স্তম্ভ তৈরি করে সেখানে লুকিয়ে থাকেন। এই সময় দুর্যোধনের পক্ষের তিন সেনাপ্রধান অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য ও কৃতবর্মা যুদ্ধের পরামর্শ করতে এলে- তিনি পরদিনের জন্য এই আলোচনা স্থগিত রাখতে বলেন। এই আলোচনা কয়েকজন শিকারী শুনে পাণ্ডবদের কাছে এসে দুর্যোধনের অবস্থানের কথা জানান। পাণ্ডবরা সেখানে এলে, ভীমের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। উল্লেখ্য ইনি ভীমকে হত্যা করার জন্য তের বত্সর এক লৌহ মূর্তির উপর গদা প্রহার অভ্যাস করেছিলেন। সরস্বতী নদীর দক্ষিণ প্রান্তে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। গদা যুদ্ধে ভীম অত্যন্ত বলশালী হলেও দুর্যোধন অত্যন্ত কৌশলী ছিলেন। কৃষ্ণের ইঙ্গিতে ভীম অন্যায়ভাবে দুর্যোধনের উরুতে আঘাত করে তা ভেঙে দেন। উল্লেখ্য গদা যুদ্ধে কটি দেশের নিম্নে আঘাত করা অন্যায় বলে বিবেচিত হত। উরু ভঙ্গের পর ভীম দুর্যোধনের মস্তক বাম পা দ্বারা নিস্পিষ্ট করেন। এই অন্যায় যুদ্ধ দেখে উপস্থিত বলরাম ভীমকে হত্যা করতে অগ্রসর হলে, কৃষ্ণ তাঁকে শান্ত করেন। দুর্যোধন এই অন্যায় যুদ্ধের জন্য কৃষ্ণকে তিরস্কার করেন।
পাণ্ডবেরা মৃতপ্রায় দুর্যোধনকে পরিত্যাগ করে চলে গেলে, সেখানে কৃপাচার্য, কৃতবর্মা ও অশ্বত্থামা আসেন। এরপর দুর্যোধন অশ্বত্থামাকে সেনাপতি হিসাবে নিয়োগ করেন এবং ভীমের ছিন্নমুণ্ডু আনার নির্দেশ দেন। এই অশ্বত্থামা বাকি দুজনকে দ্বার রক্ষায় রেখে পাণ্ডব শিবিরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত সকলকেই হত্যা করেন। এই সময় পঞ্চপাণ্ডব কৃষ্ণ ও সাত্যকি অনত্র্য থাকায় তাঁরা রক্ষা পান। অশ্বত্থামা দুর্যোধনকে এই সংবাদ প্রেরণ করলে আনন্দ চিত্তে প্রাণত্যাগ করেন। এই হত্যাকাণ্ডে অন্যান্য পাণ্ডববীরদের সাথে দ্রৌপদীর সকল সন্তান মৃত্যুবরণ করে। এই কারণে দ্রৌপদী অশ্বত্থামাকে হত্যা করে তার মাথার মণি এনে দেওয়ার জন্য ভীমকে অনুরোধ করেন। অর্জুন ও কৃষ্ণ অশ্বত্থামাকে পরাজিত করলে, ভীম অশ্বত্থামার মাথার মণি এনে দ্রৌপদীকে দেন। যুদ্ধ শেষে যুধিষ্ঠির ভীমকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করেন।
ভীম গোপনে ধৃতরাষ্ট্রকে অপমান করলে, ধৃতরাষ্ট্র বনবাসী হন। ময়দানব বিন্দু সরোবর থেকে বৃষপর্বা গদা এনে ভীমকে উপহার দিয়েছিলেন। মহাপ্রস্থানের পথে দ্রৌপদী, সহদেব, নকুল, ও অর্জুনের পরে এর পতন ঘটে। অতিভোজন ও আত্ম-প্রশংসার কারণে এঁর পতন ঘটেছিল।
 
==তথ্যসূত্র==
http://www.abasar.net/unimahabharat/bheem1.htm
http://www.onushilon.org.bd/myth/hindu/vim.htm
http://www.ebanglalibrary.com/mahabharata/?p=945
http://www.ebanglalibrary.com/mahabharata/?p=913
 
 
পাণ্ডব ভাইদের বনবাসের সময়ে ভীম [[হিড়িম্বা]] নামের রাক্ষসীকে বিয়ে করেন, এবং তাদের [[ঘটোৎকচ]] নামের একটি পুত্র সন্তান হয়।
{{অসম্পূর্ণ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:মহাভারতের চরিত্র]]
'https://bn.wikipedia.org/wiki/ভীম' থেকে আনীত