কুন্তির পাঁচ ছেলে: যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব পঞ্চপান্ডব নামে পরিচিত। জমজ সহোদর নকুল ও সহদেব তার সতীন মাদ্রীর গর্ভে জন্মালেও কুন্তি তাদের আপনপুত্রর চাইতেও অধিক স্নেহ করতেন। এছাড়া সূর্যদেবের ঔরসে কুন্তির গর্ভে অঙ্গরাজ কর্ণের জন্ম হয়।
কুন্তির পাঁচ ছেলে, যারা পঞ্চপান্ডব নামে পরিচিত ছিলেন তারা হলেন কৃষ্ণ'র পিসতেতো ভাই। মামাতো ভাই কৃষ্ণ ১৬ হাজার রাজকণ্যা বিয়ে করলেও পঞ্চপান্ডবেরা পাঁচ ভাই পেলেন একটামাত্র বৌ! কুন্তি যখন কুমারী ছিলেন তখন তার গৃহে দুর্বাসা মুনি অতিথি হয়ে এলে কুন্তি তাকে সেবা দ্বারা সন্তুষ্ট করে দ্যান। খুশি হয়ে দুর্বাসা মুনি কুন্তিকে এক অদ্ভুত বর দ্যান, যা কিনা এতোদিন শুধু পুরুষেরাই পেয়ে এসেছে। বর টা ছিলো অ্যামন, কুন্তি কোন দেবতাকে স্মরণ করলে সেই দেবতা এসে কুন্তিকে যৌনসঙ্গম দ্বারা পরিতৃপ্ত করে পুত্রসন্তান দান করবে।
কুন্তি যখন কুমারী ছিলেন তখন তার গৃহে দুর্বাসা মুনি অতিথি হয়ে এলে কুন্তি তাকে সেবা দ্বারা সন্তুষ্ট করেন। এতে খুশি হয়ে দুর্বাসা মুনি তাকে এক অদ্ভুত বর দেন। বর টা ছিলো এমন, কুন্তি কোন দেবতাকে স্মরণ করলে সেই দেবতা এসে কুন্তিকে যৌনসঙ্গম দ্বারা পরিতৃপ্ত করে পুত্রসন্তান দান করবে। বর পেয়ে কৌতুহলী কুন্তি কুমারী অবস্থায়ই সূর্যদেবকে কামনা করে বসেন, এবং সূর্যদেবের সাথে মিলনে কুন্তিতিনি গর্ভবতী হয়ে পরায়এক পুত্র সন্তানের জন্ম হলেদেন। লজ্জায়তবে অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান প্রসব করায় লোক লজ্জার ভয়ে তাকে যমুনার পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।দেন। এই পুত্রপুত্রই মহাভারতে কর্ণ নামে পরিচিত হন।পরিচিত। কথিত আছে, "কুন্তি" নামের অর্থ "সূর্যদেবের প্রেমিকা"।
এরপরপরবর্তীতে কুন্তিভোজকুন্তি-ভোজ কুন্তির জন্য স্বয়ংবরা'রস্বয়ংবরার আয়োজন করলে কুন্তীকুন্তি পাণ্ডু'রপাণ্ডুর গলায় মালা দ্যান।পরান। পাণ্ডু'রপাণ্ডুর আরেক স্ত্রী ছিলো, মাদ্রী। একদিন পাণ্ডু মাদ্রী ও কুন্তিকে নিয়ে হিমালয়ের দক্ষিণে বেরিয়ে পরেন। সেখানে এক মুনি, যার নাম কিমিন্দম, হরিণের রূপ ধরে এক হরিণীর সাথে সঙ্গমরত ছিলেন। পাণ্ডু না বুঝে হরিণ-হরিণী দুটোকে হত্যা করেন, মৃত্যুর আগে কিমিন্দম পাণ্ডুকে এক শাপ দ্যান যে, পাণ্ডু যদি কোন নারীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয় তাহলেতবে তার মৃত্যু ঘটবে। এই ঘটনার পর পাণ্ডু যেদিন কুন্তির সাথে সঙ্গম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেদিন কুন্তি দুর্বাসা মুনি'রমুনির বরের কথা বললে পাণ্ডু তিনজন দেবতাকে কামনা করতে বলেন। কুন্তি দেবতা ধর্মকে আহবান করলে তার সাথে মিলনে যুধিষ্ঠির'রযুধিষ্ঠিরের জন্ম হয়, বায়ু'রবায়ুর সাথে মিলনে ভীম ও ইন্দ্রের সাথে মিলনে অর্জুনের জন্ম হয়।
সতীন মাদ্রী এই বিশেষ মন্ত্র কুন্তির কাছ থেকে জেনে অশ্বিনীকে কামনা করেন, জন্ম হয় দুই পুত্রের-সহদেব ও নকুল। পাণ্ডু'রপাণ্ডুর দুই স্ত্রী'রস্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয়া যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, সহদেবনকুল ও নকুলসহদেব, এই পাঁচ পুত্র হলো পঞ্চপান্ডব। এরপর একদিন অত্যন্ত কামার্ত অবস্থায় পাণ্ডু মাদ্রীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হলে কিমিন্দম মুনি'রমুনির শাপে পাণ্ডু'রপাণ্ডুর মৃত্যু হয়। তবে পান্ডুর মৃত্যুর পর তিনিকুন্তি সহমরণে যান নি, কিন্তু তাঁর সপত্নী মাদ্রী সতী হন। কুন্তীরকুন্তির নির্দেশে ভীম হিড়িম্ব রাক্ষসকে হত্যা করে রাক্ষসী হিড়িম্বাকে বিবাহ করেন এবং ঘটোৎকচের জন্ম হয়। তিনি নিজ পুত্রদের সর্বদা প্রজাদের মঙ্গলসাধনের উপদেশ দেন।দিতেন। কুন্তীরকুন্তির আদেশে ভীম বকাসুর বধ করেন। শেষজীবনেশেষ জীবনে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর সঙ্গে তপোবনে দিন কাটাতে থাকেন। একদিন তপোবনের এক ভয়াবহ দাবানলে তিনিধৃতরাষ্ট্র আত্মাহুতিও দেন।গান্ধারীর সাথে তিনিও মৃত্যু বরণ করেন।
