উভকামিতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Bi flag.svg|thumb|220px|উভকামী গৌরব পতাকা]]
{{Sexual orientation}}
'''উভকামিতা''' ([[ইংরেজি]]: '''Bisexuality''' ''বাইসেক্‌শুয়্যালিটি'') বলতে বিশেষ একটি যৌন প্রবণতা<ref>[http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/4056387?ordinalpos=1&itool=EntrezSystem2.PEntrez.Pubmed.Pubmed_ResultsPanel.Pubmed_DiscoveryPanel.Pubmed_Discovery_RA&linkpos=3&log$=relatedarticles&logdbfrom=pubmed A study of the married bisexual male: paradox and resolution]</ref> বোঝায় যখন একজন মানুষ, নারী ও পুরুষ, উভয় লিঙ্গের প্রতিই যৌন আকর্ষণ অনুভব করে। এরূপ মানুষ সমলিঙ্গ ও বিপরীত লিঙ্গ উভয়ের সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক হলে এবং এরূপ যৌনমিলনের মাধ্যমে যৌনানন্দ লাভে সক্ষম হলে তাকে বলা হয় '''উভকামী'''। কার্যতঃ উভকামিতা মানুষের দুটি প্রধান যৌনপ্রবৃত্তি [[বিষমকামিতাবিপরীতকামিতা]] ও [[সমকামিতা|সমকামিতার]] উভয়ের সমন্বয়। যে সকল ব্যক্তির মধ্যে উভকামী যৌনপ্রবৃত্তি লক্ষিত হয়, তাঁরা "তাঁদের স্বলিঙ্গ এবং একই সঙ্গে বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের প্রতি [[যৌন আকর্ষণ|যৌন]], আবেগ ও স্নেহজাত আকর্ষণ অনুভব করেন"; "এছাড়াও এই প্রবৃত্তি এই ধরনের আকর্ষণের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিচিতি, এই জাতীয় আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সম্প্রদায়ের সদস্যতাটিও নির্দেশ করে।"<ref>[http://www.apahelpcenter.org/articles/article.php?id=31 APA Help Center]</ref> [[বিষমকামিতাবিপরীতকামিতা]] ও [[সমকামিতা]]র সঙ্গে উভকামিতা [[যৌন প্রবৃত্তি]]র প্রধান তিনটি বর্গের অন্যতম। <ref>উল্লেখ্য যে, যে সকল ব্যক্তিরা নারী বা পুরুষ কোনো লিঙ্গের প্রতিই যৌন আকর্ষণ বোধ করেন না, তাঁদের [[অযৌনতাকামী]] বলে অভিহিত করা হয়।
</ref> মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড অনেক আগেই যৌনপ্রবৃত্তি হিসেবে উভকামিতার অস্তিত্ব স্বীকার করে বলেছিলেন<ref>Steven Angelides , A History of Bisexuality, University Of Chicago Press; 1 edition,September 15, 2001</ref> -
:পৃথিবীর সব মানুষই আসলে উভকামী... এবং তাদের লিবিডো থাকে দুই লিঙ্গের পরিসীমায় বিন্যস্ত ...।
 
মধ্য-বিংশ শতাব্দীতে [[আলফ্রেড কিন্সে]] মানব যৌনতা সংক্রান্ত যে সমীক্ষাটি চালান, সেই সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে অনেক ব্যক্তিই [[বিষমকামীবিপরীতকামী]] বা [[সমকামী]] শ্রেণীবিভাজনের আওতাভুক্ত নন; বরং তাঁদের যৌন অবস্থান এই দুই শ্রেণীর মাঝামাঝি কোথাও।<ref>[http://www.kinseyinstitute.org/research/ak-data.html The Kinsey Institute - Kinsey Study Data [Research Program&#93;<!-- Bot generated title -->]</ref> [[কিন্সে স্কেল]] অনুসারে যৌন আকর্ষণ ও আচরণ স্কেলটিতে ০ (একান্ত বিষমকামীবিপরীতকামী) থেকে ৬ (একান্ত সমকামী) সাতটি দাগ বিদ্যমান। কিন্সের গবেষণা অনুযায়ী, অধিকাংশ মানুষই এই স্কেলে ১ থেকে ৫ (অর্থাৎ, বিষমকামীবিপরীতকামী থেকে সমকামী) দাগের মধ্যে পড়েন। কিন্সের পদ্ধতি সমালোচিত হলেও মানব যৌনতার অনবচ্ছেদ ব্যবস্থায় এটির ব্যাপক প্রয়োগ ঘটানো হয়ে থাকে। তবে, উভকামীরা অনেক সময়ই শুধু প্রথাগত সমাজ নয়, সমকামী এবং বিষমকামী – দু দল থেকেই বঞ্চনার স্বীকার হয়। বিষমকামী তো বটেই এমনকি সমকামী মানুষদেরও এমন ধারণাই বদ্ধমূল যে, বিষমকামিতারবিপরীতকামিতার বাইরে ‘সমান্তরাল যৌনপ্রবৃত্তি’ বা [[বিষমকামীবিপরীতকামী-সমকামী অনবচ্ছেদ]] বলতে কেবল সমকামিতাকেই বোঝায়। ব্যাঙ্গালোরের ‘পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টি’র ক্ষেত্র-সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে সমকামীরা উভকামীদের শুধু প্রত্যাখ্যানই করে না, ঘৃণাও করে <ref>[http://www.mukto-mona.com/Articles/avijit/shomokamita/index.htm অভিজিৎ রায়, সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান, শুদ্ধস্বর, ২০১০]</ref>। ফলে সংখ্যালঘু যৌন প্রবৃত্তির সদস্যদের মধ্যেও উভকামীরা দ্বিতীয়বার প্রান্তিক হিসেবে চিহ্নিত হয় <ref>অভিজিৎ রায়, পৃষ্ঠা ৪০-৪১</ref>।
 
মানবসভ্যতার বিভিন্ন সমাজব্যবস্থায়<ref name="Homosexuality and Civilization">{{cite book |last=Crompton |first=Louis |authorlink=Louis Crompton |title=Homosexuality and Civilization |publisher=[[Belknap Press]] |year=2003 |location=Cambridge, Massachusetts |isbn=067401197X }}</ref> এবং প্রাণীরাজ্যের অন্যত্রও<ref name="Biological Exuberance">{{cite book |last=Bagemihl |first=Bruce |authorlink=Bruce Bagemihl |title=Biological Exuberance: Animal Homosexuality and Natural Diversity |publisher=Profile Books, Ltd. |year=1999 |location=London |isbn=1861971826 }}</ref><ref name="Evolution's Rainbow">{{cite book |last=Roughgarden |first=Joan |authorlink=Joan Roughgarden |title=Evolution's Rainbow: Diversity, Gender, and Sexuality in Nature and People |publisher=[[University of California Press]] |month=May | year=2004 |location=Berkeley, CA |isbn=0520240731 }}</ref><ref name="Bi Species">{{cite news |last= Driscoll |first= Emily V. |title= Bisexual Species: Unorthodox Sex in the Animal Kingdom |publisher= [[Scientific American]] |date= July 2008 |url= http://www.sciam.com/article.cfm?id=bisexual-species }}</ref> লিখিত ইতিহাসের সমগ্র সময়কাল জুড়ে উভকামিতার উপস্থিতি লক্ষিত হয়। ''বাইসেক্সুয়ালিটি'' শব্দটি যদিও ঊনবিংশ শতাব্দীতে ''হেটেরোসেক্সুয়ালিটি'' ও ''হোমোসেক্সুয়ালিটি'' শব্দদুটির আদলে ব্যুৎপন্ন হয়।<ref name="Bisexuality etymonline.com">{{cite web |url=http://www.etymonline.com/index.php?term=bisexuality |title=Bisexuality |accessdate=2007-02-16 |author=Harper, Douglas |year=2001 |month=11 |work=Online Etymology Dictionary}}</ref>
 
[[বিষমকামিতাবিপরীতকামিতা]] এবং উভকামিতা ছাড়াও [[সমান্তরাল যৌনপ্রবৃত্তি]]র আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হচ্ছে [[রূপান্তরকামিতা]]।
 
== তথ্যসূত্র ==