চন্দ্রনাথ মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
http://bhramon.webs.com/travel থেকে সরাসরি টুকে দেওয়া অংশ অপসারণ
১৮ নং লাইন:
== শিব চতুর্দশী মেলা ==
এই মন্দিরে প্রতিবছর শিবরাত্রি তথা শিবর্তুদশী তিথিতে বিশেষ পূজা হয়; এই পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে বিশাল মেলা হয়। সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় এলাকা বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর বাংলা ফাল্গুন মাসে (ইংরেজী ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাস) বড় ধরনের একটি মেলার আয়োজন করে থাকে। যেটি শিবর্তুদর্শী মেলা নামে পরিচিত। এই মেলায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য সাধু এবং নারী-পুরুষ যোগদান করেন।
 
== দর্শনীয় জিনিস ==
সীতাকুন্ড থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের দূরত্ব খুব কম হওয়ায় রিক্সায় করেই যাওয়া যায়। তবে রিক্সায় যাওয়ার চেয়ে পায়ে হেটে গেলে ভ্রমণের আসল মজাটা উপভোগ করা যায়। সীতাকুন্ড থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যেতে পথে পড়বে অসংখ্য দর্শনীয় দৃশ্য। রিক্সায় করে গেলে সেই সব সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সীতাকুন্ড থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়ার সময় পথে হিন্দুদের বেশ কিছু ধর্মীয় স্থাপনা পর্যটকদের চোখে পড়বে। চলতি পথে চোখে পড়বে পেয়ারা, সুপারি, আম সহ আরও বিভিন্ন ধরনের বাগান। পাহাড়ের ভিতরের দিকে স্থানীয় নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর জনগণ জুম ও ফুলের চাষ করে। স্থানীয় নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা নামে পরিচিত। সীতাকুন্ড থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়ার পথে যে জিনিসটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে সেটি হলো পথিমধ্যে থাকা ছোট ছোট ঝর্নাগুলো। যাওয়ার পথে প্রথম যে ঝর্নাটি পড়বে সেখান থেকেই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠার রাস্তা দু-ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। যারা সহজ উপায়ে সরাসরি পাহাড়ে উঠতে চান তারা ডানদিকের সিড়িওয়ালা রাস্তাটি দিয়ে উপরে উঠতে পারেন এবং যারা পাহাড়ি পথ ডিঙিয়ে রোমাঞ্চের সাথে পাহাড়ে উঠতে চান তারা বামদিকের পাহাড়ি পথ দিয়ে উপরে উঠতে পারেন। উল্লেখ্য ডানদিকের পথটিতে সিড়ি থাকলেও পাহাড়ে উঠার ক্ষেত্রে বামদিকের পাহাড়ি পথটিই সহজ। আর পাহাড় থেকে নিচে নামার সময় ডানদিকের সিড়িওলা পথটিই সহজ। চন্দ্রনাথ মন্দির ছাড়াও এখানে সীতা মন্দির নামে আরও একটি মন্দির আছে। এই মন্দিরের কাছে মৃতপ্রায় একটি ঝর্না রয়েছে। তবে আপনি যদি ঝর্নার পানিতে গোসল করতে চান তাহলে আপনাকে পাহাড়ের গভীর বনের মধ্যে যেতে হবে। গ্রীষ্মকালে এই পাহাড় রুক্ষ্ম থাকলেও বর্ষাকালে বৃষ্টিস্নাত হয়ে পাহাড়ের গাছ, লতা, পাতা সবকিছু ধুয়ে মুছে পরিষ্কার সতেজ হয়ে পর্যটকদের মন প্রাণ ভরিয়ে তোলে। উল্লেখ্য বর্ষাকালে পাহাড়ে ওঠার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এসময় পাহাড়ি পথ ব্যবহার না করে সিড়ি পথটিই ব্যবহার করা সুবিধাজনক।
 
== তথ্যসূত্র ==