জৈবপ্রযুক্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৯ নং লাইন:
[[File:The Brewer designed and engraved in the Sixteenth. Century by J Amman.png|right|thumb|জৈবপ্রযুক্তির একটি প্রাচীন প্রয়োগ Brewing]]
যদিও কৃষিকাজে জৈবপ্রযুক্তি বহুকাল পূর্বে থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তবুও উদ্ভিদের চাষাবাদে এর আধুনিকতম প্রয়োগ দেখা যায়।<br />
[[প্রস্তর যুগ| প্রস্তর যুগের]] [[প্রথম কৃষি বিদ্রোহ]] ( Neolithic Revolution) এর পর থেকেই কৃষিকে খাদ্য উৎপাদনের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়। আধুনিক যুগের কৃষকেরা শ্রেষ্ঠ বীজ নির্বাচন ও ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলন ঘটিয়ে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার [[খাদ্য]] চাহিদা পূরণ করছে। যখন শস্য ও জমির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল তখন এমন কিছু জীব এবং তাদের [[উপজাতক|উপজাতকের]] সন্ধান পাওয়া যায় যারা [[মাটি|মাটির]] [[উর্বরাশক্তি]] বৃদ্ধি করে, [[নাইট্রোজেন সংবন্ধন]] করে, এবং [[ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ]] বা পেস্ট দমন করে। কৃষির ইতিহাসে দেখা যায়, [[কৃষক]] ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন উদ্ভিদের সাথে কোন [[উদ্ভিদ| উদ্ভিদের]] প্রজনন ঘটিয়ে উদ্ভিদের [[জিন|জিনে]] কিছু পরিবর্তণ ঘটিয়ে জৈবপ্রযুক্তির প্রাথমিক রূপ উন্মোচন করেছেন।<br />
[[বিয়ার|বিয়ারের]] [[গাঁজন]] ও আদিম জৈবপ্রযুক্তির একটি উদাহরণ।<ref>See Arnold, John P. (2005) [1911]. Origin and History of Beer and Brewing: From Prehistoric Times to the Beginning of Brewing Science and Technology. Cleveland, Ohio: BeerBooks. p. 34. ISBN 978-0-9662084-1-2. OCLC 71834130.</ref> এই পদ্ধতিগুলো [[মেসোপটেমিয়া]],[[মিসর]],[[চীন]] এবং [[ভারত]] এ প্রচলিত ছিল এবং পদ্ধতি গুলোর [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানিক]] মূলনীতিগুলো এখনো একই রয়েছে। ১৮৫৭ সালে [[লুই পাস্তুর]] এর গাঁজন বিষয়ক কাজের আগে এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বোঝা না গেলেও এটিই একপ্রকার খাদ্যকে অন্য প্রকার খাদ্যে রুপান্তরকারী জৈবপ্রযুক্তির প্রাথমিক রূপ। গাঁজন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার খাদ্যের [[কার্বোহাইড্রেট]] ভেঙ্গে [[অ্যালকোহল]] উৎপন্ন হয়।<br />
হাজার বছর ধরে মানুষ [[শস্য]] এবং [[জীবজন্তু]]র উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য [[কৃত্রিম প্রজনন]] পদ্ধতি ব্যাবহার করেছে। এই পদ্ধতিতে প্রত্যাশিত উন্নত বৈশিষ্ট্যধারী জীবের মিলনে সৃষ্ট সন্তান একই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বৃহত্তম ও সর্বাধিক মিষ্টি [[ভুট্টা]] উৎপাদন করা হয়েছিল।<ref name=Thieman>{{cite book |author=Thieman, W.J.; Palladino, M.A. |title=Introduction to Biotechnology |publisher=Pearson/Benjamin Cummings |year=2008 |isbn=0-321-49145-9 }}</ref><br />