উত্তম কুমার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
হালনাগাদ
citation link provided, wikifi
৭৫ নং লাইন:
}}
 
'''উত্তম কুমার''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Uttam Kumar) (জন্ম: [[সেপ্টেম্বর ৩]], [[১৯২৬]] - [[জুলাই ২৪]], [[১৯৮০]]) (প্রকৃত নাম '''অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়''') একজন [[ভারতীয়]]-[[বাঙালি]] চলচ্চিত্র অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক এবং পরিচালক। [[বাংলা চলচ্চিত্র|বাংলা চলচ্চিত্র জগতে]] তাঁকে 'মহানায়ক' আখ্যা দেওয়া হয়েছে।হয়েছে<ref name="bdnews24">{{cite web| url=http://bangla.bdnews24.com/glitz/article826258.bdnews |title= ‘ফ্লপমাস্টার’ থেকে ‘মহানায়ক’|date= 2014-07-24 |publisher= বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম|accessdate=21 July, 2014}}</ref>। চলচ্চিত্রে অভিনয় ছাড়াও তিনি সফলভাবে মঞ্চেও অভিনয় করেছিলেন ।
 
== প্রাথমিক জীবন ==
উত্তম কুমারের আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি [[কলকাতা]]য় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।কলকাতার সাউথ সাবার্বা‌ন স্কুল থেকে [[ম্যাট্রিক]] পাস করেন এবং পরে [[গোয়েঙ্কা কলেজে]] ভর্তি হন। কলকাতার পোর্টে চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি।পারেননি<ref name="bdnews24" />। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।
 
== কর্মজীবন ==
=== চলচ্চিত্র অভিনয় ===
 
উত্তম কুমারের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল দৃষ্টিদান। এই ছবির পরিচালক ছিলেন [[নিতীন বসু]]। এর আগে উত্তম কুমার '''মায়াডোর''' নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন কিন্তু সেটি মুক্তিলাভ করেনি।করেনি<ref name="bdnews24" />। '''বসু পরিবার''' চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এরপর [[সাড়ে চুয়াত্তর]] মুক্তি পাবার পরে তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি প্রথম অভিনেত্রী [[সুচিত্রা সেন|সুচিত্রা সেনের]] বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়।
 
উত্তমকুমার এবং [[সুচিত্রা সেন]] বাংলা চলচ্চিত্রে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অনেকগুলি ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং একই সাথে প্রশংসিত চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় একসাথে অভিনয় করেছিলেন। এগুলির মধ্যে প্রধান হল - হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা এবং সাগরিকা।
৮৯ নং লাইন:
উত্তম কুমার বহু সফল বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তাঁর অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ এবং আনন্দ আশ্রম অন্যতম। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথমটি নায়ক এবং দ্বিতীয়টি চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা চলচ্চিত্রে তিনি [[শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়]] সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র [[ব্যোমকেশ বক্সী|ব্যোমকেশ বক্সীর]] ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। রোমান্টিক ছবির ফাঁকে দু'একটা ভিন্ন সাদের ছবিতেও অভিনয় করছেন তিনি। এর মধ্যে একদিন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে ডাক পেলেন উত্তম 'নায়ক' ছবিতে অভিনয়ের জন্য।
 
পাড়ার অভিনেতা থেকে অরিন্দমের নায়ক হওয়ার গল্প নিয়ে ছবিতে উত্তম অভিনয় করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেকে। তবে উত্তম কুমার নিজেকে সু-অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করেন 'এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' ছবিতে স্বভাবসুলভ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কারণ এই ছবিতে উত্তম কুমার তার পরিচিত ইমেজ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। এতে তিনি সফলও হয়েছিলেন। উত্তমের সেই ভুবন ভোলানো হাসি, প্রেমিকসুলভ আচার-আচরণ বা ব্যবহারের বাইরেও যে থাকতে পারে অভিনয় এবং অভিনয়ের নানা ধরন, মূলত সেটাই তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন।১৯৬৭ সালে 'এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' ও 'চিড়িয়াখানা' ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন (তখন এই পুরস্কারের নাম ছিল 'ভরত')। অবশ্য এর আগে ১৯৫৭ সালে [[অজয় কর]] পরিচালিত '[[হারানো সুর']] ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন সমগ্র ভারতজুড়ে।[[ভারত|ভারতজুড়ে]]। সেই বছর 'হারানো সুর' পেয়েছিল রাষ্ট্রপতির [[সার্টিফিকেট অফ মেরিট]]। ইংরেজি উপন্যাস 'রানডম হারভেস্ট' অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। প্রযোজক ছিলেন উত্তম কুমার নিজেই। কমেডি চরিত্রেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। 'দেয়া নেয়া' ছবিতে হৃদয়হরণ চরিত্রে অভিনয় করে সেই প্রতিভার বিরল স্বাক্ষরও রেখে গেছেন। এক গানপাগল ধনীপুত্র অভিজিৎ চৌধুরীর বাবা কমল মিত্রের সঙ্গে রাগারাগি করে বন্ধু তরুণ কুমারের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। বাবা গান পছন্দ করেন না, কিন্তু অভিজিৎ চৌধুরীর লক্ষ্য ছিল অনেক বড় শিল্পী হওয়া। নায়িকা [[তনুজা|তনুজার]] মামা পাহাড়ি স্যানালের বাড়িতে হৃদয়হরণ নামে ড্রাইভারের কাজ নেয়। সাবলীল অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন হৃদয়হরণ চরিত্রটি। ছবিটির একটি আকর্ষণীয় সংলাপ ছিল “টাকাই জীবনের সবকিছু নয়”। এছাড়াও, অত্যন্ত চমকপ্রদ একটি গানও রয়েছে - “জীবন খাতার প্রতি পাতায়, যতোই করো হিসাবনিকাশ, পূর্ণ হবে না”। <ref>http://www.thedailysangbad.com/print_news.php?news_id=6744&pub_no=72</ref>
 
উত্তম কুমার অভিনীত, পরিচালিত, প্রযোজিত এবং সুরারোপিত চলচ্চিত্রের তালিকার জন্য দেখুন [[উত্তম কুমারের চলচ্চিত্রের তালিকা]] ।