বাংলাদেশের লোক সাহিত্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন:
 
==বাংলা লোক সাহিত্যের সাধক==
পল্লীর জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ লোক সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। এদের একটি বড় অংশ লোক-কবি যাদের সাধারণত বয়াতি বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন রাশিয়ার BAYAT শব্দ থেকে বয়াতি শব্দের উৎপত্তি।<ref>ভাষা-শিক্ষা - ড. হায়াৎ মামুদ।</ref>বাংলারউৎপত্তি।বাংলার [[মাঝি|মাঝিরা]] নৌকায় পাল তুলে মনের সুখে [[ভাটিয়ালি]] গান গায়। দেশের উত্তরাঞ্চলের [[গাড়োয়ান]]রা গাড়ি চালাতে চালাতে [[ভাওয়াইয়া]] গানের সুর তুলে। [[বাউল|বাউলেরা]] [[একতারা]] বাজিয়ে তাঁদের তত্ত্ব তুলে ধরেন।<ref>ভাষা-শিক্ষা - ড. হায়াৎ মামুদ।</ref><br />
তাঁদের কীর্তি আমাদের সামনে তুলে ধরতে কিছু মানুষ অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। [[নেত্রকোনা জেলা|নেত্রকোনা জেলার]] আইথর নামক স্থানের অধিবাসী [[চন্দ্রকুমার দে]] [[মৈমনসিংহ গীতিকা]] সংগ্রহ করেন। [[দীনেশচন্দ্র সেন|ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন]] এই গানগুলো সম্পাদনা করে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] হতে প্রকাশ করেন। পশ্চিমবঙ্গের [[আশুতোষ ভট্টাচার্য]] এবং বাংলাদেশের ড. মযহারুল ইসলাম সাম্প্রতিক সময়ে লোকসাহিত্য সম্পর্কে অনেক গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
 
১৪ নং লাইন:
 
===লোকগীতি===
বাংলাদেশের সংগীত মূলত কাব্যধর্মী। এদেশীয় সংগীতে [[বাদ্যযন্ত্র|বাদ্যযন্ত্রের]] চেয়ে মৌখিক সুরের দক্ষতার উপর অধিক নির্ভরশীলতা লক্ষ করা যায়। লোকগীতিকে আমরা সাতটি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করতে পারি। এগুলো হচ্ছেঃ প্রেম, [[ধর্ম|ধর্মীয় বিষয়]], [[দর্শন]] ও ভক্তি, কর্ম ও পরিশ্রম, পেশা ও জীবিকা, ব্যাঙ্গ ও কৌতুক এবং এসবের মিশ্রণ। অন্যদিকে এদেশীয় লোকসাহিত্যে আমরা গানের বিভিন্ন শাখা দেখতে পাই। এগুলো হচ্ছেঃ [[বাউল গান]], ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, [[গম্ভীরা]], [[কবিগান]], [[জারিগান]], [[সারিগান]], [[ঘাটু গান]],[[যাত্রা]] পালা,[[ঝুমুর গান]], [[জাগের গান]] প্রভৃতি।
 
====বাউল গান====
মূল নিবন্ধঃ [[বাউল]]।<br />
বাউল শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে।ইতিহাসবিদদের মতে, সতেরো শতকে বাংলাদেশে বাউল মতের উদ্ভব হয়। এ মতের প্রবর্তক হলেন আউল চাঁদ ও মাধববিবি। বীরভদ্র নামে এক বৈষ্ণব মহাজন সেই সময়ে একে জনপ্রিয় করে তোলেন। [[লালন|লালন সাঁইয়ের]] গানের মধ্য দিয়ে বাউল ব্যাপক পরিচতি লাভ করে। ২০০৫ সালে [[ইউনেস্কো]] বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মাঝে বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষনা করে।<ref>[http://www.unesco.org/culture/intangible-heritage/04apa_uk.htm '''UNESCO''']</ref>
====ভাওয়াইয়া====
মূল নিবন্ধঃ [[ভাওয়াইয়া]]।<br />
ভাওয়াইয়া গানের আকরভূমি রংপুর।<ref>দৈনিক ইত্তেফাক, বিনোদন প্রতিদিন, মুদ্রিত সংস্করণ, ২৩ জানুয়ারি, ২০১২ইং, পৃষ্ঠা নং-১৩</ref> বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নদী-নালা কম থাকায় গরুর গাড়িতে চলাচলের প্রচলন ছিল। আর গরুর গাড়ির গাড়োয়ান রাত্রে গাড়ি চলাবস্থায় বিরহ ভাবাবেগে কাতর হয়ে আপন মনে [[গান]] ধরে। উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ির চাকা পড়লে তার গানের সুরে আধো-ভাঙ্গা বা ভাঁজ পড়ে। এই রকম সুরে ভাঙ্গা বা ভাঁজ পড়া গীতরীতিই 'ভাওয়াইয়া' গানে লক্ষণীয়। এসকল গানে স্থানীয় সংস্কৃতি, জনপদের জীবনযাত্রা, তাদের কর্মক্ষেত্র, পারিবারিক ঘটনাবলী ইত্যাদি পরিলক্ষিত হয়।
====ভাটিয়ালি====
মূল নিবন্ধঃ [[ভাটিয়ালি]]।<br />
ভাটিয়ালী [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] ভাটি অঞ্চলের জনপ্রিয় লোকগীতি। বিশেষ করে নদ-নদী পূর্ণ [[ময়মনসিংহ]] অঞ্চলের [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র নদের]] উত্তর-পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতেই ভাটিয়ালী গানের মূল সৃষ্টি, চর্চাস্থল এবং সেখানে এ গানের ব্যপক প্রভাব রয়েছে। বাউলদের মতে ভাটিয়ালী গান হলো তাদের প্রকৃতিতত্ত্ব ভাগের গান।<ref name=chutirdin>""বাংলার গান", ছুটির দিন, [[দৈনিক প্রথম আলো]], ১৯শে এপ্রিল, ২০০৮, পৃ ৮।</ref> ভাটিয়ালী গানের মূল বৈশিষ্টা হলো এ গানগুলো রচিত হয় মূলত [[মাঝি]], [[নৌকা]], দাড়, গুন ইত্যাদি বিষয়ে।
 
==তথ্যসূত্র==