ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
BdEdit (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Mr. Anirban Das (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩০ নং লাইন:
}}
 
'''ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত''' (জন্ম: [[১৮১২]] - মৃত্যু: [[১৮৫৯]]) ঈশ্বর গুপ্তের প্রাথমিক পরিচিতি তিনি 'সংবাদ প্রভাকর'(বা 'সম্বাদ প্রভাকর')এর সম্পাদক। কিন্তু ব্যাপক ভাবে বলতে গেলে তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বাঙ্গালী কবি ও সাহিত্যিক। তিনিতাঁর মুখেহাত মুখেধরেই [[পদ্য]]মধ্যযুগের রচনাগণ্ডি করতেন।পেড়িয়ে বাংলা কবিতা আধুনিকতার পথে নাগরিক রূপ পেয়েছিল। তিনি "গুপ্ত কবি" নামে সমধিক পরিচিত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাঁর পরবর্তী সাহিত্যিকরা ঈশ্বর গুপ্তকে 'গুরু'পদে বরণ করেছিলেন। তাঁর ছদ্মনাম 'ভ্রমণকারী বন্ধু'। এছাড়া বহুবিধ পত্র-পত্রিকা সম্পাদনা ক'রে কবি-সাহিত্যিকদের উৎসাহ প্রদানের জন্য সমসাময়িককালে তিনি "কবিগুরু" হিসাবে আখ্যায়িতসম্পাদনা হতেন।করেছেন।
 
== জন্ম এ পারিবারিক পরিচিতি ==
তাঁর জন্ম চব্বিশ পরগনা জেলার কাঞ্চনপল্লী (বা কাঞ্চনপাড়া) গ্রামে, যা বর্তমান [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গে]] অবস্থিত। তাঁর পিতা হরিনারায়ণ দাশগুপ্ত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছিলেন। মায়ের নাম শ্রীমতি দেবী। তাঁর বয়স যখন দম তখন তাঁর মা পরলোকগমন করেন। এর পর থেকে তিনি কোলকাতার জোড়াসাঁকোতে মামার বাড়ীতে বাস করতে শুরু করেন। মাত্র ১৫ বৎসর বয়সে তাঁর বিয়ে হয় গৌরহরি মল্লিকের কন্যা রেবার সঙ্গে।<ref name="বাংলাপিডিয়া">[http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/G_0231.HTM বাংলাপিডিয়া ]</ref>
 
== কর্ম জীবন ==
১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[সংবাদ প্রভাকর]] পত্রিকার সম্পাদনায় নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি তিনি [[সংবাদ রত্নাবলী]] পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ''সংবাদ প্রভাকর'' ছিল একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, তিনি এটিকে দৈনিকে রূপান্তর করেন ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে [[সাপ্তাহিক পাষণ্ড]] পত্রিকার সঙ্গে সম্পাদক হিসাবে সংযুক্ত। পরবতী বৎসর তিনি [[সংবাদ সাধুরঞ্জন]] পত্রিকার দায়িত্বভার পালন করেন। তিনি গ্রাম গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন এবং [[কবিগান]] বাঁধতেন। প্রায় বারো বৎসর গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে তিনি প্রাচীন কবিদের তথ্য সংগ্রহ ক'রে জীবনী রচনা করেছেন। <ref name="বাংলাপিডিয়া"/><ref>[http://banglalibrary.evergreenbangla.com/blog/492 বাংলা সাহিত্যের সামায়িকপত্র ও সম্পাদক]</ref>
 
== সাহিত্যকীর্তি ==
 
প্রথমেই স্বীকার করে নিতে কোন দ্বিধা নেই যে ঈশ্বর গুপ্ত বড় মাপের প্রতিভাবান কবি ছিলেন না। তাঁর কবি প্রতিভা কিছুটা 'সাংবাদিক' ধরনের। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে তাঁর চিরস্থায়ী আসনলাভ সম্ভব হয়েছে কারন একদিকে মধ্যযুগের দেবমাহাত্ম্য ব্যঞ্জক বিষয় থেকে বাংলা কবিতাকে মুক্ত করে তিনি যেমন অনায়াসে 'পাঁঠা', 'আনারস', 'তোপসে মাছ' ইত্যাদি বিষয় অবলম্বনে কবিতা লেখেন; তাঁর কবিতায় উঠে আসে সমসাময়িক রাজনইতিক,সামাজিক ঘটনাবলির চিত্ররূপ তাঁর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে। তৎকালীন কবিওয়ালা দের জিম্মা থেকে বাংলা কবিতাকে তিনি নাগরিক বৈদগ্ধ ও মার্জিত রুচির আলোয় নিয়ে আসেন।
সাংবাদিক রূপেও ঊনবিংশ শতকের এই আধুনিক মানুষটি যথাযোগ্য কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন।
 
=== নমুনা পদ্য ===