যৌক্তিক ইতিবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Gomukhi (আলোচনা | অবদান)
Gomukhi (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''যৌক্তিক ইতিবাদ''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Logical Positivism) মূলত [[ভিয়েনা চক্র]] প্রদত্ত কতগুলো [[দার্শনিক]] চিন্তার সামগ্রিক রূপ।<ref name="ReferenceAদার্শনিক প্রবন্ধাবলি">হালিম,{{Cite book |author=মো. আবদুল, হালিম |title=দার্শনিক প্রবন্ধাবলি : তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ, মে|url= ২০০৩,|chapter= |publisher=[[বাংলা একাডেমি,]] |location=ঢাকা |date=মে ২০০৩ | |isbn= |page= |quote=}}</ref> ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের [[দর্শন]] ও বিজ্ঞানের কয়েকজন শিক্ষক এ-চিন্তাধারার বাহক ও ধারক। এ-দর্শন একদিকে যুক্তিধর্মী, অন্যদিকে বিজ্ঞানভাবাপন্ন। এ-দর্শনের দার্শনিকরা ভাষার যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও অর্থ পরিষ্করণে আগ্রহী। তারা বিজ্ঞানের বাক্যগুলোকে বিশ্লেষণ, শ্রেণিকরণ এবং সম্পর্ক নির্ণয়নের ব্যবস্থা করেন এবং এজন্য তারা দর্শনকে বিজ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেন।
== যৌক্তিক ইতিবাদী দার্শনিক ==
যৌক্তিক ইতিবাদ ভিয়েনা চক্রীয় [[দার্শনিক আন্দোলন]] হিসেবেও খ্যাত। উনবিংশ শতাব্দির শেষদিক থেকে বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত এ-আন্দোলনের ব্যাপ্তিকাল। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও বিজ্ঞানে নিয়োজিত কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যৌক্তিক ইতিবাদী চিন্তার অগ্রনায়ক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরোহী বিজ্ঞানের দর্শনের অধ্যাপক [[মরিস শ্লিক]]কেই এ-দর্শনের উদ্গাতা বলে অভিহিত করা হয়।<ref name="ReferenceAদার্শনিক প্রবন্ধাবলি"></ref> তিনি ছাড়া আর যাদের নাম যৌক্তিক ইতিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়: [[রুডলফ কারনাপ]], নিউরাথ, ফাইগল, ভাইজম্যান।[[এ জে এয়ার]] দর্শনের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৩৩ সালে এ-চক্রের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন।
== যৌক্তিক ইতিবাদের লক্ষ্য ==
যৌক্তিক ইতিবাদের প্রধান লক্ষ্য দুটো : ১)তত্ত্ববিদ্যার অসারতা প্রতিপন্ন করা এবং ২) বিজ্ঞানকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করা।<ref>{{Cite book |author=মো. বজলুর করিম |editor= |title=হেগেলোত্তর দর্শন |url= |chapter= |publisher= |date= | |isbn= |page=১৭৫ |quote=}}</ref> এ-দুই উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা হয়, তা হচ্ছে ভাষার যৌক্তিক বিশ্লেষণ। ভাষা বিশ্লেষণের মাধ্যমে [[অধিবিদ্যা]] তথা তত্ত্ববিদ্যার অসারতা প্রতিপন্ন করার প্রয়াসকেই নব্য ইতিবাদীবা মৌলিকত্ব বলে দাবি করেন। দর্শনের ক্রমবিকাশের ইতিহাসে উৎকর্ষ ও ধ্বংসের পর্যায় পরিলক্ষিত হয়। হেগেলীয় ও নব্য হেগেলীয় দর্শনে চরম উৎকর্ষের একটা অশনিসংকেত লক্ষ করা যায় যৌক্তিক ইতিবাদীদের তত্ত্ববিদ্যার অসারতা প্রমাণের প্রয়াসের মধ্যে।