কুমারী পূজা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
Moheen (আলোচনা | অবদান)
৪ নং লাইন:
== পৌরাণিক উপাখ্যান ==
শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে থেকে। গল্পে বর্ণিত রয়েছে, কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সে সকল দেবগণের আবেদনে সাড়া দিযে় দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।<ref name="বাংলাপিডিয়া"></ref>
 
== বর্ণনা ==
''যোগিনীতন্য'', ''কুলার্ণবতন্য'', ''[[দেবীপুরাণ]]'', ''[[স্তোত্র]]'', ''[[কবচ]]'', ''সহস্রনাম'', ''তন্যসার'', ''প্রাণতোষিণী'', ''পুরোহিতদর্পণ'' প্রভৃতি ধর্মীয় গ্রন্থে কুমারী পূজার পদ্ধতি এবং মাহাত্ম্য বিশদভাবে বর্ণিত হযে়ছে। বর্ণনানুসারে কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয়, এমনকি বেশ্যাকুলজাত কুমারীও। তবে সাধারণত [[ব্রাহ্মণ (বর্ণ)|ব্রাহ্মণ]] কুমারী কন্যার পূজাই সর্বত্র প্রচলিত। এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেযে়র পূজা করা যায়। বয়সের ক্রমানুসারে পূজাকালে এই সকল কুমারীদের বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।<ref name="বাংলাপিডিয়া"></ref>
{{div col|2}}
* এক বছরের কন্যা — সন্ধ্যা
* দুই বছরের কন্যা — সরস্বতী
* তিন বছরের কন্যা — ত্রিধামূর্তি
* চার বছরের কন্যা — কালিকা
* পাঁচ বছরের কন্যা — সুভগা
* ছয় বছরের কন্যা — উমা
* সাত বছরের কন্যা — মালিনী
* আট বছরের কন্যা — কুষ্ঠিকা
* নয় বছরের কন্যা — কালসন্দর্ভা
* দশ বছরের কন্যা — অপরাজিতা
* এগারো বছরের কন্যা — রূদ্রাণী
* বারো বছরের কন্যা — ভৈরবী
* তেরো বছরের কন্যা — মহালপ্তী
* চৌদ্দ বছরের কন্যা — পীঠনাযি়কা
* পনেরো বছরের কন্যা — ক্ষেত্রজ্ঞা
* ষোলো বছরের কন্যা — অন্নদা বা অমিবকা
{{div col end}}
 
== তথ্যসূত্র ==