দুর্গেশনন্দিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২২ নং লাইন:
| followed_by =
}}
'''''দুর্গেশনন্দিনী''''' [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]] রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস। ১৮৬৫ সালের মার্চ মাসে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। ''দুর্গেশনন্দিনী'' বঙ্কিমচন্দ্রের চব্বিশ থেকে ছাব্বিশ বছর বয়সের রচনা। এই উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলা কথাসাহিত্যের ধারায় এক নতুন যুগ প্রবর্তিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে উড়িষ্যার অধিকারকে কেন্দ্র করে মুঘলমোঘল ও পাঠানের সংঘর্ষের পটভূমিতে এই উপন্যাস রচিত হয়। তবে এটিকে সম্পূর্ণরূপে ঐতিহাসিক উপন্যাস মনে করা হয় না। কোনো কোনো সমালোচক এই উপন্যাসে [[ওয়াল্টার স্কট|ওয়াল্টার স্কটের]] ''[[আইভানহো]]'' উপন্যাসের ছায়া লক্ষ্য করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশায় এই উপন্যাসের তেরোটি সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং ইংরেজি ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষাতেও এটি অনূদিত হয়।
 
== আখ্যানবস্তু ==
দিল্লীশ্বরের প্রধান সেনাপতি অম্বররাজ মানসিংহের পুত্র জগৎসিংহকুমার জগৎ সিংহ বিষ্ণুপুর থেকে মান্দারণ যাত্রাকালে ঝড়ের কবলে পড়ে শৈলেশ্বর মহাদেবের মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেখানে ঘটনাচক্রে মান্দারণ দুর্গাধিপতি জয়ধর সিংহের একমাএ পুএ মহারাজ বীরেন্দ্র সিংহের স্ত্রী বিমলা ও তারতাঁর কণ্যা মেয়ে''''দুর্গেশনন্দিনী'''' তিলোত্তমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। পরস্পর পরস্পরের প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখলেও জগৎসিংহ ও তিলোত্তমা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হন। পরে পাঠানদেরপাঠান সঙ্গেসেনাপতি বীরেন্দ্রওসমান সিংহেরখাঁ যুদ্ধসুকৌশলে বাঁধে।মান্দারণ দুর্গ অধিকার করে ও বীরেন্দ্র সিংহ এবং তাঁর স্ত্রী বিমলাকতলুকণ্যা খাঁতিলোত্তমাকেও যুদ্ধেবন্দী নিহতকরে। হন।কুমার জগৎসিংহজগৎ সিংহও বন্দী হন। যদিও পাঠান নবাব কতলু খাঁর প্রহসণের ন্যায় বিচারে বীরেন্দ্র সিংহকে হত্যা করা হয়। নিহত বীরেন্দ্র সিংহের স্ত্রী বিমলা পাঠান নবাব কতলু খাঁকে হত্যা করে পতি হত্যার প্রতিশোধ নেয়। পাঠানেরা মানসিংহেরকুমার জগৎ সিংহের মাধ্যমে অম্বররাজ মানসিংহ তথা দিল্লীশ্বরের সঙ্গে সন্ধি করেন। অন্যদিকে কতলু খাঁ’রখাঁর কন্যা নবাবজাদী আয়েষা জগৎসিংহেরজগৎ সিংহের প্রেমে পড়েন। আয়েষা’রআয়েষার প্রণয়ী ওসমানেরপাঠান সেনাপতি ওসমান একথা জানার পর ক্রোধে কুমার জগৎ সিংহের সঙ্গে জগৎসিংহেরদ্বন্দ্বযুদ্ধে দ্বন্দ্ব্বযুদ্ধঅবতির্ণ হয়।হন। পরিশেষে জগৎসিংহমান্দারণ পুনরায় স্বাধীন হয় দিল্লীশ্বরের প্রধান সেনাপতি অম্বররাজ মানসিংহের মাধ্যমে মহারাণী বিমলার হস্তে রাজ্যপাঠ হস্তান্তরিত হয় এবং মহাধুমধামের সাথে কুমার জগৎ সিংহ ও ''দুর্গেশনন্দিনী'' তিলোত্তমার মিলন ঘটে।
 
== রচনার ইতিহাস ==
বঙ্কিমচন্দ্রের ভ্রাতুষ্পুত্র শচীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ১৮৬২ সালে চব্বিশ বছর বয়সে বঙ্কিমচন্দ্র ''দুর্গেশনন্দিনী'' উপন্যাস রচনার কাজে হাত দেন। <ref name = asitban8>''বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত'', অষ্টম খণ্ড, অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, মডার্ন বুক এজেন্সি প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ২০০৭, পৃষ্ঠা ৪৯৩-৫০২</ref> ১৮৬৩ সালে [[খুলনা|খুলনায়]] ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কার্য নির্বাহকালে উপন্যাস রচনার কাজ সমাপ্ত হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==