আসাম আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Cat+ Ref+
১ নং লাইন:
'''অসম আন্দোলন''' (ইংরেজি:Assam Movement or Assam Agitation) হচ্ছে ১৯৭৯সন১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সনেরসালের ভিতরেমধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরঅনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অসমীয়া মানুষের করা আন্দোলন। ইহাকে স্বাধীন ভারতের অন্যতম আন্দোলন হিসেবে গন্য করা হয়েছে। [[সদৌ অসম ছাত্র সন্থাসংস্থা]] ও সদৌ অসম গন সংগ্রাম পরিষদ এই আন্দোলনের নেতৃত্ব বহন করেছিল।<ref name=digi>[http://dm.architexturez.org/digitalNE/assam%20agitation.htm]Digital NorthEast</ref> প্রথম অবস্থায় এই আন্দোলন অহিংসা রুপেরূপে আরম্ভ হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেলীর হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক রুপরূপ ধারনধারণ করেছিল। ১৯৮৫ সনেসালে আন্দোলনের নেতানেতৃবৃন্দ[[ভারত সরকার|ভারত সরকারের]] মধ্যে হওয়া চুক্তির ফলে অসম আন্দোলন সমাপ্ত হয়েছিল। চুক্তির পর আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী নেতারা একত্রিত হয়ে [[অসম গণ পরিষদ]] নামক রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি করেন। ১৯৮৫ সাল ও ১৯৯৬ সালে এই দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল।
চুক্তির পর আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী নেতারা একত্রিত হয়ে অসম গন পরিষদ নামক রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি করেন। ১৯৮৫ সন ও ১৯৯৬ সনে এই সংখ্যাগরীষ্ঠ লাভ করে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল।
==ইতিহাস==
১৯৭১ সনেরসালের বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধের সময় বহুসংক্ষকবহুসংখ্যক লোকমানুষ [[ভারত]] তথা [[অসম|অসমে]] আশ্রয় নিয়েছিল। [[বাংলাদেশ]] স্বাধীন হওয়ার পর অনেকে বাংলাদেশ ফিরে গিয়েছিলোগেলেও যদিও অনেক লোকঅনেকে এখানেই থেকে যায়।যান। ১৯৭৮ সনেসালে প্রথমবার অনুপ্রবেশকারীর সমস্যা অসমের স্থানীয় লোকের দৃষ্টি আকর্ষন করে। ১৯৭৮ সনেরসালের ২৮ মার্চে লোকসভার সদস্য হীরালাল পাটোয়ারীর মৃত্যুর ফলে মঙ্গলদৈ লোকসভা সমষ্টিতে উপ-নির্বাচনের প্রয়োজন হয়। ১৯৭৮ সনের ২৭ এপ্রিল ভোটার তালিকা সংশোধন কার্যে জানা যায় যে মঙ্গলদৈ সমষ্টিতে ৪৫০০০ সন্দেহযুক্ত বাংলাদেশী ব্যাক্তিরব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত আছে।<ref name=barua>সংক্ষিপ্ত অসমীয়া বিশ্বকোষ (প্ৰথম খণ্ড), শান্তনু কৌশিক বরুয়া</ref> ১৯৭৯ সনেরসালের মার্চ মাসে [[সদৌ অসম ছাত্র সন্থারসংস্থা|সদৌ অসম ছাত্র সংস্থার]] সভায় [[প্রফুল্ল কুমার মহন্ত]][[ভৃগু কুমার ফুকন]] ক্রমে সভাপতি ও সম্পাদকের পদে নিযুক্তি হয়।নিযুক্ত হন। ১৯৭৯ সনেরসালের ২৭জুনে২৭ জুন সদৌ [[সদৌ অসম ছাত্র সংস্থা|সদৌ অসম ছাত্র সন্থারসংস্থার]] নেতৃত্বে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপ্রবেশকারীর সমস্যার সমন্ধে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সভায় জাতীয়তাবাদী দল অসমে অনুপ্রবেশকারীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অসমে নির্বাচন বন্ধ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।<ref name=barua/> [[সদৌ অসম ছাত্র সন্থাসংস্থা “ বিদেশী“বিদেশী বহিস্কারের” দাবিতে আন্দোলন করার সিন্ধান্ত নেয়। ফলে ১৯৭৯ সনেসালের সেপ্তেম্বরসেপ্টেম্বর মাসে শ্রেনীশ্রেণী বর্জন ও ধর্নাধর্ণা কার্যসূচী পালন করা হয়। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীমুখ্য নির্বাচন আয়োগ ১৯৭৮ সনেরসালের ভোটার তালিকা মতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য আদেশ দেন। বিদেশী অন্তর্ভুক্ত তালিকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য অসমের স্থানীয় ব্যাক্তিরাব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয় ও হিংসাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি করেন।হয়। ১৯৮০ সনেরসালের ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আবেদেনকারী প্রার্থীকে বাধা দেওয়ার ফলে ভবানীপুরে খর্গেশ্বরখড়্গেশ্বর তালুকদারের মৃত্যু হয়েছিল ।হয়েছিল। তিনি ছিলেন অসম আন্দোলনের প্রথম শ্বহীদ।শহীদ।<ref name=barua/> অসম আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ্র ও তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী]] এই সমন্ধে একটি আলোচনা সভার আ্য়োজন করেছিলেন। আন্দোলনকারীরা ১৯৫১ সালের ভোটের তালিকাকে ভিত্তি করে বিদেশী বহিস্কারের দাবি জানায় কিন্তু ভারত সরকার ১৯৬৬ সালের ভোটের তালিকাকে ভিত্তি করার প্রস্তাব দেন ফলে আলোচনা অসমাপ্ত থাকে। ১৯৮০ সালের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় সরকার এই আন্দোলনের প্রতি কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন। এই সময়ে অসমের বিভিন্ন স্থানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকে। ১৯৮৩ সালে জনসাধারনের কঠোর বিরোধ থাকা সত্বেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও নির্বাচনে [[হিতেশ্বর শইকিয়া]] মুখ্যমন্ত্রী হন। এই আন্দোলনে অসমের নগাওয়ের নেলী নামক স্থানে অবৈধ বাংলাদেশী ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ড [[নেলীর হত্যাকান্ড]] নামে পরিচিত। নেলীর হত্যাকান্ডে প্রায় ১৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল ও আন্দোলনের সময়ে ৮৫৫ জন ছাত্র সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল।<ref name=nchro>[http://www.nchro.org/index.php?option=com_content&view=article&id=6610:it-is-26-years-since-nellie-massacre-victims-still-await-justice-&catid=12:stateviolations&Itemid=7]It is 26 years since Nellie massacre:victims still await justice</ref> ১৯৮৪ সনে [[ইন্দিরা গান্ধী|ইন্দিরা গান্ধীর]] মৃত্যুর পর তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী [[রাজীব গান্ধী]] এই সমন্ধে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। অবশেষে ১৯৮৫ সনের ১৫ আগষ্ট আন্দোলনকারী নেতা ও রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লীতে [[অসম চুক্তি]] সাক্ষর করেন।
অসম চুক্তির সর্তগুলোশর্তগুলো হচ্ছে:
অসম আন্দোলনের দাবী সমুহ: বাংলাদেশীকে সনাক্ত করে ভারতীয় ভোটার তালিকা থেকে নাম অপসারন করা ও অসম থেকে বহিস্কার করা।
*১৯৬১ সনেরসালের পুর্বে বাংলাদেশ থেকে অসমে আসা ব্যাক্তিদেরব্যক্তিদের পূর্ননাগরিকত্ব প্রদান ও ভোটাধিকারের সুবিধা প্রদান।
অসমরে স্থানীয় বাসিন্দারা এই আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। অসম আন্দোলনের নেতা ও তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই সমন্ধে একটি আলোচনা সভার আ্য়োজন করেছিলেন। আন্দোলনকারীরা ১৯৫১ সনের ভোটের তালিকাকে ভিত্তি করে বিদেশী বহিস্কারের দাবি জানায় কিন্তু ভারত সরকার ১৯৬৬ সনের ভোটের তালিকাকে ভিত্তি করার প্রস্তাব দেন ফলে আলোচনা অসমাপ্ত হয়ে থাকে। ১৯৮০ সনের শেষের দিকে কেন্দ্রিয় সরকার এই আন্দোলনের প্রতি কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন। এই সময়ে অসমের বিভিন্ন স্থানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকে। ১৯৮৩ সনে জনসাধারনের কঠোর বিরোধ থাকা সত্বেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও নির্বাচনে হিতেশ্বর শইকিয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়। এই আন্দোলনে অসমের নগাওয়ের নেলী নামক স্থানে অবৈধ বাংলাদেশী ব্যাক্তিকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ড নেলীর হত্যাকান্ড নামে পরিচিত। নেলীর হত্যাকান্ডে প্রায় ১৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল ও আন্দোলনের সময়ে ৮৫৫ জন ছাত্র সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৮৪ সনে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এই সমন্ধে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। অবশেষে ১৯৮৫ সনের ১৫ আগষ্ট আন্দোলনকারী নেতা ও রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লীতে অসম চুক্তি সাক্ষর করেন।
*১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সনেরসালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অসমে আসা ব্যাক্তিদেরব্যক্তিদের ভোটাধিকার সুবিধা বাতিল করা ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা প্রদান করা ।
অসম চুক্তির সর্তগুলো হচ্ছে:
*১৯৭১ সনেরসালের পরে অসমে আসা বাংলাদেশী ব্যাক্তিদেরব্যক্তিদের সনাক্ত করা ও অসম থেকে বহিষ্কার করা ।
*১৯৬১ সনের পুর্বে বাংলাদেশ থেকে অসমে আসা ব্যাক্তিদের পূর্ননাগরিকত্ব প্রদান ও ভোটাধিকারের সুবিধা প্রদান।
অসম চুক্তির পর [[হিতেশ্বর শইকিয়ারশইকিয়া]]র নেতৃত্বে থাকা সরকার পদত্যাগ করেন ও আন্দোলনকারী নেতারা একত্রিত হয়ে [[অসম গনগণ পরিষদ]] নামক রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি করেন। ১৯৮৫ সালের নির্বাচনে এই দল সংখ্যাগরিষ্ঠ লাভ করে সরকার গঠন করেন ও [[প্রফুল্ল কুমার মহন্ত]] মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।
*১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অসমে আসা ব্যাক্তিদের ভোটাধিকার সুবিধা বাতিল করা ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা প্রদান করা ।
 
*১৯৭১ সনের পরে অসমে আসা বাংলাদেশী ব্যাক্তিদের সনাক্ত করা ও অসম থেকে বহিষ্কার করা ।
অসম চুক্তির পর হিতেশ্বর শইকিয়ার নেতৃত্বে থাকা সরকার পদত্যাগ করেন ও আন্দোলনকারী নেতারা একত্রিত হয়ে অসম গন পরিষদ নামক রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি করেন।
১৯৮৫ সনের নির্বাচনে এই দল সংখ্যাগরিষ্ঠ লাভ করে সরকার গঠন করেন ও প্রফুল্ল কুমার মহন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়।
==অসম আন্দোলনের ফলাফল==
{{main|অসম চুক্তি}}
২৬ ⟶ ২৪ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:অসমের রাজনীতি]]