আরব বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বট বানান ঠিক করেছে |
বট বানান ঠিক করেছে |
||
২১ নং লাইন:
{{Campaignbox Arab Revolt (World War I)}}<!-- {{WWITheatre}} -->
'''আরব বিদ্রোহ''' (১৯১৬-১৯১৮) ({{lang-ar|'''الثورة العربية'''}} ''Al-Thawra al-`Arabiyya'') ({{lang-tr|Arap İsyanı}}) [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|শরিফ হুসাইন বিন আলী]] কর্তৃক সূচিত হয়। [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|
== পটভূমি ==
২৯ নং লাইন:
উসমানীয় সাম্রাজ্যে [[উসমানীয় সাম্রাজ্যে জাতীয়তাবাদের উত্থান|জাতীয়তাবাদের উত্থান]] হয় ১৮২১ সালের দিকে। [[আরব জাতীয়তাবাদ|আরব জাতীয়তাবাদের]] ভিত্তিভূমি ছিল [[মাশরিক]] ([[মিশর|মিশরের]] পূর্বদিকের আরব ভূমি) বিশেষ করে [[বিলাদ আল-শাম|শামে]]। আরব জাতীয়তাবাদীদের রাজনৈতিক ঝোক [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] আগে সহনীয় ছিল। আরবদের দাবিগুলো ছিল সংস্কারবাদী ধরনের। সাধারণ স্বায়ত্বশাসন, শিক্ষায় [[আরবি|আরবির]] ব্যবহার বাড়ানো ও শান্তিকালীন সামরিক বাহিনীতে যোগদানের নিয়ম পরিবর্তন এসবেই সীমাবদ্ধ ছিল।
১৯০৮ সালের ৩ জুলাই [[তরুণ তুর্কি আন্দোলন]] শুরু হয় এবং খুব দ্রুত তা সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সুলতান [[দ্বিতীয় আবদুল হামিদ]] ১৮৭৬ সালের সংবিধান পুনঃস্থাপন ও সংসদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়কে [[দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগ]] বলা হয়। ১৯০৮ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তরুণ তুর্কিরা তাদের [[কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রগ্রেস|কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রগ্রেসের]] মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী [[প্রিন্স শাবাহাদ্দিন|প্রিন্স শাবাহাদ্দিনের]] দলকে পরাস্ত করতে সমর্থ হন। সিইউপি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে উদারনৈতিক ছিল। সেসাথে তারা ব্রিটিশদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুলতানের নিকটবর্তী ছিল। নতুন সংসদ ১৪২ জন তুর্কি, ৬০ জন আরব, ২৫ জন আলবেনিয়ান, ২৩ জন গ্রীক, ১২ জন আর্মেনিয়ান, ৫ জন ইহুদি, ৪ জন বুলগেরিয়ান, ৩ জন সার্ব ও ১ জন ভ্লাচ নিয়ে গঠিত হয়।
এই পর্যায়ে আরব জাতীয়তাবাদ কোনো গণ আন্দোলন ছিল না। সিরিয়ায় এই ধারণা সবচেয়ে শক্ত থাকলেও সেখানের পরিস্থিতিও অনুরুপ ছিল। অধিকাংশ আরবই তাদের ধর্ম, গোত্র বা নিজেদের নিজস্ব সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করত। [[
সংসদের আরব সদস্যরা ১৯০৯ সালের [[
১৯১৩ সালে আরব মাশরিকের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা [[প্যারিস|প্যারিসে]] অনুষ্ঠিত প্রথম [[আরব কংগ্রেস|আরব কংগ্রেসে]] মিলিত হন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভেতরে স্বায়ত্বশাসনের জন্য তারা একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করেন। সেই সাথে এও দাবি করেন যে বাধ্যতামূলকাভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া আরবদেরকে যুদ্ধের সময় ছাড়া অন্য অঞ্চলে পাঠানো যাবে না।
== শক্তিসমূহ ==
প্রায় ৫০০০ জন সৈনিক আরব বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে বলে ধারণা করা হয়।<ref name="Murphy, David page 34">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 34.</ref> তবে এখানে শুধু [[সিনাই ও ফিলিস্তিন অভিযান]] ও [[এডমন্ড এলেনবি|এডমন্ড এলেনবির]] মিশরীয় বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্টদেরকেই হিসাব করা হয়। [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সাল]] ও [[টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স|লরেন্সের]] সাথে অংশগ্রহণকারী অনিয়মিত বাহিনীর সৈনিকদেরকে বিবেচনায় আনা হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সিরিয়ায় চূড়ান্ত অভিযানের সময় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। অনেক আরব বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্রোহে অংশ নিত। যখন অভিযানের অগ্রগতি দেখা যেত বা নিজেদের বাসভূমির এলাকায় প্রবেশ করতে তখন তারা এতে যোগ দেয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 20-21.</ref> আকাবা অভিযানের সময় প্রথমদিকে আরব বাহিনীতে মাত্র কয়েকশত সৈনিক ছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় গোত্রগুলো থেকে এক হাজারের বেশী মানুষ আকাবায় চূড়ান্ত অভিযানের জন্য যোগ দেয়। হুসাইনের সৈন্যসংখ্যার বিভিন্ন বিবরণ পাওয়া যায়। কিন্তু ১৯১৮ সাল নাগাদ তাদের সংখ্যা ৩০,০০০ এর মত ছিল। হাশেমি সৈন্যবাহিনী দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত ছিলঃ গোত্রীয় অনিয়মিত সৈন্য যারা
১৯১৭ সালে হেজাজে প্রায় ২০,০০০ জন
যুদ্ধে আরব বিদ্রোহের মূল অবদান ছিল দশ হাজার
== সংঘাত ==
৪৮ নং লাইন:
[[চিত্র:Lcamel.jpg|thumb||200px|আকাবার যুদ্ধের পর উটের পিঠে লরেন্স।]]
উসমানীয় সাম্রাজ্য [[
=== ভূমিকা ===
১৯১৬ সালের ৮ জুনের দিকে পবিত্র শহর [[মক্কা|মক্কার]] অভিভাবক [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইন বিন আলী]] [[যুক্তরাজ্য]] ও [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] পক্ষে যোগদান করেন। প্রকৃত তারিখ জানা যায়নি।
হুসাইনের অধীনে ৫০,০০০ এর মত অস্ত্রধারী লোক ছিল। কিন্তু রাইফেলধারীর সংখ্যা ছিল ১০,০০০ এর কম।<ref name="proceedings">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.75</ref>
ব্রিটিশ ও ফরাসি নৌবাহিনী [[লোহিত সাগর]] থেকে
=== ১৯১৬ : টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স ===
৬৫ নং লাইন:
আরব বিদ্রোহের সাফল্যের জন্য ডেভিড হোগার্থ [[গারট্রুড বেল|গারট্রুড বেলকে]] কৃতিত্ব দেন। তিনি অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক হন। ১৮৮৮ সাল থেকে শুরু করে তিনি ব্যাপকভাবে মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করেন। ১৯১৪ সালের জানুয়ারি বেল [[হাউয়িতাত]] গোত্রের শেখ হার্বের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং লরেন্সের আকাবা দখলের জন্য প্রয়োজন এমন তথ্য সরবরাহ করেন। ডেভিড হোগার্থ বলেন যে লরেন্স তার রিপোর্টের উপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং যা ১৯১৭ ও ১৯১৮ সালের আরব অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।<ref>Wallach, Janet ''Desert Queen The Extraordinary Life of Gertrude Bell Adventurer, Adviser to Kings, Ally of Lawrence of Arabia'', London: Phoenix/Orion Books Ltd, 1997 pages 25, 115–8, 202.</ref>
১৯১৬ সালের ডিসেম্বরে লরেন্স ইয়ানবোতে একটি
১৯১৬ সালের ১ ডিসেম্বর [[ফখরি পাশা]] [[ইয়ানবো]] বন্দর দখল করার জন্য তিন ব্রিগেড সৈন্য নিয়ে অগ্রসর হন।<ref name="Murphy, David page 36"/> ফখরি পাশার সৈনিকরা বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে হাশেমি বাহিনীকে পরাজিত করে ও বন্দর দখল করে।<ref name="Murphy, David page 37">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 37.</ref> কিন্তু ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী ইয়ানবো আক্রমণ করে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিসহ তুর্কিরা পরাজিত হয়।<ref name="Murphy, David page 37"/> ফখরি পাশা তারপর তার বাহিনী দক্ষিণের রাবেঘ দখলের জন্য অগ্রসর হন। কিন্তু সৈনিক ও সরবরাহ লাইনের উপর গেরিলা আক্রমণ, ইয়ানবোতে নবগঠিত উড্ডয়ন কেন্দ্র থেকে হামলা এবং তার সরবরাহ দূরত্ব অধিক হয়ে যাওয়ায় তিনি ১৯১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি মদীনায় ফিরে আসেন।<ref name="Murphy, David page 38">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 38.</ref>
উপকূলীয় শহর [[আল ওয়াজ]] ছিল হেজাজ রেলওয়ে আক্রমণের মূল ঘাটি।<ref name="p78"/> ১৯১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ফয়সাল লোহিত সাগরের উপকূল ধরে যাত্রা শুরু করেন। তার সাথে ৫১০০ উষ্ট্রারোহী, ৫৩০০ পদাতিক, চারটি ক্রাপ মাউন্টেন গান, দশটি মেশিন গান ও ৩৮০ মালবাহী উট ছিল।<ref name="p78"/> এই যাত্রাপথে রাজকীয় নৌবাহিনী ফয়সালকে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করে।<ref name="p79">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.79</ref> ১৯১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ দিক থেকে ৮০০
=== ১৯১৭ ===
১৯১৭ সালে আমির আবদুল্লাহর নেতৃত্বে আরব পূর্বাঞ্চল বাহিনী আশরাফ বের নেতৃতাধীন একটি
১৯১৭ এর মার্চে [[আল রশিদ|ইবনে রশিদের]] নেতৃতাধীন গোত্রীয় লোকজন
১৯১৭ সালে লরেন্স আরব অনিয়মিত বাহিনী ও [[আউদা আবু তায়ি|আউদা আবু তায়ির]] অধীন বাহিনীকে নিয়ে বন্দর নগরী [[আকাবা]] আক্রমণ করেন। লোহিত সাগরের তুর্কি বন্দরগুলোর মধ্যে তখন পর্যন্ত আকাবা টিকে ছিল।<ref name="p81"/> আকাবা দখলের মাধ্যমে আরব বিদ্রোহে ব্রিটিশ সাহায্য সরবরাহের অগ্রগতি হত।<ref name="p82">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.82</ref> লরেন্স ও আউদা ১৯১৭ এর ৯ মে ৪০ জন সঙ্গীসহ যাত্রা করেন। সিরিয়ান গোত্র হাউয়িতাত উটের উপর যুদ্ধের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। তাদের কাছ থেকে লোকবল সংগ্রহ করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল।<ref name="p82"/> ৬ জুলাই অল্প হতাহতের মাধ্যমে আকাবা আরবদের দখলে আসে।<ref name="p82"/> লরেন্স এরপর আকাবায় ২৫০০ জন আরব ও ৭০০ জন তুর্কি বন্দীদের জন্য খাবার ও অন্যান্য সরবরাহের জন্য ১৫০ মাইল দূরে সুয়েজ যাত্রা করেন। শীঘ্রই ইংরেজ ও ফরাসি নৌবহর এখানে অবস্থান নেয় ফলে আরবদের পক্ষে শহর দখলে রাখা সহজ হয়।<ref name="p82"/> একই বছরে জেনারেল [[এডমন্ড এলেনবি|এলেনবির]] সহায়তায় আরবরা
=== ১৯১৮:মিত্রশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও যুদ্ধের সমাপ্তি ===
আকাবা দখলের সময় অনেক অফিসার ফয়সালের অভিযানে যোগ দেয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল [[স্টুয়ার্ট এফ. নিউকম্ব]] ও সিরিল ই. উইলসনের তত্ত্বাবধানে ব্রিটিশ অফিসার ও উপদেষ্টারা আরবদেরকে রাইফেল, বিস্ফোরক, মর্টার ও মেশিন গান সরবরাহ করে।<ref name="Murphy, David page 59">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 59.</ref> ঘাটতির কারণে অস্ত্র বিচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করা হত।<ref name="Murphy, David page 59"/> মিশরীয় ও ভারতীয় সৈনিকরা প্রথমদিকে মেশিনগানার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিদ্রোহে অংশ নেয় এবং কয়েকটি রোলস রয়েস সাজোয়া যান যুদ্ধের জন্য বরাদ্দ করা হয়।<ref name="Murphy, David page 59"/><ref>Rolls S.C. (1937). ''Steel Chariots in the Desert''. Leonaur Books.</ref> ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীও আরবদের অপারেশনে সমর্থন দেয়। সেই সাথে রাজকীয় উষ্ট্র বাহিনীও আরবদের সাথে কিছু সময়ের জন্য কাজ করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 59-60.</ref> ব্রেমন্ডের অধীন ফরাসি ১১০০ অফিসার হুসাইন ও তার পুত্র, বিশেষ করে আমির [[আলী বিন হুসাইন|আলী]] ও [[প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান|আবদুল্লাহর]] সাথে সখ্য গড়ে তোলে। তাই আরব দক্ষিণ বাহিনীতেই ফরাসিদের তৎপরতা বেশী ছিল। আমির আলীর অধীন এই বাহিনী [[মদীনা অবরোধ|মদীনা অবরোধে]] অংশ নেয়। অন্যদিকে আবদুল্লাহর অধীন পূর্বাঞ্চল বাহিনী ইবনে রশিদের কাছ থেকে আলীর পূর্ব ভাগ রক্ষার দায়িত্বে ছিল।<ref name="Murphy, David page 17"/> হাশেমি বাহিনী কখনোই মদীনা দখল করতে পারেনি। কেবল ১৯১৯ সালের ৯ জানুয়ারি তুর্কি সরকারের ঘোষণার পরই
লরেন্স, উইলসন ও অন্যান্য অফিসারদের নির্দেশনায় আরবরা [[হেজাজ রেলওয়|হেজাজ রেলওয়ের]] উপর সফল আক্রমণ পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা সামরিক সরবরাহ আটক করে, ট্রেন ও ট্রাক ধ্বংস করে এবং হাজারের বেশি
১৯১৮ সালের মার্চে আরব উত্তর বাহিনী নিম্নোক্তদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল:
১০৪ নং লাইন:
১৯১৮ সালের বসন্তে অপারেশন হেজহক হেজাজ রেলওয়ে ধংসের জন্য পরিচালিত হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 73-74.</ref> মে মাসে রেলপথের ২৫টি সেতু ধ্বংস করা হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 74</ref> ১১ মে আরবরা জেরদুন অধিকার করে ও ১৪০ জনকে বন্দী করে। পাঁচ সপ্তাহ পর ২৪ জুলাই মেজর আর. ভি. বাক্সটনের অধীন ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস ব্রিগেডের নস. ৫ ও ৭ কোম্পানি মুদাওয়ারা স্টেশন আক্রমণের জন্য [[সুয়েজ খাল]] থেকে আকাবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।<ref name="Falls408">Falls, Cyril ''Official History of the Great War Based on Official Documents by Direction of the Historical Section of the Committee of Imperial Defence; Military Operations Egypt & Palestine from June 1917 to the End of the War'' Vol. 2, London: H. M. Stationary, 1930 page 408</ref> ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস ১৯১৮ এর ৮ আগস্টে এখানে একটি সফল হামলা পরিচালনা করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 70-72 & 75.</ref> তারা ১২০ জনকে বন্দী ও দুটি কামান লাভ করে সেসাথে ১৭ জন হতাহত হয়। বাক্সটনের দুই কোম্পানি ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস আম্মানের দিকে যাত্রা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল সেতু ধ্বংস করে দেয়া। শহর থেকে {{convert|20|mi|km}} দূরে তারা বিমান হামলার শিকার হয়।<ref name="Falls408"/> মিত্রশক্তির চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য এলেনবি আমি ফয়সাল ও তার আরব উত্তরাঞ্চল বাহিনীকে তুর্কি বাহিনীগুলোকে পূর্ব দিক থেকে আক্রমণের জন্য বলেন। এই উদ্দেশ্য ছিল লেভান্টে অবস্থানরত তুর্কি কমান্ডারদেরকে নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সন্দিহান করে তোলা।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 75-76.</ref> এখানে আমির ফয়সালের বাহিনীতে রুয়াল্লা, বনি সাখর, আজিয়াল ও হাওয়িতাত গোত্রের সদস্যরা ছিল।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 75.</ref> পাশাপাশি ফয়সালের সাথে গুর্খা সৈনিক, ব্রিটিশ সাজোয়া যান, মিশরীয় ক্যামেল কর্পস, ক্যাপ্টেন পিসানির অধীন আলজেরিয়ান গোলন্দাজ সৈনিক ও ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীর সাহায্য ছিল।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 76.</ref>
১৯১৮ তে আরব অশ্বারোহীদের শক্তিবৃদ্ধি পায় এবং এসময় জয় হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছিল। এসময় তারা এলেনবির সেনাবাহিনীকে
{{main|আলেপ্পোর যুদ্ধ, ১৯১৮}}
১১৪ নং লাইন:
{{See also|উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিভাজন}}
== আরও দেখুন ==
|