ভ্লাদিমির লেনিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
→‎মার্ক্সবাদী আদর্শের প্রচার ও নির্বাসন: তথ্যসূত্র প্রদান ও পরিবর্ধন করা হলও
৩১ নং লাইন:
ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন ১৮৭০ সালে ২২শে এপ্রিল [[জার]] শাসিত [[রাশিয়া|রাশিয়ার]] সিমবির্স্ক শহরে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ। [[ভল্গা]] নদীর তীরবর্তী সিমবির্স্ক নামক ছোট শহরটি রাজধানী [[সেন্ট পিটার্সবার্গ]] থেকে ১,৫০০ মাইল দুরত্বে অবস্থিত ছিল। ভ্লাদিমির ইলিচ-এর পিতা [[ল্যা নিকোলয়েভিচ্ উলিয়ানভ]] ছিলেন একজন বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং [[গণতন্ত্র|গণতন্ত্রবাদ]]-এর কট্টর সমর্থক। তাঁর মা মারিয়া আলেক্সান্ড্রাভনা উলিয়ানভা ছিলেন এক প্রথিতযশা চিকিত্সকের বিদুষী কন্যা এবং একজন বিশিষ্ট শিক্ষিকা। পিতামাতা-র বিচার বিবেচনা,লেনিন এবং তাঁর ভাইবোন দের মধ্যে গভীর ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর দাদা আলেক্সান্ডার কে জার হত্যার ষড়যন্ত্রের অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়। বিপ্লবী অ্যানা ইলিচনিনা ছিলেন লেনিন-এর দিদি এবং সহযোদ্ধা।
 
=== মার্ক্সবাদী[[মার্কসবাদ|মার্কসবাদী]] আদর্শের প্রচার ও নির্বাসন ===
১৮৮৬ সালে ভ্লাদিমির ইলিচ-এর পিতৃ বিয়োগ হলে তাঁর মায়ের উপর সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব এসে পরে। সাম্মানিক [[স্নাতক]] ডিগ্রি লাভ করে ১৮৮৭ সালে লেনিন [[কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[আইন]] বিভাগে ভর্তি হন। শীঘ্রই ছাত্রদের বিপ্লবী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় [[বিশ্ববিদ্যালয়]] কর্তৃপক্ষ তাকে বহিস্কার করে। ১৮৮৯ সালে তিনি [[সামারা]] যান এবং স্থানীয় মার্ক্সবাদী দের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৮৯১ সালে [[সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে আইন পাস করে, সামারাতে [[আইন]] ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ চলে আসেন এবং শীঘ্রই সেখানকার [[মার্ক্সবাদীমার্কসবাদ|মার্কসবাদীদের]] দের অবিসংবাদী নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এখানেই লেনিন [[ক্রুপস্কায়া]]-র সাথে পরিচিত হন। ক্রুপস্কায়া শ্রমিক এবং কৃষক দের মধ্যে [[সাম্যবাদ]] এবং [[বিপ্লবী]] আদর্শের প্রচারে ব্রতী ছিলেন। ১৮৯৫ সালেসালের ডিসেম্বরে লেনিন কারারুদ্ধসমেত হনপার্টির এবংবৃহৎ অংশই গ্রেফতার হয়। "রাবোচেয়ে দেলো " (শ্রমিক আদর্শ) পত্রিকার প্রথম যে সংখ্যাটা লেনিন ও তার সহকর্মীরা প্রস্তুত করেছিলেন, তা হস্তগত করে পুলিস। ভ্লাদিমিরকে রাখা হয় পিটাসবুর্গ জেলে। একক কক্ষে কাটান ১৪ মাসেরও বেশি, কিন্তু জেলের গরাদের আড়ালে থেকেও বিপ্লবী ক্রিয়াকলাপ তাঁর থামেনি। বাইরের মুক্ত কমরেড দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, চিঠি, পুস্তিকা লিখে তা বাইরে পাঠাতেন। জেলে বসেই লিখে ফেলেন মার্কসবাদী পার্টির প্রথম খসড়া কর্মসূচী। বিপ্লবী দলিলপত্রে লেনিন লিখতেন বই ও পত্রপত্রিকার লাইনের ফাঁকে ফাঁকে দুধ দিয়ে। এমনিতে তা চোখে পড়তো না। কিন্তু কাগজটা আগুনে গরম করলেই তা বেশ ফুটে উঠত। বিপ্লবী রা এই পদ্ধতিতে প্রায়ই পত্রালাপ চালাতেন। রুটি দিয়ে দোয়াত বানাতেন লেনিন, তাতে দুধ থাকত - কালির কাজ করত দুধ। পরিদর্শক এলেই সেটি তিনি সঙ্গে সঙ্গে গিলে ফেলতেন। তাঁর একটি পত্রে লেনিন পরিহাস করে বলেছিলেন "ছয়টি দোয়াত আজ খাওয়া গেল"। <ref>গ. দ. অবিচকিন ও অন্যান্য, ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, সংক্ষিপ্ত জীবনী, প্রগতি প্রকাশন মস্কো, ১৯৭১; পৃষ্ঠা-৩০-৩৫।</ref> ১৮৯৭ সালে তাঁকে পূর্ব [[সাইবেরিয়া]]র এক নির্জন স্থানে নির্বাসিত করা হয়। কিছুদিনের মধ্যে ক্রুপস্কায়াকেও সেখানে নির্বাসিত করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁদের [[বিবাহ]] সম্পন্ন হয়। নির্বাসনে থাকাকালীন লেনিন ৩০টি পুস্তক রচনা করেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল '''"[[রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ]]"''', যা [[মার্ক্সবাদী]] দর্শনের উপর ভিত্তি করে রাশিয়ার অর্থনীতি সম্বন্ধে বিচার বিশ্লেষন করেছিল। এই সময়েই তিনি রাশিয়ার শোষিত শ্রমিক এবং সর্বহারা গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি দল গঠনে উদ্যোগী হন।{{cn}}
 
=== মুক্তিলাভ ও দেশত্যাগ ===