বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
{{Infobox University
|
|image =
▲|image = [[File:Academic Building of bakri High school.jpg|thumb|Academic Building of bakri High school]]
|established = ১৯৩৫
|vice_chancellor =
|city = [[
|country = [[
|campus = [[rural area|Rural]], ৮.৯৬ একর
|students =
|type = [[Public university|
}}
বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার বৃহত্তর এগারোখান অঞ্চলের বাকড়ী গ্রামে অবস্থিত। ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর প্রতিষ্ঠানটি সাফ্যলের সাথে ৭৮ বছর অতিবাহিত করেছে। ▼
▲'''বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়''' যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার বৃহত্তর এগারোখান অঞ্চলের বাকড়ী গ্রামে অবস্থিত। ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর প্রতিষ্ঠানটি সাফ্যলের সাথে ৭৮ বছর অতিবাহিত করেছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে মাধ্যমিক ও কারিগরি শাখায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাসহ দেশে বিদেশে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।
== ইতিহাস ==
১৯৩০ সালের এপ্রিল মাসে মালিয়াট বালক বিদ্যালয়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে কতিপয় শিক্ষক বাকড়ী গ্রামে স্কুল প্রতিষ্টার উদ্দ্যেশ্যে চলে আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জীবন গোপাল গুপ্ত, ভরত চন্দ্র পাঠক, রাজেন্দ্র নাথ শিকদার, সন্তোষ কুমার পাঠক এবং রাজেন্দ্র নাথ পাল। তাদের উদ্দ্যোগে পাঠশালা অল্প দিনের মধ্যেই মধ্য ইংরাজি বিদ্যালয়ে পরিণত হয় এবং সরকারী অনুমোদন লাভ করে। ১৯৩৫ সাল নাগাত আরো দুটি শ্রেণী খোলা হয়। নব প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়কে উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ে উন্নীত করার উদ্দ্যেশে বাকড়ী গ্রামের মোহন লাল বিশ্বাস জমি দান করেন। ১৯৪৫-১৯৪৬ সালে যথাক্রমে ৯ম ও ১০ম শ্রেণী খোলা হয়। ১৯৪৭ সালে বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মঞ্জুরি লাভ করে এবং ঐ সালে প্রথম ব্যাচ পরীক্ষা দেয়। ১৯৫২ সাল থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পাকিস্তান সরকারের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা- কর্মীদের উপর দমন পীড়ন এবং স্থানীয় দলাদলির কারনে অনেক শিক্ষক স্কুল ত্যাগ করে। এই সময় বাকড়ী গ্রামের মনীন্দ্র নাথ হালদার এবং গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস তার দু’এক জন সহকর্মীকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাদান চালিয়ে যান। ১৯৫৭ সালে সুশীল কুমার পাঠক স্কুলকে পুনর্জীবিত করেন এবং পরবর্তী ছয় বছর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সাফ্যলের সাথে পালন করেন। এরপর ধর্মদাস অধিকারী দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ঐ পদে বহাল থাকেন। বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনাম তার দায়িত্ব পালন কালে শীর্ষে ওঠে।
== স্কুল
[[File:Science Building of bakri High School.jpg|thumb|Science Building of bakri High School]]
স্কুল ক্যাম্পাসের
== খেলাধুলা ==
স্কুলে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে ক্রিকেট এবং ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়ে থাকে। ঐতিহ্যগতভাবে শিক্ষক - কর্মচারীদের সাথে বিজয়ী দলের ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং বিজয়ী দল স্কুল প্রাঙ্গণে চড়ুইভাতির আয়োজন করে। সমগ্র টুর্নামেন্টের এটি একটি অন্যতম আকর্ষণীয় দিক। ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচগুলো বাকড়ী গ্রামের গোচর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে স্কুল প্রাঙ্গণে অ্যাথলেটিক্সের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের ক্রিকেট, ফুটবল এবং ভলিবল টিম বিভিন্ন আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টে ক্রিড়ানৈপুন্যের পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া কিছু অ্যাথলেট বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার গৌরব অর্জন করেছে। ▼
বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এতোদঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অন্যতম পীঠস্থান। স্বাধীনতা দিবসে প্রতিযোগিতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান অনুষ্ঠান স্কুলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়ে থাকে। অতীতে বৃহত্তর এগারোখান অঞ্চলে একমাত্র বৈশাখ বরণ অনুষ্ঠান বাকড়ী স্কুলেই অনুষ্ঠিত হতো এবং এখনো হয়ে থাকে। অতীতে দূর্গা পূজা এবং স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে স্কুলের শিক্ষক – কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যাত্রা পালায় অভিনয় করত।
== ফলাফল ==
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}
▲স্কুলে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে ক্রিকেট এবং ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়ে থাকে। ঐতিহ্যগতভাবে শিক্ষক - কর্মচারীদের সাথে বিজয়ী দলের ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং বিজয়ী দল স্কুল প্রাঙ্গণে চড়ুইভাতির আয়োজন করে। সমগ্র টুর্নামেন্টের এটি একটি অন্যতম আকর্ষণীয় দিক। ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচগুলো বাকড়ী গ্রামের গোচর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে স্কুল প্রাঙ্গণে অ্যাথলেটিক্সের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের ক্রিকেট, ফুটবল এবং ভলিবল টিম বিভিন্ন আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টে ক্রিড়ানৈপুন্যের পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া কিছু অ্যাথলেট বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার গৌরব অর্জন করেছে।
▲== সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডঃ ==
▲বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এতোদঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অন্যতম পীঠস্থান। স্বাধীনতা দিবসে প্রতিযোগিতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান অনুষ্ঠান স্কুলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়ে থাকে। অতীতে বৃহত্তর এগারোখান অঞ্চলে একমাত্র বৈশাখ বরণ অনুষ্ঠান বাকড়ী স্কুলেই অনুষ্ঠিত হতো এবং এখনো হয়ে থাকে। অতীতে দূর্গা পূজা এবং স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে স্কুলের শিক্ষক – কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যাত্রা পালায় অভিনয় করত। বর্তমানে যদিও সে ধারা অব্যাহত নেই। স্কুল প্রাঙ্গণে থাকা হরিপদ সংগীত একাডেমী এবং অন্যান্য সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বদৌলতে ছাত্রছাত্রীরা নাচ – গানে মানসম্মত শিক্ষা লাভ করছে যার ফলে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে সাফ্যল্যের স্বাক্ষর রাখছে।
[[বিষয়শ্রেণী:যশোর জেলার বিদ্যালয়]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩৫-এ প্রতিষ্ঠিত]]
|