সতীদাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Saint Auast (আলোচনা | অবদান)
বেদ, সতীদাহ ও বিধবা বিবাহ
Hemonto2014 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা
১৯ নং লাইন:
ইয়ং নারী পতি লোকং বৃণানা নিপদ্যত উপত্ব্য মর্ন্ত্য প্রেতম্।
ধর্মং পুরাণমনু পালয়ন্তী তস্ম্যৈ প্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।।
 
হে মনুষ্য!এই স্ত্রী পুনর্বিবাহের আকাঙ্খা করিয়া মৃত পতির পরে তোমার নিকট আসিয়াছে।সে সনাতন ধর্মকে পালন করিয়া যাতে সন্তানাদি এবং সুখভোগ করতে পারে।<ref>আনন্দলোক-আচার্য সুভাষ শাস্ত্রী পৃঃ-৭৭, বৈদিক সাহিত্য কেন্দ্র, যশোর</ref><ref>ATHARVA VEDA, vol. II, page 552, English translation by Dr. Tulsi Ram</ref>
মর্ত্য-হে মনুষ্য,ইয়ং নারী-এই স্ত্রী,পতিলোকম-পতিলোককে অর্থাত্‍ বৈবাহিক অবস্থাকে,বৃণনা-কামনা করিয়া,প্রেতম-মৃত পতির,অনু-পরে,উপ ত্বা-তোমার নিকট,নিপদ্যতে-আসিতেছে,পুরাণম-সনাতন,ধর্ম্মম-ধর্মকে,পালয়ন্তী-পালন করিয়া,তস্য-তাহার জন্য,ইহ-এই লোকে,প্রজাম্-সন্তানকে,দ্রবিণং-এবং ধনকে,ধেহি-ধারন করাও।
অর্থাৎ
হে মনুষ্য! এই স্ত্রী পুনর্বিবাহের আকাঙ্খা করিয়া মৃত পতির পরে তোমার নিকট আসিয়াছে।সে সনাতন ধর্মকে পালন করিয়া যাতে সন্তানাদি এবং সুখভোগ করতে পারে।<ref>আনন্দলোক-আচার্য সুভাষ শাস্ত্রী পৃঃ-৭৭, বৈদিক সাহিত্য কেন্দ্র, যশোর</ref><ref>ATHARVA VEDA, vol. II, page 552, English translation by Dr. Tulsi Ram</ref>
 
অথর্ববেদ ১৮.৩.২ (এই মন্ত্রটি ঋগবেদ ১০.১৮.৮ এ ও আছে)
উদীষর্ব নার্ষ্যভি জীবলোকং গতাসুমেতমুপশেষ এহি।
হস্তাগ্রাভস্য দিধিষোস্তবেদং পত্যুর্জনিত্বমভি সংবভূব।।
 
নারী-হে স্ত্রী!তুমি,এতত্‍ গতাসুম্-এই গতপ্রান পতির ,উপশেষে-শয়ন করিয়া আছ(মায়া ধরে আছ),জীবলোকং অভি উদীর্থ-(মায়া ত্যগ করে) বাস্তবতায় ফিরে এস(জীবলোকে),তব-তোমার,হস্তগ্রাভস্য দিধিষোঃ-পাণিগ্রহনকারী,পত্যুঃ-পতির সঙ্গে,ইদং জনিত্বম-আবার পত্নীত্ব,অভি সংবভুব-সৃষ্টি হল
অর্থাৎ
হে নারী!মৃত পতির শোকে অচল হয়ে লাভ কি?বাস্তব জীবনে ফিরে এস।পুনরায় তোমার পাণিগ্রহনকারী পতির সাথে তোমার আবার পত্নীত্ব তৈরী হবে।<ref>আনন্দলোক-আচার্য সুভাষ শাস্ত্রী পৃঃ-৭৭, বৈদিক সাহিত্য কেন্দ্র, যশোর</ref><ref>ATHARVA VEDA, vol. II, page 553, English translation by Dr. Tulsi Ram</ref>
 
সায়নভাষ্যে এই মন্ত্রের অর্থ দেখা যায় এরকম-
বেদের অন্যতম ভাষ্যকার সায়ণাচার্যও তাঁর তৈত্তিরীয় আরণ্যক ভাষ্যে এই মতই প্রদান করেন।<ref>Taittiriya Aranyak Sayana Bhasya, T. A. 6/1/13-14</ref>
 
"হে মৃতপতীর পত্নী!জীবিত পুত্রপৌত্রের লোক অর্থাত্‍ গৃহের কামনা করে শোক ত্যগ কর।মৃত পতির মায়া ত্যগ কর।তোমার পাণিগ্রহনকারী পতির স্ত্রী হইবার ইচ্ছায় তুমি নিশ্চিতরুপে অনুসরন কর।
 
এই বিষয়ে একই ভাবে তৈত্তিরীয় আরণযক ৬.১.৩ এ বলা হয়েছে-
 
ইয়ং নারী পতিলোকং বৃণানা নিপদ্যত উপত্বা মর্ত্য প্রেতম।
বিশ্বং পুরাণ মনু পালয়ন্তী তস্যৈ প্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।।
 
 
অর্থাৎ, হে মনুষ্য!মৃত পতির এই স্ত্রী তোমার ভার্যা।সে পতিগৃহ সুখের কামনা করিয়া মৃত পতির পরে তোমাকে প্রাপ্ত হইয়াছে।কিরুপ ভাবে?অনাদি কাল হইতে সম্পূর্ন স্ত্রী ধর্মকে পালন করিয়া।সেই পত্নীকে তুমি সন্তানাদি এবং ধনসম্পত্তি সহ সুখ নিশ্চিত কর।
 
প্রায় একইভাবে তৈত্তিরীয় আরন্যক এ বলা হয়েছে ৬.১.১৪ তে,
 
"হে নারী!তুমি এই মৃতপতির মায়ায় আবদ্ধ হয়ে আছ।এই মায়া ত্যগ কর।পুনরায় পতি কামনা কর এবং পাণিগ্রহনকারী বিবাহের অভিশাষী এই পতিকে জায়াত্বের সহিত প্রাপ্ত হও"
 
 
অর্থাত্‍ মন্ত্রদুটিতে সতীদাহ প্রথার কোন কথাই নেই বরং স্বামীমৃত্যুর পর স্ত্রীকে শোকে মুহ্যমান হয়ে না পড়ে শোকত্যগ করে স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে বলা হয়েছে এবং প্রয়োজনে পুনরায় বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছে।
 
==মুসলিম শাসকদের মনোভাব==