উমাইয়া খিলাফত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৭৪ নং লাইন:
প্রথমদিকের মুসলিম সেনারা শহর থেকে দূরে নিজস্ব ক্যাম্পে অবস্থান করত। উমরের ভয় ছিল যে তারা হয়ত সম্পদ ও বিলাসিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে এবং এর ফলে তারা আল্লাহর ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে এবং সম্পদ গড়ে তুলতে পারে ও রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।<ref>Arab Socialism. [al-Ishtirakiyah Al-Arabiyah]: A Documentary Survey By Sami A. Hanna, George H. Gardner Page 271 [http://books.google.co.uk/books?id=zsoUAAAAIAAJ&pg=PA271&dq=Umar+wealth+and+luxury&hl=en&sa=X&ei=OBQYUcXSOYWM0wWajIHQCg&ved=0CC4Q6AEwAA#v=onepage&q=Umar%20wealth%20and%20luxury&f=false]</ref><ref>Men Around the Messenger By Khalid Muhammad Khalid, Muhammad Khali Khalid Page 117 [http://books.google.co.uk/books?id=T-uN7tDGSZMC&pg=PA117&dq=Umar+wealth+and+luxury&hl=en&sa=X&ei=OBQYUcXSOYWM0wWajIHQCg&ved=0CDUQ6AEwAQ#v=onepage&q=Umar%20wealth%20and%20luxury&f=false]</ref><ref>The Cambridge History of Islam:, Volume 2 edited by P. M. Holt, Ann K. S. Lambton, Bernard Lewis Page 605 [http://books.google.co.uk/books?id=UfQWT_esc5cC&pg=PA605&dq=Umar+wealth+and+luxury&hl=en&sa=X&ei=OBQYUcXSOYWM0wWajIHQCg&ved=0CFgQ6AEwBw#v=onepage&q=Umar%20wealth%20and%20luxury&f=false]</ref><ref>[http://books.google.co.uk/books?id=flg-UX6fOdkC&pg=PT101&dq=Umar+wealth+and+luxury&hl=en&sa=X&ei=OBQYUcXSOYWM0wWajIHQCg&ved=0CF0Q6AEwCA The Early Caliphate By Maulana Muhammad Ali]</ref> [[উসমান ইবনে আফ্‌ফান]] যখন খুবই বৃদ্ধ হয়ে পড়েন [[প্রথম মুয়াবিয়া|প্রথম মুয়াবিয়ার]] আত্মীয় [[প্রথম মারওয়ান]] তার সচিব হিসেবে শূণ্যস্থান পূরণ করেন এবং এসব কঠোর নিয়মে শিথিলতা আনেন। মারওয়ানকে ইতিপূর্বে দায়িত্বপূর্ণ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে [[মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর]] কিছু মিশরীয়কে খলিফা উসমানের বাসগৃহ দেখিয়ে দেন। পরে এই মিশরীয়রা খলিফা উসমানকে হত্যা করে।<ref>{{Harvtxt|Rahman|1999|p=53}}</ref>
 
উসমানের হত্যাকান্ডের পর [[আলী ইবন আবী তালিব|আলি]] খলিফা নির্বাচিত হন। তাকে এরপর বেশ কিছু সমস্যা সামাল দিতে হয়। আলি [[মদিনা]] থেকে কুফায় রাজধানী স্থানান্তর করেন। ৬৫৬ থেকে ৬৬১ পর্যন্ত চলমান সংঘাতকে [[প্রথম ফিতনা]] (“গৃহযুদ্ধ”) বলে ডাকা হয়। সিরিয়ার গভর্নর ও খলিফা উসমানের আত্মীয় মুয়াবিয়া চাইছিলেন যে হত্যাকারীদের যাতে গ্রেপ্তার করা হয়। [[প্রথম মারওয়ান, |মারওয়ান]] সবাইকে প্ররোচিত করেন এবং সংঘাত সৃষ্টি করেন। মুহাম্মদ (সা) এর স্ত্রী [[আইশা]] এবং তার দুই সাহাবি [[তালহা]] ও [[যুবাইর ইবনুল আওয়াম]] দোষীদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আলিকে বলতে [[বসরা]] যান। মারওয়ান ও অন্যান্য যারা সংঘাত চাইছিল তারা সবাইকে লড়াই করতে প্ররোচিত করে। [[উটের যুদ্ধ|উটের যুদ্ধে]] দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই হয়। এ যুদ্ধে আলি বিজয় অর্জন করেন।
 
এ যুদ্ধের পর আলি ও মুয়াবিয়ার মধ্যে [[সিফফিনের যুদ্ধ]] হয়। কোনো এক পক্ষে বিজয়ী হওয়ার আগেই যুদ্ধ থেমে যায় এবং দুপক্ষে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে একমত হয়। যুদ্ধের পর [[আমর ইবনুল আস]] মুয়াবিয়ার পক্ষ থেকে ও [[আবু মুসা আশয়ারি]] আলির পক্ষ থেকে আলোচক নিযুক্ত হন। সাত মাস পর ৬৫৮ এর ফেব্রুয়ারিতে আধরুহ নামক স্থানে সাক্ষাত করেন। [[আমর ইবনুল আস]] [[আবু মুসা আশয়ারি|আবু মুসা আশয়ারিকে]] এ মর্মে রাজি করান যে দুপক্ষই লড়াই বন্ধ করবে এবং একজন নতুন খলিফা নিযুক্ত করা হবে। আলি ও তার সমর্থকরা এ সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে যান। এ ঘটনা মুয়াবিয়ার কাছে খলিফার মর্যাদা কমানোর সমতুল্য ছিল। আলি এ সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানালেও মীমাংসা মেনে নেয়ার ব্যাপারে নিজেকে বাধ্য অবস্থায় দেখতে পান। এর ফলে আলির অবস্থান তার নিজের সমর্থকদের মধ্যেও দুর্বল হয়ে পড়ে। আলির সমর্থকদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে চাপ সৃষ্টিকারীরা ছিল সবচেয়ে কঠোর প্রতিবাদকারী। তারা আলির বাহিনী থেকে বের হয়ে যায় এবং “একমাত্র আল্লাহর প্রতি” স্লোগান দিতে থাকে। এ দল [[খারিজি]] নামে পরিচিত হয়ে উঠে। ৬৫৯ খ্রিষ্টাব্দে [[নাহরাওয়ানের যুদ্ধ|নাহরাওয়ানের যুদ্ধে]] আলি ও খারিজিরা মুখোমুখি হয়। আলি যুদ্ধে জয়ী হলেও ক্রমাগত সংঘর্ষ তার অবস্থানের উপর প্রভাব ফেলছিল এবং পরবর্তী বছরগুলোতে কিছু সিরিয়ান মুয়াবিয়াকে বিদ্রোহী খলিফা হিসেবে ঘোষণা করে।<ref>A Chronology of Islamic History 570-1000 CE By H U Rahman Page 59</ref>