আর্য সমাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
fixed
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{Unreferenced|date=মার্চ ২০১০}}
 
[[চিত্র:Aum- The Symbol of Arya Samaj.jpg|right|thumb|240px|[[Aum- The Official Flag & Symbol of Arya Samaj]]]]
[[চিত্র:O3m AryaSamaj.PNG|right|thumb|157px|{{script|Deva|ओ३म्}} {{unicode|[[pluti|O3]]}}m ([[Aum]]), considered by the Arya Samaj to be the highest and most proper name of God.]]
 
'''আর্য সমাজ''' ([[Sanskrit]] ''{{IAST|ārya samāja}}'' {{lang|sa|आर्य समाज}} "[[arya|Noble]] Society") [[হিন্দু সংস্কার আন্দোলন|হিন্দু সংস্কার আন্দোলনের]] জন্য [[স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী|স্বামী দয়ানন্দ]] দ্বারা [[১৮৭৫]] সালে প্রতিষ্ঠিত একটি হিন্দু সংগঠন।<ref>Hastings, James; John A. Selbie (Ed.) (2003). [[Encyclopedia of Religion and Ethics]], Part 3. Kessinger Publishing. p. 57. ISBN 0-7661-3671-X.</ref> তিনি একজন [[বেদ]] প্রচারক [[সন্ন্যাসী]] ছিলেন। তিনি ব্রহ্মচর্যের আদর্শের উপর জোর দিয়েছিলেন।
 
== প্রতিষ্ঠা ==
=== বৈদিক বিদ্যালয় ===
১৮৬৯ থেকে ১৮৭৩ এর মধ্যে [[স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী]] ভারতে তাঁর প্রথম সংস্কার প্রচেষ্টা চালান। এই প্রচেষ্টা ছিল মূলত “বৈদিক বিদ্যালয়” বা “গুরুকূল” স্থাপনের লক্ষ্যে যা শিক্ষার্থীদের বৈদিক জ্ঞান, সংস্কৃতি ও ধর্ম সম্পর্কে গুরুত্ব প্রদান করে। প্রথম বিদ্যালয়টি ১৮৬৯ সালে ফররুখাবাদে প্রতিষ্ঠিত হয় মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে। প্রারম্ভিক সাফল্যের দরুণ মির্জাপুর(১৮৭০), কাসগঞ্জ (১৮৭০), চালিসার (আলীগড়) (১৮৭০) এবং বারাণসী (১৮৭৩)-তে দ্রুত বেশকিছুবেশ কিছু বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বৈদিক বিদ্যালয় সমূহ মূলত স্বামী দয়ানন্দের সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের প্রায়োগিক প্রয়াসকেই তুলে ধরে। সেগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। একদিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ঐতিহ্যগত মূর্তিপূজা করতে পারত না, বরং তাদের প্রতিদিন দুবার সন্ধ্যা বন্দনা ও [[অগ্নিহোত্র]] [[যজ্ঞ]] করতে হত। তারা ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ। অন্যদিকে তাদের সমস্ত খাবার, বাসা, পোশাক এবং বই বিনামূল্যে দেয়া হত এবং অ-[[ব্রাহ্মণ]]রাও সংস্কৃত পাঠ করতে পারত। তাদেরকে প্রধানত বেদ শিক্ষা দেয়া হত। বৈদিক বিদ্যালয়সমূহ দ্রুতই বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়।
বৈদিক বিদ্যালয় সমূহ মূলত স্বামী দয়ানন্দের সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের প্রায়োগিক প্রয়াসকেই তুলে ধরে। সেগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। একদিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ঐতিহ্যগত মূর্তিপূজা করতে পারত না, বরং তাদের প্রতিদিন দুবার সন্ধ্যা বন্দনা ও [[অগ্নিহোত্র]] [[যজ্ঞ]] করতে হত। তারা ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ। অন্যদিকে তাদের সমস্ত খাবার, বাসা, পোশাক এবং বই বিনামূল্যে দেয়া হত এবং অ-[[ব্রাহ্মণ]]রাও সংস্কৃত পাঠ করতে পারত। তাদেরকে প্রধানত বেদ শিক্ষা দেয়া হত।
বৈদিক বিদ্যালয়সমূহ দ্রুতই বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়।
 
== আর্যসমাজের মূলনীতি ==
আর্য সমাজ মূলত স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী প্রবর্তিত দশটি নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত। নিয়মগুলো হচ্ছে:
১.# সব সত্যবিদ্যা এবং যা পদার্থবিদ্যা দ্বারা জানা যায় সেসবের আদিমূল পরমেশ্বর।
২.# ঈশ্বর সচ্চিদানন্দস্বরূপ, নিরাকার, সর্বশক্তিমান, ন্যায়কারী, দয়ালু, অজন্মা, অনন্ত, নির্বিকার, অনাদি, অনুপম, সর্বাধার, সর্বেশ্বর সর্বব্যাপক, সর্বান্তর্যামী, অজর, অমর, অভয়, নিত্য, পবিত্র ও সৃষ্টিকর্তা, একমাত্র তাঁরই উপসনা করা উচিত।
৩.# বেদ সব সত্যবিদ্যার পুস্তক, বেদের পঠন-পাঠন, শ্রবণ ও শ্রাবণ সবল আর্যের পরম ধর্ম।
৪.# সত্য গ্রহণে ও অসত্য পরিত্যাগে সদা উদ্যত থাকবে।
৫.# সব কাজ ধর্মানুসারে অর্থাৎ সত্য ও অসত্য বিচারপূর্বক করা উচিত।
৬.# সংসারের উপকার করা এই সমাজের মুখ্য উদ্দেশ্য অর্থাৎ শারীরিক, আত্মিক ও সামাজিক উন্নতি করা।
৭.# সকলের সঙ্গে প্রীতিপূর্বক ধর্মানুসারে যথাযোগ্য ব্যবহার করা উচিত।
৮.# অবিদ্যার নাশ ও বিদ্যার বৃদ্ধি করা উচিত।
৯.# প্রত্যেককে নিজের উন্নতিতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত নয়, কিন্তু সবার উন্নতিতে নিজের উন্নতি ভাবা উচিত।
১০.# সব মানুষকে সামাজিক সর্বহিতকারী নিয়ম পালনে পরতন্ত্র এবং প্রত্যেক হিতকারী নিয়মে সবাইকে স্বতন্ত্র থাকা উচিত।<ref>Pt. Chamupati, M.A., Ten Commandments of Arya Samaj, New Delhi: D.A.V. Publications (2001)</ref>
 
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
 
== আরো পড়ুন ==
৪৫ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
*"Hinduism Today" by R. M. Chopra, 2009.
 
==বহিঃসংযোগ ==
== External links ==
* [http://www.aryasamaj.com Arya Pratinidhi Sabha America]
* [http://www.aryasamaj.org Arya Samaj Blog (Hindi and English)]