করমচা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
Redgwan (আলোচনা | অবদান)
+==চাষ পদ্ধতি==+==ওষধি গুণাবলি==
২১ নং লাইন:
}}
 
'''করমচা''' হল টক স্বাদের ছোট আকৃতির একটি [[ফল]]। ইংরেজিতে একে natal plum বলা হয়। Carissa গণভুক্ত কাঁটাময় গুল্মজাতীয় করমচা উদ্ভিদটি এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়। কাঁচা ফল সবুজ, পরিণত অবস্থায় যা ম্যাজেন্টা লাল-রং ধারন করে। অত্যন্ত টক স্বাদের এই ফলটি খাওয়া যায়, যদিও এর গাছ বিষাক্ত। করমচার ঝোপ দেখতে সুন্দর। <ref>[http://www.floridata.com/ref/C/cari_mac.cfm Floridata page for ''Carissa macrocarpa'']</ref>
==চাষ কাঁটাময়পদ্ধতি==
কাঁটাযুক্ত বলেগুল্মজাতীয় করমচার ঝোপউদ্ভিদটি দিয়েপ্রাকৃতিক জমিভাবেই বাজন্মে। বাড়িরতবে বেড়াএটা দেয়াচাষও হয়।করা বীজসম্ভব। ঝোঁপের কলমমতো দুভাবেইবলে গ্রামাঞ্চলে এরএই গাছ হয়।বাড়ির এটিসীমানায় সামান্যবেড়া তুষারহিসেবে সহ্যলাগানো করতেহয়। পারে। <ref name="U of Pretoria">{{cite web |url=http://www.up.ac.za/academic/botany/garden/species/18.html |title=Species List: 18. Carissa macrocarpa |accessdate=2007-08-09 |work=Manie van der Schijff Botanical Garden |publisher=University of Pretoria |pages=18 |doi= |archiveurl= |archivedate= |quote= }}</ref>
==ওষধি গুণাবলি==
 
করমচা ফল হিসেবে বেশ অবহেলিত হলেও এর পুষ্টিগুণ কিন্তু মোটেও অবহেলা করার মতো না! প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে- এনার্জি- ৬২ কিলোক্যালরি কার্বোহাইড্রেট- ১৪ গ্রাম প্রোটিন- ০.৫ গ্রাম ভিটামিন এ- ৪০ আইইউ ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন- ০.১ মিলিগ্রাম নিয়াসিন- ০.২ মিলিগ্রাম আয়রন- ১.৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম- ১৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম- ২৬০ মিলিগ্রাম কপার- ০.২ মিলিগ্রাম করমচার নানা গুণাবলি আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন - করমচাতে কোনো ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। তাই ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুব উপকারী। করমচা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা খাবারে রুচি বাড়ায়। মৌসুমী সর্দি-জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। স্কাভি, দাঁত ও মাঢ়ির নানা রোগ প্রতিরোধে করমচা সাহায্য করে। করমচাতে উপস্থিত ভিটামিন বি গায়ের চুলকানিসহ ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও করমচা সাহায্য করে। যকৃত ও কিডনীর রোগ প্রতিরোধে করমচা সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম শরীরের দূষণ বহিষ্কারকরণে সহায়তা করে। করমচা কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া পেটের নানা অসুখ নিরাময়েও করমচা উপকারী। শরীরের ক্লান্তি ও বার বার হাই তোলা থেকে মুক্তি পাবার জন্য করমচার রস বেশ কাজে দেয়। বাতরোগ ও ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী। করমচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। করমচার কার্বোহাইড্রেট কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।করমচা বেশ ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ফল। ভারতবর্ষের আদি চিকিত্‍সাশাস্ত্র চরক-এ এর উল্লেখ রয়েছে। ফলের পাশাপাশি এর গাছের অন্যান্য অংশেরও রয়েছে নানা কার্যাবলি। যেমন - করমচা গাছের পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়। করমচা গাছের মূলে রয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ে উপকারী ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল, ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা ও লিগনাম। কাঁচা ফলের রস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
[[চিত্র:Carissa carandas.JPG|thumb|300px|গাছে ধরে থাকা করমচা]]
[[চিত্র:Carissa spinarum near Hyderabad W IMG 7612.jpg|thumb|300px|করমচা ফুল]]