নীরদচন্দ্র চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
{{কাজ চলছে}}
মামুলি সম্পাদনা
১৩ নং লাইন:
| nationality = [[ভারতীয়]]
| period = ১৯৩০-১৯৯৯
| genre = সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতিসমাজ
| subject =
| movement = বঙ্গীয় নবজাগরণ
| influences =
| influenced =
২১ নং লাইন:
| website =
}}
'''নীরদচন্দ্র চৌধুরী''' (জন্ম: [[২৩ নভেম্বর]], ১৮৯৭ - মৃত্যু: [[১ আগস্ট]], ১৯৯৯) খ্যাতনামা বাঙালি লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি তৎকালীন [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]]) [[কিশোরগঞ্জ জেলা|কিশোরগঞ্জ জেলার]] [[কটিয়াদী|কটিয়াদীতে]] জন্মগ্রহণ করেন। '''স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারী''' শীর্ষক [[ম্যাক্স মুলার|ম্যাক্স মুলারের]] জীবনী লিখে ১৯৭৫ সালে নীরদচন্দ্র চৌধুরী ভারত সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা হিসেবে [[সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার|সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার]] লাভ করেন।<ref>[http://www.sahitya-akademi.gov.in/old_version/awa10304.htm#english সাহিত্য অকাদেমির ওয়েবসাইট]</ref> তিনি তাঁর ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও তীর্যক প্রকাশ ভঙ্গীর জন্য বিশেষভাবে আলোচিত ছিলেন।
 
== কর্মজীবন ==
৪১ নং লাইন:
নীরোদ চৌধুরীর মহান কীতি ''Thy Hand! Great Anarch! India: 1921—১৯৫২'' নামীয় গ্রন্থটি।, এই গ্রন্থটি ১৯৮৭ তে প্রকাশিত হয়। তখন তার বয়স নব্বুই। এ বয়সে তার দৈহিক এবং মানসিক কর্মক্ষমতা অটুট ছিল। পাণ্ডিত্য ও মণীষার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। ১৯৯২-এ ইংল্যান্ডের রাণী তাকে [[কম্যান্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার]] (CBE) উপাধি অর্পণ করেন।
 
১৯৯৪: দু:খের বৎসর, অমিয়া চৌধুরানীর দেহত্যাগ।

১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় সহস্রাব্দের প্রাক্কালে - ১০১ বৎসর বয়সে - নীরদচন্দ্র চৌধুরী অক্সফোর্ডে নিজ বাসগৃহে মৃত্যুবরণ করেন।
 
== উল্লেখযোগ্য কর্ম ==
নীরদচন্দ্র চৌধুরী'র প্রধান সাহিত্যকর্ম দি অটোবায়োগ্রাফী অব অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান (আইএসবিএন ০-২০১-১৫৫৭৬-১) ১৯৫১ সালেখ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এর ফলে তিনি সেরা ভারতীয় ইংরেজী লেখকের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হন। নতুন ও স্বাধীন দেশ হিসেবে ভারতের বিচার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে বইটি উৎসর্গ করেন তিনি।
 
প্রকৃতপক্ষে বইয়ের উৎসর্গ অংশে বলা হয়েছে - অনেক ক্ষুদ্ধ ভারতীয়দের অভিমত: রাজনৈতিক এবং আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নব্য সাম্রাজ্যবাদের অনুকরণমাত্র।
৫২ ⟶ ৫৪ নং লাইন:
নীরদ চৌধুরী পরবর্তীতে অবশ্য বলেছিলেন যে তিনি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তার বন্ধু, সম্পাদক, ঐতিহাসিক এবং ঔপন্যাসিক খুশবন্ত সিংয়ের মতে, "বইয়ের উৎসর্গটির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর প্রতি নিন্দাজ্ঞাপন করা যা আমাদেরকে সাম্যের দিকে ধাবিত করতে পারেনি।" - [[গ্রান্তা]] নিবন্ধে চৌধুরীর ভাষ্য। "প্রতিকল্প হিসেবে প্রর্দশনস্বরূপ তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, প্রাচীন [[রোম|রোমের]] সাথে সমান্তরাল পথে পা রাখছে ভারত।"
 
[[১৯৫৫]] সালেখ্রিস্টাব্দে [[ব্রিটিশ কাউন্সিল]] এবং [[বিবিসি]] যৌথভাবে নীরদ চন্দ্র চৌধুরীকে ৮ সপ্তাহের জন্য [[ইংল্যান্ড]] ভ্রমনের আয়োজন করে। তিনি বিবিসিতে বক্তৃতা পাঠ করতে সম্মত হন। ব্রিটিশ জীবনধারার উপর নীরদ চৌধুরী আটটি বক্তৃতামালা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ঐ বক্তৃতাগুলোই একত্রিত করে [[প্যাসেজ টু ইংল্যান্ড]] বইয়ে প্রকাশ করা হয়। ই.এম.ফরস্টার এ বিষয়ের সমালোচনা-ভাষ্য ও তার দৃষ্টিভংগী ''দ্য টাইমস্ লিটারেরী সাপ্লিমেন্টে'' প্রকাশ করেন।
 
[[১৯৬৫]] সালেখ্রিস্টাব্দে তার রচিত ''দ্য কন্টিনেন্ট অব সার্স'' গ্রন্থটি ১ম এবং একমাত্র ভারতীয় হিসেবে [[ডাফ কুপার প্রাইজ]] অর্জনে সহায়তা করে।
 
[[১৯৭২]] সালেখ্রিস্টাব্দে মার্চেন্ট আইভরী প্রোডাকশনের ব্যানারে ''এডভেঞ্চার অব এ ব্রাউন ম্যান ইন সার্চ অব সিভিলাইজেশন'' শীর্ষক ডকুমেন্টারী ফিল্ম বা প্রামাণ্য চিত্রে নীরদ চন্দ্র চৌধুরীকে উপজীব্য করে তৈরী করা হয়।
 
নীরদ চৌধুরী [[১৯৮৮]] সালেখ্রিস্টাব্দে ''দাই হ্যান্ড, গ্রেট আনার্ক'' শীর্ষক নিজের জীবনের শেষভাগ নিয়ে [[আত্মজীবনী]] প্রকাশ করেন। [[১৯৯২]] সালে তিনি ব্রিটেনের [[রাণী]] ২য় এলিজাবেথ কর্তৃক সম্মানিত হন এবং ''অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার'' উপাধীতে ভূষিত হন। [[১৯৯৭]] সালেখ্রিস্টাব্দে নিজের শতবর্ষে সর্বশেষ বই হিসেবে ''থ্রী হর্সম্যান অব দ্য নিউ এপোক্যালিপস'' প্রকাশ করেন।
 
== সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং লেখার ধরণ ==
৬৭ ⟶ ৬৯ নং লাইন:
 
== সম্মাননা ও পুরস্কার ==
* [[১৯৬৬]] সালেখ্রিস্টাব্দে '''দ্য কন্টিনেন্ট অব সার্স''' (১৯৬৫) রচনার জন্য [[ডাফ কুপার মেমোরিয়াল পুরস্কার]] লাভ।
* [[১৯৭৫]] সালেখ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার প্রদত্ত [[সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার]] লাভের পূর্বে [[আনন্দ পুরস্কার]] পান।
* [[১৯৯০]] সালেখ্রিস্টাব্দে [[অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়]] কর্তৃক ডি.লিট বা ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রী অর্জন।<ref>[http://www-stat.stanford.edu/~naras/ncc/ স্ট্যাট.স্ট্যানফোর্ড.এডু ওয়েবসাইট]</ref>
* [[১৯৯২]] সালেখ্রিস্টাব্দে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] রাণী [[২য় এলিজাবেথ]] কর্তৃক '''সিবিই''' বা [[কমান্ডার অব অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার]] উপাধি লাভ।
* [[১৯৯৬]] সালেখ্রিস্টাব্দে [[বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়|বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়]] কর্তৃপক্ষ তাদের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক ডিগ্রী হিসেবে [[দেশিকোত্তম]] - যার অর্থ "ধরিত্রীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ" পুরস্কার প্রদান করে।
 
== রচিত পুস্তকাদি ==
{{মূল|নীরদচন্দ্র চৌধুরীর গ্রন্থাবলি}}
তিনি [[ইংরেজী]] ও [[বাংলা]] উভয় ভাষায়ই লিখেছেন, তবে করেছেন ইংরেজীতে। ইংরেজীতে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১১; বাংলায় ৫।, এছাড়া বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ সংকলন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। উপরিউল্লিখিত গ্রন্থগুলো ছাড়াও তাঁর কিছু অপ্রকাশিত, বিশেষ করে অগ্রন্থিত রচনা রয়ে গেছে। এগুলো ১৯৩০-৫০ পর্বেকালপর্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও অদ্যাবধি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় নি। তাঁর গ্রন্থগুলোর প্রথম সংস্করণ বেশীরভাগ লন্ডন ও ভারত থেকে প্রকাশিত। কেবল [[নীরদচন্দ্র চৌধুরীর বাংলা প্রবন্ধ]] গ্রন্থটি [[ঢাকা]] থেকে প্রকাশিত।
 
== পরলোকগমন ==
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একজন সৃষ্টিশীল এবং স্বাধীনচেতা [[লেখক]] হিসেবেই পরিগণিত ছিলেন। ৯৯ বছর বয়সে তারতাঁর শেষ বই প্রকাশিত হয়। [[১৯৯৪]] খ্রিস্টাব্দে তার স্ত্রী অমীয়া চৌধুরী [[অক্সফোর্ড|অক্সফোর্ডে]] মারা যান। [[১৯৯৯]] সালেখ্রিস্টাব্দে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] অক্সফোর্ডেই নিজের ১০২তম [[জন্মদিন|জন্মদিনের]] দু'মাস পূর্বে [[পরলোকগমন]] করেন ক্ষণজন্মা সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ নীরদ চন্দ্র চৌধুরী।
 
== আরও দেখুন ==