আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aftab1995 ব্যবহারকারী এ.টি.এম. হায়দার (বীর উত্তম) পাতাটিকে এ.টি.এম. হায়দার শিরোনামে পুনর্নির্দেশন...
Hasive (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র+
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| name = লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ.টি.এম হায়দার
| image =Replace this image male bn.svg <!-- Only freely-licensed images may be used to depict living people. See [[WP:NONFREE]]. -->
| residence =[[বাংলাদেশ]] [[চিত্র:Flag of Bangladesh.svg|20px]]
২৫ নং লাইন:
| weight =
}}
লেফটেন্যান্ট কর্নেল '''আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার'''' (এ টি এম হায়দার) ''''(জন্ম:[[১২ জানুয়ারি]], [[১৯৪২]] - মৃত্যু: [[৭ই নভেম্বর]], [[১৯৭৫]])ছিলেন একজন [[বাংলাদেশি]] মুক্তিযোদ্ধা, যিনি প্রথমে দুই নং সেক্টরের সহ-অধিনায়ক ও পরে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। একজন গেরিলা কমান্ডার হিসাবে [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]] অভূতপূর্ব অবদান রাখার জন্য তিনি [[বীর উত্তম]] খেতাবে ভূষিত হন।<ref>[http://www.amardeshonline.com/pages/details/2009/12/16/9655 দৈনিক আমার দেশ]</ref>
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
১৯৪২ সালের [[১২ জানুয়ারি]], [[কলকাতা|কলকাতার]] ভবানীপুরে। বাবা আলহাজ মোহাম্মদ ইসরাইল। তিনি বৃটিশ ও পাকিস্তান পুলিশ বিভাগের ইন্সপেক্টর হিসাবে চাকুরি করতেন। মা আলহাজ হাকিমুন নেসা একজন গৃহিনী। পরিবারের দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে লে. কর্নেল হায়দার ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁদের গ্রামের বাড়ি [[কিশোরগঞ্জ]] জেলার [[করিমগঞ্জ উপজেলা|করিমগঞ্জ উপজেলার]] জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল গ্রামে। তার বোন [[সিতারা বেগম|ডা. সিতারা বেগম]], [[বীর প্রতীক]]। <ref>{{cite book |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, (খেতাবপ্রাপ্তখেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=২০১২মার্চ ২০১৩ |publisher= প্রথমা প্রকাশন |location= |isbn= ৯৭৮ ৯৮৪ ৩৩ ৩৮৮৮ ৪ 9789849025375|page= ২১|pages= |accessdate= |url=}}</ref>
এ.টি.এম হায়দার স্কুল জীবন শুরু করেন পাবনার বীণাপানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে কিশোরগঞ্জ রামানন্দ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ছাত্রজীবন থেকেই হায়দার একজন ভালো খেলোয়ার, সাতাঁরু ও স্কাউট ছিলেন। তিনি ১৯৫৮ সালে একজন স্কাউট হিসাবে পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোর জাম্বুরীতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে হায়দার কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (আই.এ) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর হায়দার উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের [[লাহোরে]] চলে যান। সেখানের লাহোর ইসলামিয়া কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে বি.এস.সি. ডিগ্রী লাভ করেন। পরে লাহোরস্থ পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিদ্যায় ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রথম পর্ব পড়াকালীন সেনাবাহিনীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে কমিশনের জন্য মনোনীত হন।
 
৩৬ নং লাইন:
=== মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ===
বাংলাদেশে (তত্কালীন [[পুর্ব পাকিস্তান]]) সেনাবাহিনীর ১ম কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের কর্মকর্তা হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে পালিয়ে ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং শুরু থেকেই ২নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর [[খালেদ মোশাররফ]] এর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেলাঘরে অবস্থিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডো, বিস্ফোরক ও গেরিলা ট্রেনিং সহ হায়দার মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ গ্রহণ করাতেন। মেলাঘরে হায়দার প্রথম একটা স্টুডেন্ট কোম্পানি গঠন করেন। এই কোম্পানিকে তিনিই ট্রেনিং প্রদান করতেন। কিশোরগঞ্জ -ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর তারের ঘাটপুল ও মুসল্লি রেলপুল, ঢাকা-চট্রগ্রামের রাস্তায় ফেনিতে অবস্থিত বড়পুল ধবংসসহ একাধিক অপারেশনের নেতৃত্ব দেন মেজর হায়দার। অক্টোবরের ৭ তারিখে খালেদ মোশাররফ নিয়মিত ব্রিগেড কে' ফোর্সের কমান্ড গ্রহণ করলে তিনি সেক্টর অধিনায়কত্ব লাভ করেন । ১৬ ই ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন । ঐদিন প্রথম ঢাকা বেতারে ও টিভি থেকে ঘোষনাপাঠ করেন -"আমি মেজর হায়দার বলছি -মুক্তিবাহিনীর প্রতি নির্দেশ " । গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে তাকে [[বীর উত্তম]] উপাধীতে ভুষিত করেন ।
 
 
[[চিত্র:Col. Haidar's grave taken by Manik on 17-2-11.jpg|thumb|200px|কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়ায়, এ.টি.এম. হায়দারের সমাধি]]
এ.টি.এম. হায়দারের ছোট বোন ক্যাপ্টেন [[সিতারা বেগম]] ও একমাত্র ছোট ভাই এ.টি.এম সফদার (জিতু) মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ.টি.এম সফদার ভারতের মেলাঘরে অবস্থিত ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ নেন এবং শালদানদী এলাকায় বিভিন্নযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের আগরতলাস্থ ৯২ বি. এস. এফ. ক্যাম্পের সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধ বিষয়ক যোগাযোগ ও খবরাখবর (অফিসিয়াল) আদান-প্রদান করতেন। ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম বিশ্রামগঞ্জে বাংলাদেশ হাসপাতালে কাজ করতেন। পাঁচশত বেডের এই হাসপাতালে তিনি একজন কমান্ডিং অফিসার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। হাসপাতালটি সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত ছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধে [[বীর প্রতীক]] খেতাব পান ।
 
== স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনীতে ==
৪৭ ⟶ ৪৮ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}
<references/>
* {{cite book | last1 = মানিক | first1 = নুরুজ্জামান | title = স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা | publisher = শুদ্ধধর | date = ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ | location = ঢাকা | pages = ৮১-৮২ | accessdate = ২০১১-০২-২৬}}
* [http://www.kishorgonj.com/?p=2082 kishorgonj.com]