জন্মদিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
Suvray (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:জন্মদিন যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Birthday candles.jpg|thumb|500px300px|ঐতিহ্যবাহী ইংরেজী জন্মদিন অভ্যর্থনা।]]
 
'''জন্মদিন''' হচ্ছে [[পঞ্জিকা]] অনুযায়ী মানুষের জন্মগ্রহণের দিবস। সাধারণত জন্মবার্ষিকীতে কারো জন্মদিন উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। সাধারণতসাধারণতঃ বৎসরের একটি নির্দিষ্ট মাসের নির্দিষ্ট তারিখে শিশুর পক্ষে তাঁর পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন কিংবা ব্যক্তি কর্তৃক উদযাপিত হয় এই দিবসটি। অর্থাৎ, বৎসরের নির্দিষ্ট দিনে জন্মগ্রহণকারী শিশু বা ব্যক্তির জন্ম উপলক্ষে যে আনন্দঘন উৎসব-আয়োজনের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়, তাই জন্মদিন নামে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারণতঃ শিশুদেরকে কেন্দ্র করেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাছাড়াও, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীসহ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকেও জন্মদিন পালন করতে দেখা যায়। সাড়ম্বর উদযাপন ছাড়াও জন্মদিন উদযাপনের প্রধান মাধ্যম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন।
 
মানবীয় গুণাবলীর অধিকারী মানুষ আবেগপ্রবণ জাতি হিসেবে চিহ্নিত। মূলতঃ মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ শিশুর এক বছর পূর্তিতে জন্মদিনের আয়োজন করা হয় মহাআড়ম্বরে। সন্তান কিংবা ব্যক্তিকে তার জন্মদিবসটির গুরুত্ব, সামাজিক প্রেক্ষাপটে চিহ্নিতকরণ ও লোকদের সাথে আরো পরিচিত করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। কিংবা বাবা-মায়ের আদরের ধন হিসেবে শিশুটিকে সন্তুষ্ট ও খুশী করার জন্যও জন্মদিন পালন করা হয়। কখনও কখনও বেসরকারী পর্যায়ে কোন প্রতিষ্ঠানের উৎপত্তির তারিখকে কেন্দ্র করে পরবর্তী বছরগুলোতে নির্দিষ্ট তারিখে জন্মদিনের আয়োজন করা হয়। ঐদিনে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ থাকে অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎফুল্ল। কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, আনন্দ-স্ফূর্তির বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।
৭ নং লাইন:
 
== হিসাব ==
যার জন্ম ২০১০ সালে, পরবর্তী বৎসর অর্থাৎ ২০১১-এ তার প্রথম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। প্রথম জন্ম বার্ষিকীজন্মবার্ষিকী হলেও এটি তার ২য় জন্মদিবস। প্রথম জন্ম বার্ষিকীজন্মবার্ষিকী বা ২য় জন্ম দিবসে একজনের বয়স ১ হয়। সে দ্বিতীয় বৎসরে প্রবেশ করে। যাদের জন্ম জর্জিয়ান পঞ্জিকার ফেব্রুয়ারীফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে তাদের জন্মদিন কেবল লিপ ইয়ারে উদযাপন করা সম্ভব।
 
== জন্মদিবসে করণীয় বিষয়সমূহ ==
২০ নং লাইন:
 
=== জন্মদিনের গান ===
জনপ্রিয় গান হিসেবে জন্মদিনে ''“হ্যাপী“[[হ্যাপি বার্থ ডেবার্থডে টু ইউ”ইউ]]”'' গানটির বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ভারতীয় বাংলা সঙ্গীত হিসেবে ''“জন্মদিনে কি আর দেব তোমায় উপহার / বাংলায় নাও ভালোবাসা, হিন্দিতে নাও পেয়ার”''; ''“জন্মদিন আজ, গলাটা ছেড়ে গা”'' অথবা ''“এলো এক অচেনা বছর”''; কিংবা বাংলাদেশে, বাংলায়, [[মাইলস]] ব্যান্ডের ''"আজ জন্মদিন তোমার"'' ইত্যাদি গানের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসকল গান ঘরে বাজানো ছাড়াও ইদানিং অনেকেই রেডিও বা অন্যান্য গণমাধ্যমের দ্বারা একজন অন্যজনকে উপহারস্বরূপ শুনিয়েও থাকে।
 
=== আপ্যায়ণ ===
শহরাঞ্চলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে খাওয়া-দাওয়া সাধারণতঃ চাইনিজ [[রেস্তোঁরারেঁস্তোরা]] কিংবা ছাদের উপরে [[সামিয়ানা]] টাঙ্গিয়ে করা হয়। গ্রামাঞ্চলে [[পরিবার]] গৃহেই আয়োজন করা হয়। অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাঙ্গালী সমাজে জন্মদিন ও অন্নপ্রাশনে দুধ সহযোগে [[পায়েস]] এক অতিপরিচিত খাবার হিসেবে অবশ্যম্ভাবী। আবার, সন্তানের মঙ্গল ও দোয়া-আশীর্বাদ কামনার লক্ষ্যে প্রতিবেশীদের মাঝে মিষ্টিজাতীয় খাবার বিতরণ করতেও দেখা যায়।
 
=== জন্মদিনের উপহার ===
পূর্বে ডাকযোগে জন্মদিনের কার্ড প্রেরণ করা হতো যা বর্তমানে প্রগতি ও আধুনিক প্রযুক্তির পাল্লায় পড়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। [[ব্যক্তি]] ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে [[খেলনা]], [[খাবার]], নগদ [[অর্থ]], [[প্রাইজবণ্ডপ্রাইজবন্ড]] কিংবা অন্যান্য উপহারাদি আদান-প্রদান করতে দেখা যায়। কিংবা অতিথিদেরকে কার্ডে জন্মদিনের [[উপহার]] না আনার জন্য উল্লেখ করে স্বনির্বন্ধ অনুরোধ করা হয়।
 
== জন্মদিন: ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে ==
শিশুর জন্মদিনে [[হিন্দু]] ধর্মাবলম্বীদের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও, [[খ্রীষ্টান]], [[বৌদ্ধ]] ধর্মের অনুসারীসহ বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে জন্মদিন পালন করা হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মে এর কোন স্থান নেই। বেদআত বলা হয়েছে জন্মদিন পালনকে। শিশুকে প্রসাধনসামগ্রী ও তিলক-চন্দন দিয়ে সাজানোর পর [[ধান]], [[দূর্বা]] ও [[উলুধ্বনি]] সহযোগে উজ্জ্বল আলোর পরিস্ফূটন দেখা যায়। অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে [[ক্যামেরা]] ও ভিডিওর ব্যবস্থা করা হয় যাতে পরবর্তীতে স্মৃতিরোমন্থণ করা যায়। এছাড়াও, গান-বাজনা, [[নৃত্য]], [[মুকাভিনয়]], [[কৌতুক]] কিংবা [[যাদু]] প্রদর্শনীসহ অন্যান্য হালকা বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকে। এছাড়াও, [[খ্রিস্টান]], [[বৌদ্ধ]] ধর্মের অনুসারীসহ বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে জন্মদিন পালন করা হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মে এর কোন স্থান নেই। বেদআত বলা হয়েছে জন্মদিন পালনকে।
 
=== পৌরাণিকিতে জন্মদিনের মাহাত্ম্য ===
৪১ নং লাইন:
* ১৮ বছর পূর্তিতে [[নাগরিক]] অধিকার হিসেবে [[ভোটাধিকার]] প্রয়োগ অন্যতম;
* ৬ বৎসর বয়সে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি;
* ১৬ বৎসর পূর্তিতে [[সামরিক]] বাহিনী|সামরিক বাহিনীতে]] যোগদান;
* [[নারী]] ও পুরুষের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৮ ও ২১ বৎসরে [[বিবাহ]] করার অধিকারসহ
* অন্যান্য নির্দিষ্ট বয়সসীমায় [[মদ]] পান ও [[ধূমপান]] করার অধিকার, লটারীর টিকেট ক্রয়, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি, নির্বাচনে প্রার্থীতার আবেদন অন্যতম।<ref>http://www.avert.org/age-of-consent.htm</ref>
 
== রাষ্ট্রীয়ভাবে জন্মদিনে ছুটি ও এর ব্যবহার ==
ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, জাতীয় [[বীর]] কিংবা প্রতিষ্ঠাতার সম্মানার্থেও স্বাধীন দেশসমূহ সরকারী ছুটি প্রদান করে। যেমনঃযেমন:
 
* ভগবান [[কৃষ্ণ|শ্রীকৃষ্ণের]] জন্মদিনটি [[জন্মাষ্টমী]] নামে পরিচিত ও [[বাংলাদেশ]] সরকার দিবসটি উপলক্ষ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে আসছে স্বাধীনতার পর থেকেই।
* [[খ্রীষ্ট]] ধর্মের প্রবক্তা ও মহান পুরুষ প্রভু [[যীশু]] খ্রীষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ছুটি দেয়া হয়।
* [[ভারত|ভারতে]] নেতাজী [[সুভাষ চন্দ্র বসু]]’র জন্মদিন হিসেবে ২৩ জানুয়ারীকেজানুয়ারিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাধারণ ছুটি দেয়া হয়। এছাড়াও, [[মহাত্মা গান্ধী]]’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে ২ অক্টোবরকে স্মরণীয় করে রাখতে [[গান্ধী জয়ন্তী]] হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালন করে।
* ৩০ জুলাই [[মাদার-ই-মিল্লাত]] এবং ৯ নভেম্বর [[মহাকবি]] [[ইকবাল|ইকবালের]] জন্মদিনকে ঘিরে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানে]] জাতীয় [[পতাকা]] উড্ডয়ন করা হয়।
* ‘কুইন্স অফিসিয়াল বার্থডে’ হচ্ছে ২৪ মে। [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] পাশাপাশি [[অস্ট্রেলিয়া]], [[ফিজি]] ও [[নিউজিল্যাণ্ডনিউজিল্যান্ড|নিউজিল্যাণ্ডেনিউজিল্যান্ডে]] দিনটি পালিত হয়। তবে [[কানাডা|কানাডায়]] দিনটি [[‘ভিক্টোরিয়া ডে’]] নামে পরিচিতি।
* বর্তমান [[জাপান]] [[সম্রাট]] [[হিসেই (আকিহিতো)]]’র জন্মদিন ২৩ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে জাপানে সরকারী [[ছুটি]] দেয়া হয়। পূর্ববর্তী সম্রাট [[শোয়া (হিরোহিতো)]]’র জন্মদিন ২৯ এপ্রিল। তার মৃত্যুর পর দিনটিকে [[শোয়া নো হি]] অথবা [[শোয়া ডে]] নামে ছুটি উদযাপিত হয়।
* রাষ্ট্রপ্রধানের জন্মদিন হিসেবে [[জর্জ ওয়াশিংটন|জর্জ ওয়াশিংটনের]] সম্মানার্থে [[‘প্রেসিডেন্টস ডে’]] ২২ ফেব্রুয়ারীফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয়।
 
== ব্যতিক্রমধর্মী জন্মদিন ==
৬৩ নং লাইন:
 
=== দিন বিভ্রাট ===
যাদের জন্মদিন ফেব্রুয়ারীরফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখে, তাদের অপেক্ষা করতে হয় চার-চারটি বৎসর পর অর্থাৎ লিপ-ইয়ার বা অধি-বর্ষে। এছাড়াও, উপমহাদেশে বিশেষতঃ বাংলাদেশে পারিবারিকভাবে নির্দিষ্ট দিনকে জন্মদিন হিসেবে পালন করলেও দিনক্ষণ ভুলে যাওয়া, ঝামেলা এড়ানো কিংবা হিসাব রাখার সুবিধার্থে অনেক অভিভাবকই সন্তানের জন্মদিনকে ১ জানুয়ারীজানুয়ারি হিসেবে চিহ্নিত করে জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের খাতায় নাম লেখান।
 
== জন্ম তারিখের ব্যবহার ==
৭৫ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:জন্মদিন]]
[[বিষয়শ্রেণী:মানুষ]]
[[বিষয়শ্রেণী:উৎসব]]