বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৮ নং লাইন:
বাঙালি মুসলমানের নিজস্ব সাহিত্য প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্দেশ্যেই ‘জাতীয় মঙ্গলে'র কবি ভোলার মোজাম্মেল হকের আহবানে ১৯১১ সনের ৪ মে কলকাতার ৯নং অ্যান্টনী বাগানে এই সমিতি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ''করিম বক্স ব্রাদ্রার'' দপ্তরীখানার মালিক মৌলভী আব্দুর রহমানের বাসভবনে ছিল সেই অ্যান্টনী বাগান। তৎকালীন স্কুলসমূহের পরিদর্শক ''মৌলভী আব্দুল করিম'' বি.এ.-এর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, সাপ্তাহিক ‘দি মুসলমান'-এর সম্পাদক মৌলভী মুজিবুর রহমান, শেখ আব্দুর রহিম, মুনশী মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ, শান্তিপুরের কবি মোজাম্মেল হক, ‘কোহিনূর' সম্পাদক মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী প্রমুখ তৎকালীন বিশিষ্ট সাহিত্যিক-সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি' গঠিত হয় এবং মৌলভী আব্দুল করিম ও মৌলভী মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে নবগঠিত সমিতির যথাক্রমে প্রথম সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।<ref>''কলিকাতায় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি স্থাপনের গোড়ার কথা'', [[মোজাম্মেল হক]], ''নজরুল একাডেমী পত্রিকা,'' ৩য় বর্ষ- ১ম সংখ্যা, গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ, ১৩৮০ পৃ. ৯৮-১০১</ref>
 
== লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ==
প্রতিষ্ঠালগ্নেই সমিতি গঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঘোষণা করা হয়। সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:
 
১. বঙ্গীয় মুসলমান সমাজে বঙ্গ সাহিত্যের আলোচনা ও তাহার পরিপুষ্টি সাধন।
 
২. আরবী, ফারসী, উর্দু প্রভৃতি ভাষা হইতে ধর্মশাস্ত্র ও ইতিহাসাদির অনুবাদ প্রচার।
 
৩. প্রাচীন মুসলমান বঙ্গ সাহিত্যের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ।
 
৪. বঙ্গদেশের বিভিন্ন স্থানের পীর, সাধুপুরুষ ও অন্যান্য মহাজনের জীবনী সংগ্রহ ও প্রকাশ।
 
৫. বঙ্গীয় মুসলমান সমাজের প্রাচীন বংশাবলীর ও প্রাচীন কীর্তিকলাপের ইতিবৃত্ত ও জাতীয় ইতিহাসের অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ।
 
৬. বঙ্গীয় মুসলমান সমাজে সাময়িকপত্রের প্রচার।
 
৭. সদ্গ্রন্থের প্রচারকল্পে সাহিত্যসেবীদিগকে উৎসাহ প্রদান।
 
৮. সাহিত্যক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন।
 
৯. সমিতির সংশ্লিষ্ট একটি পুস্তকাগার স্থাপন ও পাঠাগার সংরক্ষণ।
==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}