আকবর আলি খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
→‎বহি:সংযোগ: বট বিষয়শ্রেণী ঠিক করেছে
সামান্য
৪ নং লাইন:
'''আকবর আলি খান''' একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] আমলা, [[অর্থনীতিবিদ]] এবং [[শিক্ষাবিদ]]। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি [[হবিগঞ্জ জেলা|হবিগঞ্জের]] এসডিও ছিলেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সাথে কাজ করেন দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সরকারী চাকুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি [[ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ|ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের]] নেতৃত্বাধীন [[তত্ত্বাবধায়ক সরকার|তত্ত্বাবধায়ক সরকারের]] একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্পন্ন না হবার আশংকায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সাথে একযোগে পদত্যাগ করেন।
 
== প্রারম্ভিকপ্রাথমিক জীবন ==
আকবর আলি খান ১৯৪৪ সালে [[ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা|ব্রাহ্মণবাড়িয়ার]] নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পুরো স্কুল জীবন পার করেন নবীনগর হাই স্কুলে। তিনি [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে আই. এস. সি পাশ করেন। এরপর তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ইতিহাস বিভাগে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান ১৯৬৪ সালে সম্মান ও ১৯৬৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন দুটিতেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম
হয়ে। সরকারী চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে তিনি কিছুসময়েরকিছু সময়ের জন্য শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে তিনি [[লাহোর|লাহোরের]] সিভিল সার্ভিস
[[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে আই. এস. সি পাশ করেন। এরপর তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]]
ইতিহাস বিভাগে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান ১৯৬৪ সালে সম্মান ও ১৯৬৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন দুটিতেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম
হয়ে। সরকারী চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে তিনি কিছুসময়ের জন্য শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে তিনি [[লাহোর|লাহোরের]] সিভিল সার্ভিস
একাডেমিতে যোগ দেন। সেখান থেকে এস. ডি. ও. হিসেবে বদলি হয়ে হবিগঞ্জে ফিরে আসেন ১৯৭০ সালে। তিনি তার এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ১৯৭০ এর
নির্বাচন পরিচালনা করেন।
১৪ ⟶ ১২ নং লাইন:
== মুক্তিযুদ্ধ ==
যুদ্ধ শুরুর আগের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি গেরিলা যোদ্ধাদের অস্ত্র যোগান দেবার সিদ্ধান্ত
নেন। [[মুজিবনগর সরকার]] তখনো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অনেক সরকারী কর্মচারীই লিখিত অনুমতি ছাড়া অস্ত্র যোগান দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে খান নিজ হাতে লিখিত আদেশ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র , খাদ্য ও অর্থ যোগান দেবার অনুমতি দেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল তৈরি করতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা উঠিয়ে ট্রাকে করে আগরতলায় পৌছে দেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য যোগান দেবার জন্য গুদামঘর খুলে
নেন। [[মুজিবনগর সরকার]]
দেন এবং পরবর্তীতে [[আগরতলা]]য় চলে যান। তিনি বলেন, আগরতলায় যাওয়ার পর আমরা একটা পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করা, উদ্বাস্তু শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছিল তাদের সহায়তা করা। প্রথমদিকে আমাদের একরকম একা একাই কাজ করতে হয়েছে। মুজিবনগর সরকার গঠিত হবার মাসখানেক পর আমাদের সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ হয়। জুলাই মাসে তাকে সরকারে যোগ দেবার জন্য [[কলকাতা|কলকাতায়]] ডাকা হয় এবং সেখানে তিনি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে উপসচিব পদে যোগ দেন। আগস্ট মাসে তিনি একই পদে থেকে নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।
তখনো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অনেক সরকারী কর্মচারীই লিখিত অনুমতি ছাড়া অস্ত্র যোগান দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে খান নিজ হাতে লিখিত
আদেশ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র , খাদ্য ও অর্থ যোগান দেবার অনুমতি দেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল তৈরি করতে ব্যাংকের
ভল্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা উঠিয়ে ট্রাকে করে আগরতলায় পৌছে দেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য যোগান দেবার জন্য গুদামঘর খুলে
দেন এবং পরবর্তীতে [[আগরতলা]]য় চলে যান।
তিনি বলেন, আগরতলায় যাওয়ার পর আমরা একটা পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের
সহায়তা করা, উদ্বাস্তু শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছিল তাদের সহায়তা করা। প্রথমদিকে আমাদের একরকম একা একাই কাজ করতে হয়েছে। মুজিবনগর
সরকার গঠিত হবার মাসখানেক পর আমাদের সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ হয়। জুলাই মাসে তাকে সরকারে যোগ দেবার জন্য [[কলকাতা]]য় ডাকা হয়
এবং সেখানে তিনি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে উপসচিব পদে যোগ দেন। আগস্ট মাসে তিনি একই পদে থেকে নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।
 
== পরবর্তী জীবন ==
স্বাধীনতার পর তিনি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি সেখানে ছয় মাস চাকরি করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান থেকে ফেরত ব্যক্তিদের চাকরি পেতে সহায়তা করেন। পরে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতায় যোগ দানের জন্য সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিলেও [[শেখ মুজিবর রহমান]] তা গ্রহণে অস্বীকৃত জানান। তাকে অবসর না দিয়ে শিক্ষকতা করার জন্য ছুটি দেয়া হয়। কমন ওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনীত হবার আগে তিনি অল্পসময়ের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বৃত্তির জন্য তিনি [[কানাডা]]র [[কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়]]এ যোগ দেন এবং সেখানে অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স এবং পি. এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে দেশে ফেরত আসার পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তাকে আবারো প্রশাসনের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে যোগ দেবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। ১৯৮৭ সালের আগ পর্যন্ত তিনি পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কর্মকমিশন সচিবালয়ে কাজ করেন।
স্বাধীনতার পর তিনি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি সেখানে ছয় মাস চাকরি করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান থেকে ফেরত
ব্যক্তিদের চাকরি পেতে সহায়তা করেন। পরে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতায় যোগ
দানের জন্য সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিলেও [[শেখ মুজিবর রহমান]] তা গ্রহণে অস্বীকৃত জানান। তাকে অবসর না দিয়ে
শিক্ষকতা করার জন্য ছুটি দেয়া হয়। কমন ওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনীত হবার আগে তিনি অল্পসময়ের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষকতা করেন। বৃত্তির জন্য তিনি [[কানাডা]]র [[কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়]]এ যোগ দেন এবং সেখানে অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স এবং
পি. এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে দেশে ফেরত আসার পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী
অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তাকে আবারো প্রশাসনের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে যোগ দেবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। ১৯৮৭ সালের আগ
পর্যন্ত তিনি পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কর্মকমিশন সচিবালয়ে কাজ করেন।
 
তিনি ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসে অর্থমন্ত্রী পদে যোগ দেন। ঢাকায় ফিরে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগে অতিরিক্ত সচিব পদে যোগ দেন। তার সময়ে তিনি বিসিসিএল ব্যাংকের পূণর্গঠন এবং বেসিক ব্যাংক অধিগ্রহণের কাজ করেন। অল্প সময়ের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে কাজ করে তিনি আবারো অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসেন।
অতিরিক্ত সচিব পদে যোগ দেন। তার সময়ে তিনি বিসিসিএল ব্যাংকের পূণর্গঠন এবং বেসিক ব্যাংক অধিগ্রহণের কাজ করেন। অল্প সময়ের জন্য
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে কাজ করে তিনি আবারো অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসেন।
 
তিনি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ (মন্ত্রী ছাড়া) সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি সচিব হিসেবে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। তার পরবর্তী কর্মক্ষেত্র বিশ্ব ব্যাংকে তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।
২০০১ সাল পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। তার পরবর্তী কর্মক্ষেত্র বিশ্ব ব্যাংকে তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাজ
করেন।
 
== ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ==
৬২ ⟶ ৪২ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৪-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]