মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
৩০ নং লাইন:
| portaldisp = }}
 
মেজর জেনারেল '''মুহম্মদ আবুল মঞ্জুর (এম.এ. মঞ্জুর)''' ([[জন্ম]]: [[১৯৪০]] - [[মৃত্যু]]: [[জুন ২]], [[১৯৮১]]) ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সুযোগ্য সেনাপতি। তিনি [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের]] একজন দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা যিনি সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাতটি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত ৮নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি [[বীর উত্তম]] খেতাবে ভূষিত হন। <ref>[http://www.amardeshonline.com/pages/details/2009/12/16/9655 দৈনিক আমার দেশ]</ref>
১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন [[রাষ্ট্রপতি]] [[জিয়াউর রহমান]] হত্যাকাণ্ডের সূত্রে একটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুতে দায়েরকৃত খুনের মামলা ১৯৯৫ থেকে তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকারী হিসাবে চিহ্তি করার লক্ষ্য নিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদের সরাসরি নির্দেশে তাকেঁ হত্যা করা হয়েছিল।<ref>[http://www.thedailystar.net/the-murder-of-major-general-abul-manzur-bir-uttam-12397 The murder of Major General Abul Manzur, Bir Uttam]</ref>
 
 
৪৬ নং লাইন:
স্বাধীনতার পর এম. এ. মঞ্জুর [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে]] যোগদান করেন। সে সময় তিনি যশোরে ৫৫নং ব্রিগেডের কমান্ডার হিসাবে নিয়োগ পান। [[১৯৭৩]] সালে তিনি [[দিল্লী|নয়াদিল্লীতে]] বাংলাদেশ হাইকমিশনে সামরিক উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেন। [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু]] হত্যার পর [[১৯৭৫]] সালের [[নভেম্বর ১৩|১৩ নভেম্বর]] তিনি [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর]] চীফ অব জেনারেল স্টাফ পদে নিয়োগ পান। চট্টগ্রামে সেনাবহিনীর ২৪তম ডিভিশনের জিওসি হিসাবে নিযুক্ত হন [[১৯৭৭]] সালের শেষ দিকে। [[১৯৮১]] সালের [[মে ২৯|২৯ মে]] পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন।
 
== মঞ্জুর হত্যকাণ্ড ==
মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারকার্য চলে দীর্ঘ কাল। তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে, আর মামলা দায়ের করা হয় ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে। মৃত্যুর ১৪ বছর পর ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মঞ্জুরের ভাই। সার্বিক বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়। সরকার এ সময় বিচারক হোসনে আরা আকতারকে পরিবর্তন করে। নতুন বিচারক ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ রায় দেয়ার আগে মামলার যুক্তিতর্ক নতুন করে শোনার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক সেনাশাসক ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত [[হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের]] উপস্থিতিতে এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করে ২২ এপ্রিল ২০১৪ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করে আদালত। এই দিন যুক্তিতর্কের কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পুনঃতদন্তের আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে। এসময় এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম এই আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন।<ref>[http://www.thedailystar.net/court-orders-further-investigation-13275 MANZUR MURDER CASE Court orders further investigation]</ref> উল্লেখ্য যে এ সময় বিদেশী সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ ২৩-২৫ ফ্রেব্রুয়ারি তিন দিন ব্যাপী প্রকাশিত তদন্তমূলক ধারাবাহিক সংবাদ প্রতিবেদনে এরশাদ এবং একজন অনামী উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে পুন:তদন্ত অথবা উচ্চতর আদালতে পুন:বিচারের সুপারিশ করেন।<ref>[]</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==