দীনেশ গুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Binay Badal Dinesh - Wikimedia Photowalk Kolkata 20111218 IMG 4578.jpg|thumb|[[কলকাতা]]র [[বিবাদীবাগ|বিবাদীবাগে]] বিনয় বসু ও বাদল গুপ্তের সঙ্গে দীনেশ গুপ্তের প্রতিমূর্তি (ডানদিকে)]]
[[চিত্র:Dinesh_GuptaDinesh Gupta.jpg|right|thumb|দীনেশ গুপ্ত''' ([[১৯১২]]-[[১৯৩০]]) একজন বাঙালি বিপ্লবী ও মুক্তিসংগ্রামী]]
'''দীনেশচন্দ্র গুপ্ত''' ([[৬ ডিসেম্বর]], [[১৯১১]] - [[৭ জুলাই]], [[১৯৩১]]) ছিলেন [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে]] অংশগ্রহণকারী একজন স্বনামধন্য [[বাঙালি]] বিপ্লবী। তিনি '''দীনেশ গুপ্ত''' নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি [[ঢাকা]] ও [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]] বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। মেদিনীপুরে তাঁর সংগঠন পরপর তিন জন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করেছিল।<ref name = charitabhidhan>''বাঙালি চরিতাভিধান'' প্রথম খণ্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, সংশোধিত চতুর্থ সংস্করণ, ১৯৯৮, পৃ. ২০৭</ref> ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিপ্লবী [[বিনয় বসু|বিনয় বসুর]] নেতৃত্বে তিনি ও [[বাদল গুপ্ত]] [[কলকাতা|কলকাতার]] [[রাইটার্স বিল্ডিং]] (বর্তমান [[মহাকরণ]]) ভবনে অভিযান চালিয়ে কারা বিভাগের অত্যাচারী ইন্সপেক্টর জেনারেল সিম্পসনকে হত্যা করেন। রাইটার্স বিল্ডিং-এর অলিন্দে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের খণ্ডযুদ্ধে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ ইউরোপীয় কর্মচারী গুরুতরভাবে আহতও হন। এরপর তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অপর দুই বিপ্লবী আত্মহত্যায় সমর্থ হলেও মৃতপ্রায় দীনেশকে পুলিশ বাঁচিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। বিচারে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। মৃত্যুর পূর্বে জেলে বসে তিনি কয়েকটি চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠিগুলি ভারতের বিপ্লবী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং সাহিত্যিক বিচারেও অত্যন্ত মূল্যবান।<ref name = charitabhidhan/> স্বাধীনতার পর তাঁর ও তাঁর অপর দুই সহবিপ্লবীর সম্মানার্থে কলকাতার প্রসিদ্ধ ডালহৌসি স্কোয়ারের নাম [[বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগ]] (সংক্ষেপে বিবাদীবাগ) রাখা হয়।
 
৭ নং লাইন:
 
== বিপ্লবী জীবনের সূচনা ==
কৈশোরে দীনেশ বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স (বিভি) নামে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠনের সদস্য হন।<ref>''শহীদ দীনেশ গুপ্তের জীবন, সাহিত্য ও পত্রাবলী'', পৃ. ৪</ref> ১৯২৬ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]] কর্মরত তাঁর বড়োদাদা যতীশচন্দ্র গুপ্তের কাছে বেড়াতে আসেন। এই সময় থেকেই মেদিনীপুর শহরে বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলার সুপ্ত বাসনা তাঁর মনে জাগে। কিন্তু দলের নির্দেশে সেবার তাঁকে ঢাকায় ফিরে আসতে হয়েছিল বলে তিনি মেদিনীপুরে বিশেষ কিছুই পরে উঠতে পারেননি।<ref>''শহীদ দীনেশ গুপ্তের জীবন, সাহিত্য ও পত্রাবলী'', পৃ. ৬</ref>
 
১৯২৮ সালে তিনি [[ঢাকা কলেজ]] থেকে আইএসসি পরীক্ষা দেন। কিন্তু এই পরীক্ষায় তিনি কৃতকার্য হতে পারেননি। এরপর তিনি মেদিনীপুরে গিয়ে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেন। দলের তরফ থেকে দীনেশকে মেদিনীপুরে বিভির শাখা স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেদিনীপুরে এসে দল সংগঠন ও সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যান তিনি। <ref>''শহীদ দীনেশ গুপ্তের জীবন, সাহিত্য ও পত্রাবলী'', পৃ. ৮-১০</ref>