স্তন্যপায়ীর ফুসফুসের বুনট স্পঞ্জের মত এবং এপিথেলিয়ামের স্তর দ্বারা গঠিত এর কুন্চিত অন্তস্থঃতল বহিস্থঃতল অপেক্ষা অনেক বড়। মানুষের ফুসফুস এজাতীয় ফুসফুসের প্রতিনিধিত্বকারী।
শ্বাস-প্রশ্বাস প্রধানত চলে বক্ষপিঞ্জরের তলদেশে সংযুক্ত পেশল মদ্ধোচ্ছদা[[ মধ্যচ্ছদা ]]দ্বারা। মদ্ধোচ্ছদারমধ্যচ্ছদার সংকোচনের ফলে বক্ষগহ্বরের তলদেশ নিম্নগামী হয় যা একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি করে। ফলে বায়ু মুখ ও নাসারন্ধ্র দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে; যা ল্যারিংস্ এবং ট্রাকিয়ার ভেতর দিয়ে ব্রংকাইতে পৌছে। মদ্ধোচ্ছদার মধ্যচ্ছদার সংকোচন এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, স্বাভাবিক প্রশ্বাসে যা অক্রিয়ভাবে সংকোচিত হয়। ব্যায়ামের সময় মদ্ধোচ্ছদামধ্যচ্ছদা সংকুচিত হয়ে দ্রুত ও প্রবলভাবে বায়ু নির্গমন ঘটায়। অন্যান্য রেস্পাইরেটরী পেশী এবং সাহায্যকারী রেস্পাইরেটরী পেশীর সাহায্যে বক্ষপিঞ্জরও কিছু পরিমাণে সম্প্রসারিত ও সংকুচিত হতে পারে। ফলে ফুসফুসের বায়ু ভিতরে টানা বা বাইরে বের করে দেওয়ার কাজটি সব সময় হয় চাপের বিপরীতে। এ জাতীয় ফুসফুস কামারের হাপরের সাথে মিল থাকার কারনে '''হাপর ফুসফুস''' (bellows lung) নামে পরিচিত।
