ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Bhupen-datta-1915.gif‎|thumb|right|250px]]
'''ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত''' (জন্ম: [[৪ সেপ্টেম্বর]] [[১৮৮০]] - মৃত্যু: [[২৫ ডিসেম্বর]] [[১৯৬১]]) একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজতান্ত্রিক এবং গবেষক ।
 
== প্রথম জীবন ও পরিবার ==
ভূপেন্দ্রনাথ কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন । তাঁর পিতা ছিলেন অ্যাটর্নী বিশ্বনাথ দত্ত এবং মা ছিলেন ভুবনেশ্বরী দেবী । তাঁর দুই দাদা ছিলেন নরেন্দ্রনাথ বা [[স্বামী বিবেকানন্দ]] এবং সাধক মহেন্দ্র ।
 
ভূপেন্দ্রনাথ কলকাতা মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউট থেকে এন্ট্রান্স পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাবার আগে তিনি ব্রাহ্মধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং [[শিবনাথ শাস্ত্রী|শিবনাথ শাস্ত্রীর]] সাথে পরিচিত হয়ে হিন্দুসমাজের ভেদবুদ্ধির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন ।
 
== বৈপ্লবিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ==
বৈপ্লবিক ধারায় ইংরেজকে ভারত থেকে তাড়ানোর জন্য তিনি [[১৯০২]] খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টার [[প্রমথনাথ মিত্র|পি মিত্রের]] নিখিল বঙ্গ বৈপ্লবিক সমিতিতে যোগ দেন । এখানে তিনি যতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, [[ভগিনী নিবেদিতা]], [[অরবিন্দ ঘোষ]] প্রমুখের সাহচর্য পান । মাৎসিনী এবং গ্যারিবল্ডির আদর্শ তাঁর প্রাথমিক বৈপ্লবিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল । তাঁর দাদা বিবেকানন্দের রচনাও তাঁকে প্রভাবিত করেছিল ।
 
অরবিন্দ ঘোষের সহায়তায় [[১৯০৬]] খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবীদের পত্রিকা সাপ্তাহিক যুগান্তরের সম্পাদক হন । দেশের বৈপ্লবিক চেতনা বাড়ানোর জন্য এই পত্রিকাটি ছাড়াও সোনার বাঙলা নামে একটি বেআইনী ইস্তাহার প্রকাশের জন্য [[১৯০৭]] খ্রিস্টাব্দে তাঁর এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় । মুক্তির পর তিনি সহকর্মীদের পরামর্শে ছদ্মবেশে আমেরিকা যাত্রা করেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়া হাউসে আশ্রয় পান ।
 
এরপর তিনি [[১৯১২]] খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন এবং দুই বছর পর ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন ।
 
তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গদর পার্টি এবং সোশ্যালিস্ট ক্লাবের সংস্পর্শে এসে সমাজতন্ত্রবাদে বিশেষ জ্ঞানলাভ করেন । আমেরিকায় থাকাকলে শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে তাঁকে অর্থকষ্টে দিন কাটাতে হয়েছিল ।
 
[[১৯১৪]] খ্রিস্টাব্দে [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] শুরু হবার পর বিপ্লবী আন্দোলনকে জোরদার করতে তিনিও অন্যান্য ভারতীয় বিপ্লবীদের মত [[বার্লিন|বার্লিনে]] আসেন । [[১৯১৬]] থেকে [[১৯১৮]] খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ঐতিহাসিক বার্লিন কমিটির সম্পাদক ছিলেন । [[১৯১৫]] খ্রিস্টাব্দে তিনি ছদ্মবেশে দক্ষিণ ইউরোপ পৌছান । বার্লিন কমিটির অনুরোধে জার্মান সরকার তাঁকে [[গ্রিস]] থেকে বার্লিনে আনেন । তাঁর নেতৃত্বে বার্লিন কমিটি তাঁদের কর্মক্ষেত্র পশ্চিম এশিয়ায় বিস্তৃত করে । এই সমস্ত অঞ্চলে অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল কাজে যেসব বীর ভারতবাসী প্রাণ দিয়েছেন বা লিপ্ত ছিলেন তাঁদের তথ্যাদির প্রামানিক চিত্র তিনি তাঁর বইতে বর্ণনা করেছেন ।
 
বৈপ্লবিক আন্দোলনের সাথে সাথে তিনি সমাজতত্ত্ব এবং নৃতত্বের গবেষণা চালিয়ে [[১৯২৩]] খ্রিস্টাব্দ থেকে হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি পান । [[১৯২০]] খ্রিস্টাব্দে জার্মান অ্যানথ্রোপলজিক্যাল সোসাইটি এবং [[১৯২৪]] খ্রিস্টাব্দে জার্মান এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য ছিলেন । [[১৯২১]] খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের আহ্বানে বীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তিনি মস্কোতে আসেন । এই অধিবেশনে [[মানবেন্দ্রনাথ রায়]] এবং [[বীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত]] উপস্থিত ছিলেন । তিনি সোভিয়েট নেতা [[লেনিন|লেনিনের]] কাছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রদান করেন ।
 
[[১৯২২]] খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে ভারতের শ্রমিক কৃষক আন্দোলনের একটি কর্মসূচী পাঠান । ১৯২৭-২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির এবং [[১৯২৯]] খ্রিস্টাব্দে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য হন । [[১৯৩০]] খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসর করাচী অধিবেশনে শ্রমিক এবং কৃষকদের মৌলিক অধিকার নিয়ে একটি প্রস্তাব [[জওহরলাল নেহেরু|নেহেরুকে]] দিয়ে গ্রহণ করান । এছাড়াও তিনি বহু শ্রমিক এবং কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন । [[১৯৩৬]] খ্রিস্টাব্দ থেকে ভারতের কৃষক আন্দোলনে যুক্ত থেকে বঙ্গীয় কৃষক সভার অন্যতম সভাপতি এবং দুবার অখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের অধিবেশনে সভাপতি হন । আইন অমান্য আন্দোলনে কারাবরণ করেন ।