অণুজীববিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
অ বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান |
||
১ নং লাইন:
'''অণুজীব বিজ্ঞান''' (Microbiology)হল জীববিজ্ঞান এর একটি শাখা যেখানে অণুজীব নিয়ে আলোচনা করা হয়।"Microbiology" শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ "Mikros" যার অর্থ ক্ষুদ্র, "Bios" যার অর্থ জীবন এবং "Logos" যার অর্থ বিজ্ঞান। অণুজীব বিজ্ঞান এর বিস্তারিত আলোচনায় রয়েছে "Virology" বা ভাইরাস বিজ্ঞান, "Mycology" বা ছত্রাক বিজ্ঞান, "Parasitology" বা পরজীবী বিজ্ঞান, "Bacteriology" বা ব্যাক্টেরিয়া বিজ্ঞান, "Immunology" বা রোগপ্রতিরোধ বিজ্ঞান ইত্যাদি। অণুজীব বিজ্ঞানের এসব শাখায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ বেক্তিই হলেন অণুজীব বিজ্ঞানী বা "Microbiologist"।
== অণুজীব ==
৫ নং লাইন:
== অণুজীব বিজ্ঞানী ==
১৬৭৬ সালে ব্রিটিশ সৌখিন বিজ্ঞানী [[অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুক]] ([[:en:Leeuwenhoek|Leeuwenhoek]]) সর্ব প্রথম অণুজীব আবিষ্কার করেণ। যে সকল বিজ্ঞানী অণুজীব বিজ্ঞান কে আধুনিক বিজ্ঞানের এক সম্ভাবনীয় শাখা হিসেবে গড়ে তুলেছেন তাদের মধ্যে [[লুই পাস্তুর]] ([[:en:Louis Pasteur|Louis Pasteur]]), [[রবার্ট কখ]] ([[:en:
[[চিত্র:Louis Pasteur.jpg|left|thumb|লুই পাস্তুর]]
== আলোচ্য বিষয় ==
অণুজীব বিজ্ঞান অণুজীবের কোষীয় গঠন, শারীরত্বত্ত (Metabolism), বংশগতি (Genetics), বৃদ্ধি(Growth), বাস্তুসংস্থান (Ecology), বিবর্তণ (Evolution)ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। তাছাড়া যেহেতু কিছু অণুজীব ( জীবানু) ও অন্যান্যপশু পাখির বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ঘটাতে পারে, ফলে এই সব রোগ, সেই সাথে এদের প্রতিরোধ ও প্রতিকারও অণুজীব বিজ্ঞানে আলোচ্য বিষয়। সেই সাথে আমাদের শরীর কিভাবে এই সব জীবানুর সাথে লড়াই করে তা মূলত অণুজীব বিজ্ঞানেরই আর এক শাখা ইমিউনলজি(immunology) তে আলোচনা করা হয়। জীবনরক্ষাকারী ঔষধ অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) অণুজীব বিজ্ঞানের এক বিশাল আবিষ্কার। [[অ্যান্টিবায়োটিক]] হল এমন সব পদার্থ যা কিনা একধরনের অণুজীব তৈরি করে এবং তা অন্য অণুজীবের বিপক্ষে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধকারী নানা ভ্যাক্সিন ও রোগ প্রতিকারকারী বিভিন্ন ঔষধের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্টেরয়েড অণুজীব হতে পাওয়া যায়।
=== অণুজীব ও স্বাস্থ্য ===
১৮ নং লাইন:
=== ফলিত অণুজীব বিজ্ঞান ===
অনুজীব বিজ্ঞানের এই শাখায় অণুজীবে বিভিন্ন ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
==== অণুজীব ও খাদ্য ====
২৭ নং লাইন:
==== অণূজীব ও পরিবেশ দুষণ ====
আমাদের এই আধুনিক দৈনদ্দিন জীবনে বিজ্ঞানের এক অভিশাপ হচ্ছে দূষণ। এটা থেকে পরিত্রাণের অন্যতম পথ হল অণূজীব। কিছু পদার্থ (যা বিগত কয়েক শতকে আমরা পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটিয়েছি, যেমনঃ প্লাস্টিক, ডিডিটি ইত্যাদি) ছাড়া আর সব পদার্থই কোনো না কোনো অণুজীব তার খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। অবশেষে সে যা নিসৃত করে তা হয় পরিবেশ বান্ধব (Environment friendly)অথবা সেই সাথে বানিজ্যিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল অনেক দেশে বিভিন্ন কীট-পতঙ্গ থেকে ফসলকে রক্ষা করতে অণুজীব ব্যবহৃত হচ্ছে।
==== অণুজীব ও জ্বালানি ====
অণুজীবের আর এক চমক হল জৈবজ্বালানী (biofuel)। কিছু কিছু অনুজীব মিথেন (Methen) গ্যাস উৎপাদন করতে পারে। বাংলাদেশে যে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় তার প্রায় ৯৬% হল মিথেন, অন্যদিকে অণুজীব কর্তৃক উৎপাদিত জৈবগ্যাসে মিথেন এর পরিমাণ প্রায় ৬০-৭০%। জৈবডিজেল (Biodiesel) দ্বারা এখন ব্রাজিলে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়েছে। আসলে জৈবডিজেল হল এলকোহল (মূলত মিথানল), উদ্ভিদ তেল, প্রানিজ তেলের মিশ্রণ। এলকোহল শিল্প-কারখানায় শর্করার হতে গাজন প্রক্রিয়ায় অণূজীবের সাহায্যে তৈরি করা হয়।
==== অণুজীব ও খনিজ পদার্থ ====
খনি থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ উত্তোলনের নানা পর্যায়ে অণুজীবের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মাটির নিচে খনিজ তেলের উপস্থিতি ঐ স্থানে পেট্রোলিয়াম ভক্ষণকারী ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি থেকে জানা যায়। অন্যান্য খনিজ পদার্থ যেমন সালফার এর উত্তোলনে সালফার জারণকারী (Sulfate oxidizer) ব্যাক্টেরিয়া ব্যবহার করা হয়।
==== অণুজীব ও কৃষি ====
জৈবসারও আসলে অণুজীবের কার্যাবলীর ফসল। জৈবসার হিসেবে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী ব্যাক্টেরিয়া (যেমনঃ ''Rhizobium, Azorihobium, Azotobacter'') ব্যাবহার করা হয় যা মাটিতে প্রয়োজন মতো নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে। তবে আমাদের দেশে ব্যবহৃত গোবরও জৈবসার বলে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশে সার তৈরির প্রধান কাচামাল গ্যাস শেষ হয়ে গেলে, আমাদের জন্য জৈবসার ব্যবহার করা অনেক লাভজনক হবে। তাছাড়া জৈবসার পরিবেশের উপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
==== অণুজীব ও ভেষজবিদ্যা(Pharmacy) ====
|