বাংলায় পর্তুগিজ জাতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
১ নং লাইন:
{{উৎসবিহীন}}
পর্তুগিজেরা বাংলায় প্রথম আগমন করে [[১৫১৬]] খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু শের শাহ তাদের বিতাড়িত করেন। পরে মুঘল শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর তারা আবার ফিরে আসে এবং হুগলী বন্দর প্রতিষ্ঠা করে, যা কালক্রমে বাংলার তৎকালীন শ্রেষ্ঠ বন্দরে পরিণত হয়। ১৬শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ১৭শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত পর্তুগিজ জাতি বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্মপ্রচার, কৃষিকাজ, দাস-ব্যবসা, ইত্যাদিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা রাষ্ট্রদোহী কার্যকলাপের জন্য মুঘল সম্রাট শাহজাহানের রোষানলে পড়ে এবং শাহজাহান ক্ষমতায় আসার পর তার আদেশে কাসিম খান ১৬৩২ সালে তাদেরকে যুদ্ধে পরাজিত করে হুগলী শহর দখল করলে পর্তুগিজরা এ দেশ ছেড়ে ধীরে ধীরে চলে যায়।
 
পর্তুগিজেরা এদেশে বহু নতুন জিনিস আমদানি করে আনে: চীনের রেশমী কাপড়, মালাক্কার মসলা, সিংহলের চীনাবাদাম, ইত্যাদি।
 
পর্তুগিজরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলায় অনেক নতুন নতুন শস্যের আমদানি করে ও সেগুলির কৃষিকাজ আরম্ভ করে। উত্তর আমেরিকা থেকে গোল আলু ও তামাক, ব্রাজিল থেকে বাদাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে পেঁপে, আনারস, কামরাঙা ও পেয়ারা, ইউরোপ থেকে জলপাই - এগুলি সবই পর্তুগিজরা এই দেশে চালু করে।
 
বাংলার মিষ্টি ও আচার শিল্প পর্তুগিজদের একক অবদান। নানা ধরনের রসালো ও শুকনো মিষ্টি এবং নানা রকমের আচার তৈরিতে পর্তুগিজরা ছিল অদ্বিতীয়।
 
বাংলা গদ্যের প্রথম বই লেখে পর্তুগিজেরা। বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ ও অভিধানও তারাই রচনা করে।