বৈষ্ণব সম্প্রদায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
২৬ নং লাইন:
| publisher = Motilal Banarsidass Pub
| isbn =
}}</ref><ref>[http://hinduism.iskcon.com/tradition/1201.htm Heart of Hinduism - Vaishnavism]</ref><ref> [http://www.hinduism.co.za/vedas-.htm Explanation of different scriptural texts within Hinduism]</ref>
 
বৈষ্ণবধর্মের অনুগামীদের ''বৈষ্ণব'' নামে অভিহিত করা হয়। বৈষ্ণবরা হিন্দু সমাজের অন্যতম বৃহৎ অংশ।<ref>[http://www.adherents.com/adh_branches.html#Hinduism Major Branches - Hinduism] from adherents.com</ref> এঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠের বাস [[ভারত|ভারতে]]। তবে সাম্প্রতিককালে ধর্মসচেতনতা, স্বীকৃতি ও ধর্মপ্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বাইরেও বৈষ্ণবদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে বৈষ্ণবধর্মের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আসছে [[গৌড়ীয় বৈষ্ণব]] শাখাটি।<ref name=Dimock1963>{{cite journal
৩৯ নং লাইন:
| accessdate = 2008-04-12
| doi = 10.1086/462474
}}</ref> মুখ্যত [[ইসকন]] [[হরে কৃষ্ণ]] আন্দোলনের প্রচারগত ও ভৌগোলিক প্রসার ঘটিয়ে এই কাজটি সম্পাদন করছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি অন্যান্য বৈষ্ণব সংগঠনও পাশ্চাত্যে ধর্মপ্রচারের কাজ শুরু করেছে।<ref name = "KnottICJ"> [http://web.uni-marburg.de/religionswissenschaft/journal/diskus/knott.html Contemporary Theological Trends in the Hare Krishna Movement] "Until the last fifteen years or so, there had been a lack of scholarship in the West on Vaishnavism, and this was seen by Hare Krishna devotees as a situation which must be changed."</ref>
 
== প্রধান ঐতিহাসিক শাখাসমূহ ==
৬১ নং লাইন:
| publisher = Routledge
| isbn = 0415405483
}}</ref> বিষ্ণুর শ্রেষ্ঠত্বের বিশ্বাসটির মূল ভিত্তি [[পুরাণ|পুরাণে]] বর্ণিত বিষ্ণুর নানা [[অবতার|অবতারের]] উপাখ্যান। এই সকল উপাখ্যানে তাঁর সঙ্গে [[গণেশ]], [[সূর্য (হিন্দু দেবতা)|সূর্য]], [[দুর্গা]] প্রমুখ দেবতার পার্থক্য প্রতিপাদন করে তাঁদের [[দেব (হিন্দুধর্ম)|উপদেবতার]] পর্যায়ে পর্যবসিত করা হয়েছে। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুসারে, হিন্দু [[ত্রিমূর্তি]]র অন্যতম দেবতা [[শিব]] হলেন বিষ্ণুর অনুগত ভক্ত<ref name = "RG"/> এবং স্বয়ং এক বৈষ্ণব।<ref> [http://brahmasamhita.com/5/45/en1 Brahma-Samhita 5.45] "The supremacy of Sambhu [Shiva] is subservient to that of Govinda [Vishnu]; hence they are not really different from each other... He is the lord of jiva but yet partakes of the nature of a separated portion of Govinda."</ref> [[স্বামীনারায়ণ হিন্দুধর্ম|স্বামীনারায়ণ হিন্দুধর্মের]] প্রতিষ্ঠাতা [[স্বামীনারায়ণ]] এই মতের বিরোধী। তাঁর মতে, শিব ও বিষ্ণু একই ঈশ্বরের দুই পৃথক সত্ত্বা।<ref>According to this site, http://www.kakaji.org/shikshapatri_verses.asp?catid=viewAll], verses 47, 84, of their scripture, [[Shikshapatri]], [http://www.kakaji.org/shikshapatri_verses.asp?catid=viewAll] states, "And the oneness of [[Narayana]] and [[Shiva]] should be understood, as the Vedas have described both to be brahmaroopa, or form of [[Brahman]], i.e., [[Saguna Brahman]], indicating that Vishnu and Shiva are different forms of the one and same God.</ref> তবে উল্লেখ্য, স্বামীনারায়ণের মতবাদ বৈষ্ণবদের একটি সংখ্যালঘু অংশের মত।
 
বৈষ্ণবদের অপর একটি সংখ্যালঘু অংশ [[আব্রাহামিক ধর্ম|আব্রাহামিক ধর্মের]] সর্বোচ্চ ঈশ্বরের সঙ্গে বিষ্ণুকে একীভূত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই মতটির বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। কারণ, আব্রাহামিক ধর্মের জিহোবা বা আল্লাহকে একেশ্বরবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়; তিনি একক চিরন্তন সত্ত্বা এবং তাঁর সৃষ্ট জগতের বাইরে পৃথকভাবে অবস্থান করেন। অন্যদিকে [[বিষ্ণু]]কে হিন্দুধর্মের [[বহুদেববাদ|বহুদেববাদী]] দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। এখানে সকল সত্ত্বাই ঈশ্বরে সমাহিত, এবং ঈশ্বর সকল সত্ত্বার মধ্যেই অস্তিত্বমান।<ref> [http://www.krishna.com/node/590 krishna.com] "The names can be generic terms, such as “God” or “the Absolute Truth.” They can be in Sanskrit, such as Govinda, Gopala, or Shyamasundara.</ref> বৈষ্ণব ধর্মমতে একটি বিশিষ্ট বক্তব্য হল, ঈশ্বর (বিষ্ণু এবং/অথবা কৃষ্ণ) "সত্য ব্যক্তিত্ব এবং তার বহুবর্ণময় সৃষ্টিও সত্য"।<ref name= Thomson>{{cite journal
| author = Richard Thompson, Ph. D.
| year = December 1994
৭২ নং লাইন:
 
=== পূজা ===
বৈষ্ণব দর্শনের মূলভিত্তি হিন্দুধর্মের কয়েকটি কেন্দ্রীয় ধর্মমত; যথা: [[বহুদেববাদ]], [[পুনর্জন্ম]], [[সংসার (হিন্দুধর্ম)|সংসার]], [[কর্ম (হিন্দুধর্ম)|কর্ম]] এবং বিভিন্ন [[যোগশাস্ত্র]]। তবে [[ভক্তিযোগ|ভক্তিযোগের]] পথে বিষ্ণুর প্রতি [[ভক্তি|ভক্তির]] প্রতিই এই ধর্মে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই ভক্তির অঙ্গ হল বিষ্ণুর নামগান ([[ভজন]] ও [[কীর্তন]]), তাঁর রূপচিন্তন ([[ধারণা (হিন্দুধর্ম)|ধারণা]]) এবং [[পূজা|দেবপূজা]]। দেবপূজার তত্ত্ব ও পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে [[পঞ্চরাত্র]] ও বিভিন্ন [[সংহিতায়]]।<ref> [http://www.vnn.org/editorials/ET9901/ET05-2795.html Tantric Literature And Gaudiya Vaishnavism]</ref>
 
[[চিত্র:Tirumala temple.JPG|thumb|left|[[ভেঙ্কটেশ্বর]] রূপী বিষ্ণুর পূজার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত [[তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির]]]]
 
পূজার মাধ্যমে বৈষ্ণবগণ বিষ্ণুকে তাঁদের অন্তরে অধিষ্ঠিতরূপে কল্পনা করেন। এই রূপে তাঁরা তাঁদের সত্ত্বার উৎস ঈশ্বরকে অন্তর্যামী নামে অভিহিত করেন। এই নামটি [[নারায়ণ]] নামের সংজ্ঞার একটি অংশ। হিন্দুধর্মের অন্যান্য শাখাসম্প্রদায়ের জীবনের উদ্দেশ্য যেখানে [[মোক্ষ]] লাভ বা [[ব্রহ্ম|পরমব্রহ্মের]] সঙ্গে মিলন, সেখানে বৈষ্ণবদের জীবনের উদ্দেশ্য বিষ্ণু বা তাঁর কোনো অবতারের সেবায় [[মায়া (হিন্দুধর্ম)|মায়াময়]] জগতের বাইরে '[[বৈকুণ্ঠ|বৈকুণ্ঠধামে]]' অনন্ত আনন্দময় এক জীবনযাপন। [[ভাগবত পুরাণ]] অনুসারে বৈষ্ণবদের সর্বোচ্চ সত্ত্বার তিন বৈশিষ্ট্য – [[ব্রহ্মণ]], [[পরমাত্মা]] ও [[ভগবান]] – অর্থাৎ, যথাক্রমে, ''বিশ্বময় বিষ্ণু'', ''হৃদয়যামী বিষ্ণু'' ও ''ব্যক্তিরূপী বিষ্ণু''।<ref> [http://www.vedabase.net/sb/1/2/11/en1 Bhag-P 1.2.11] "Learned transcendentalists who know the Absolute Truth call this nondual substance Brahman, Paramatma or Bhagavan."</ref>
 
=== দীক্ষা ===
[[চিত্র:Panca-tattva Altar.jpg|thumb|300px|বৈষ্ণব [[পঞ্চতত্ত্ব (বৈষ্ণবধর্ম)|পঞ্চতত্ত্বের]] দেবগণ: [[চৈতন্য মহাপ্রভু]], [[নিত্যানন্দ]], [[অদ্বৈত আচার্য]], [[গদাধর পণ্ডিত]] ও [[শ্রীধর ঠাকুর]]]]
বৈষ্ণবগণ সাধারণত [[দীক্ষা|দীক্ষানুষ্ঠান]] প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করেন। [[গুরু]] কর্তৃক দীক্ষিত হয়ে তাঁরা গুরুর অধীনেই বৈষ্ণব ধর্মানুষ্ঠান শিক্ষা করেন। দীক্ষার সময় শিষ্যকে কোনো নির্দিষ্ট [[মন্ত্র]] দান করা হয়। এই মন্ত্রটিকে পূজার অঙ্গ রূপে সোচ্চারে বা অনুচ্চারে বারংবার আবৃত্তি করতে হয়। এই বারংবার মন্ত্র আবৃত্তিকে [[জপ]] বলা হয়। বিভিন্ন বৈষ্ণব শাস্ত্রে দীক্ষা ও গুরুর অধীনে ধর্মানুশীলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে:
 
: ''"গুরুর নিকট উপস্থিত হয়ে সত্যানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হও। তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করে, তাঁর সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে প্রশ্ন কর। আত্মজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিই তোমাকে সত্যে উপনীত করতে পারেন, কারণ তিনিই একমাত্র সত্যকে উপলব্ধি করেছেন।''" ([[ভগবদ্গীতা]]) <ref> [http://www.bhagavadgitaasitis.com/4/34/en Bhag Gita 4:34]</ref>
 
: ''"যিনি বৈষ্ণব মন্ত্রে দীক্ষিত হন এবং বিষ্ণুর পূজায় আত্মনিয়োগ করেন, তিনিই বৈষ্ণব। যিনি তা করেন না তিনি বৈষ্ণব নন।''" ([[পদ্মপুরাণ]]) <ref> [http://bvml.org/SGK/03.html Caitanya Caritamrta: Madhya-lila, 15.106, 16.72, 16.74]</ref>
 
গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ধর্মশাস্ত্রগুলিতেও বলা হয়েছে যে যিনি বিষ্ণু বা কৃষ্ণের নামজপমাত্র পূজা করেন, তিনিই ধর্মানুশীলনের প্রশ্নে বৈষ্ণব বলে পরিগণিত হন:
 
: ''"যিনি একবার মাত্র কৃষ্ণের পবিত্র নাম জপ করেছেন, তাঁকেই বৈষ্ণব বলা যায়। এই ধরনের ব্যক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ মানবীয় সত্ত্বা এবং পূজনীয়।''" ([[চৈতন্য চরিতামৃত]]) <ref> [http://bvml.org/SGK/03.html Chaitanya Charitamrita: Madhya-lila, 15.106]</ref>
 
=== শাস্ত্রানুসরণ ===
৯৫ নং লাইন:
== বৈষ্ণব সম্প্রদায় ==
[[চিত্র:Iyengar Vedic students 1909.JPG|thumb|right|[[তাঞ্জোর|তাঞ্জোরে]] ধর্মালোচনা সভায় বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ ছাত্রেরা। সূত্র: ''দ্য ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন'', নভেম্বর ১৯০৯]]
বৈষ্ণবধর্মাবলম্বীগণ চারটি প্রধান উপশাখায় বিভক্ত। এই উপশাখাগুলিকে বলা হয় [[সম্প্রদায় (বৈষ্ণবধর্ম)|সম্প্রদায়]]।<ref> [http://www.iskcon.com/icj/4_1/satya_rsd.html The Sampradaya of Sri Caitanya, by Steven Rosen and William Deadwyler III] "the word sampradaya literally means 'a community'. A text from the Padma Purana quoted widely in Vaisnava writings speaks directly about these authorised communities. It says that 'Those mantras which are not received within a sampradaya are fruitless; they have no potency'. The text then specifically names the sampradayas. 'In the Kali-yuga, there will be four sampradayas.' ― we are talking about Vaisnava sampradayas­ ― 'They are the Brahma Sampradaya, originating with Brahma; Sri Sampradaya, starting with Laksmi; Rudra Sampradaya, starting with Siva; there's another one starting from Sanaka and the others, the Kumaras'. Those are the four recognised Vaisnava sampradayas."</ref> প্রত্যেক সম্প্রদায়ের আদর্শ কোনো নির্দিষ্ট বৈদিক চরিত্র। [[জীবাত্মা]] ও পরমাত্মা ([[বিষ্ণু]] বা [[কৃষ্ণ]]) সম্পর্কে এই চার সম্পর্কের মতের সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। যদিও অধিকাংশ বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল মতবাদ একই প্রকারের।<ref name = "KnottICJ"/><ref name = "RG"/><ref name=Beck2005>{{cite journal
| author = Guy L. Beck
| year = 2005
১৩০ নং লাইন:
 
=== তিলক ===
বৈষ্ণবদের মধ্যে কপালে [[তিলক]] অঙ্কণ করার রীতি রয়েছে। কেউ কেউ দৈনিক উপাসনার অঙ্গ হিসেবে তিলক আঁকেন, কেউ কেউ তিলক কাটেন বিশেষ অনুষ্ঠান বা উৎসব উপলক্ষে। বিভিন্ন বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলির নিজস্ব [[তিলক (বৈষ্ণবধর্ম)|তিলক অঙ্কণশৈলী]] রয়েছে। এগুলি সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের [[সিদ্ধান্ত|সিদ্ধান্তের]] প্রতীক। সাধারণত তিলকের আকার ইংরেজি Y অক্ষরটির মতো। দুই বা ততোধিক লম্বরেখা এবং নাকের উপর অপর একটি রেখা বিশিষ্ট এই তিলক বিষ্ণুর পদ ও পদ্মের প্রতীক।<ref> [http://www.britannica.com/eb/topic-621641/Vaishnavism britannica.com - Vaishnavism]</ref>
 
<gallery>
১৪১ নং লাইন:
{{Main|ঐতিহাসিক বিষ্ণুধর্ম}}
[[চিত্র:Swami Prabhupada.jpg|thumb|200px|[[অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ]] পাশ্চাত্যে বৈষ্ণবধর্ম প্রচারে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন]]
ভারতে [[ভারতীয় মহাকাব্য|মহাকাব্য]] বা "ইতিহাস"-এর যুগ থেকেই বিষ্ণুর পূজা প্রচলিত।<ref> [http://www.britannica.com/eb/article-9074641/Vaishnavism britannica.com]</ref> হপকিনসের মতে, "এককথায় বিষ্ণুধর্ম ছিল ভারতে প্রচলিত একমাত্র স্থানীয় ধর্মসম্প্রদায়।" ("Vishnuism, in a word, is the only cultivated native sectarian native religion of India.")<ref name="Hopkins, p.690"/> [[ভগবদ্গীতা]] নামে পরিচিত [[মহাভারত|মহাভারতের]] একটি অংশে বৈষ্ণবধর্মের ধারণাটি পাওয়া যায়। উক্ত অংশটি [[কৃষ্ণ]] ও [[অর্জুন|অর্জুনের]] মধ্যে কথোপকথনের আকারে বিধৃত রয়েছে। কৃষ্ণ [[বিষ্ণু]] অন্যতম [[অবতার]] এবং উক্ত অংশে অর্জুনের রথের সারথি।
 
[[দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত]] ও তাঁর পরবর্তীকালের বহু রাজাই পরমভাগবত বা [[ভাগবত]] [[বৈষ্ণব]] নামে পরিচিত ছিলেন।<ref name = Ganguli1988>{{cite book
২১৮ নং লাইন:
| accessdate = 2008-04-12
| doi = 10.1086/471739
}}</ref> এই প্রসার সম্ভব হয়েছিল ১৯৬৬ সালে [[অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ]] প্রতিষ্ঠিত [[ইসকন]] আন্দোলনের ফলে।<ref> {{citation |last = Selengut |first= Charles| title = Charisma and Religious Innovation:Prabhupada and the Founding of ISKCON| journal = ISKCON Communications Journal| volume= 4| issue = 2|year = 1996|url=http://www.iskcon.com/icj/4_2/4_2charisma.html}}</ref><ref name=Herzig2004>{{cite journal
| author = Herzig, T.
| coauthors = Valpey, K.
২২৬ নং লাইন:
| url = http://books.google.com/books?hl=en&lr=&ie=UTF-8&id=mBMxPdgrBhoC&oi=fnd&pg=PA416&dq=meanings+name+Krishna+Gopala&ots=r4RWN60zbX&sig=z-K7a_FrubZRZmzf1RLdkZpWGKY
| accessdate = 2008-01-10
}}</ref><ref> ''Prabhupada - He Built a House, [[Satsvarupa dasa Goswami]], Bhaktivedanta Book Trust, 1983, ISBN 0-89213-133-0'' p. xv</ref>
 
== পৌরাণিক মহাকাব্য ==
২৩৮ নং লাইন:
}}</ref><br />[[ভক্তিবেদান্ত ম্যানর]], [[ওয়াটফোর্ড]], ইংল্যান্ড]]
 
দুটি প্রসিদ্ধ [[ভারতীয় মহাকাব্য]] [[রামায়ণ]] ও [[মহাভারত]] বৈষ্ণব দর্শন, ধর্মতত্ত্ব ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
 
রামায়ণ [[বিষ্ণু]]র [[অবতার]] [[রাম|রামের]] উপাখ্যান। ধর্মনীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিচারে ইতিহাসে তাঁকে ‘আদর্শ রাজা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রামের স্ত্রী [[সীতা]], ভাই [[লক্ষ্মণ]] ও ভক্ত [[হনুমান|হনুমানের]] আচরণও বৈষ্ণবদের নিকট আদর্শ। মহাকাব্যের খলনায়ক [[রাবণ]] এক দুষ্ট রাজা। বৈষ্ণবদের কী করা উচিত নয় তার উদাহরণ রাবণ।
 
মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র [[বিষ্ণু]]র অপর [[অবতার]] [[কৃষ্ণ]]। এই মহাকাব্যের মূল উপজীব্য একটি পারিবারিক গৃহযুদ্ধ। এই যুদ্ধে কৃষ্ণ ধার্মিক [[পাণ্ডব]] ভাতৃগণের পক্ষাবলম্বন করেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাগমুহুর্তে [[কৃষ্ণ]] ও [[অর্জুন (পাণ্ডব)|অর্জুনের]] যে কথোপকথন হয় তা ভারতীয় দর্শনের একটি মূল্যবান উপাদান। এই অধ্যায়টি [[ভগবদ্গীতা]] নামে হিন্দুদের একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদাপ্রাপ্ত। হিন্দু দর্শনের উপর এই গ্রন্থটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তবে বৈষ্ণবদের কাছে এটি আরো বেশি মূল্যবান। কারণ তাঁরা মনে করেন, এই গ্রন্থের প্রতিটি বক্তব্যই কৃষ্ণের নিজের মুখ থেকে উৎসারিত হয়েছে। বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলিতে কৃষ্ণের মর্যাদা অত্যন্ত সম্মানজনক। কোনো কোনো সম্প্রদায় তাঁকে বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার মনে করেন। আবার [[গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম|গৌড়ীয়]] ও [[নিম্বার্ক সম্প্রদায়|নিম্বার্ক]] সম্প্রদায় তাঁকেই বিষ্ণুসহ সকল অবতারের উৎস মনে করেন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/1/3/28/en1 Bhag-P 1.3.28] "krishnas tu bhagavan svayam"</ref>
 
বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীগণ এই দুই মহাকাব্যের নানা অংশ অবলম্বনে নাট্য রচনা করে থাকেন। এই নাটকগুলি সংশ্লিষ্ট অবতারের উৎসবে অভিনীত হয়। ধর্মগ্রন্থ হিসেবে [[ভগবদ্গীতা]] বহুপঠিত। ইংরেজি সহ বিশ্বের একাধিক ভাষায় এই গ্রন্থ অনূদিত হয়েছে।
 
== পাশ্চাত্য গবেষণা ==
{{See also|কৃষ্ণতত্ত্ব}}
 
[[ভারত|ভারতে]] কয়েক শতাব্দীকাল বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্ব ছিল ভক্ত, দার্শনিক ও পণ্ডিতদের গবেষণা ও তর্কবিতর্কের বিষয়। সাম্প্রতিক কয়েক দশকে ইউরোপে [[অক্সফোর্ড সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিজ]] ও [[ভক্তিবেদান্ত কলেজ|ভক্তিবেদান্ত কলেজের]] মতো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। যেসকল বিশেষজ্ঞ এই বিষয়টিকে পাশ্চাত্য বিদ্বজ্জন সমাজে তুলে ধরতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন তাঁরা হলেন [[তমালকৃষ্ণ গোস্বামী]], [[হৃদয়ানন্দ দাস গোস্বামী]], [[গ্রাহাম শেউইগ]], [[কেনেথ আর. ভ্যালপেই]], [[গাই বেক]] ও [[সত্যরাজ দাস|স্টিভেন আর. রোসেন]] প্রমুখ।
 
১৯৯২ সালে স্টিভেন রোসেন ''[[দ্য জার্নাল অফ বৈষ্ণব স্টাডিজ]]'' নামক হিন্দু গবেষণা পত্রিকাটি চালু করেন।<ref> [http://www.deepakheritage.com/indic_series.htm#BackIssue Journal of Vaishnava studies] - note, contains commercial link, better ref required</ref> এই পত্রিকায় বৈষ্ণবধর্ম, বিশেষত গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
 
== আরও দেখুন ==