ভারত অধিরাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''ভারত অধিরাজ্য''' ([[ইংরেজি]]: '''Union of India''' বা '''Dominion of India''') [[১৫ আগস্ট|১৫ অগস্ট]] [[১৯৪৭]] থেকে [[২৬ জানুয়ারি]], [[১৯৫০]] পর্যন্ত স্থায়ী একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। পরবর্তীকালে এই রাষ্ট্রটি [[ভারতীয় প্রজাতন্ত্র]] রূপে আত্মপ্রকাশ করে। যদিও ইংরেজি '''Union of India''' অর্থাৎ '''ভারত সংঘ''' কথাটি ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রীয় ফেডারেল ব্যবস্থা অর্থাৎ [[ভারত সরকার|কেন্দ্রীয় সরকার]] অর্থে এখনও ব্যবহৃত হয়।

১৯৪৭ সালে [[ব্রিটিশ রাজ|ভারতে ব্রিটিশ শাসনের]] সমাপ্তি ঘটলে [[ব্রিটিশ ভারত]] দ্বিধাবিভক্ত হয়ে [[ভারত অধিরাজ্য]] ও [[পাকিস্তান অধিরাজ্য]] গঠিত হয়। [[ব্রিটিশ পার্লামেন্ট|ব্রিটিশ পার্লামেন্টে]] বিধিবদ্ধ ''[[ভারতীয় স্বাধীনতা অধিনিয়ম ১৯৪৭]]'' অনুসারে উক্ত রাষ্ট্রদুটির মেয়াদ ছিল তাদের নিজস্ব সংবিধান প্রখ্যাপিত না হওয়া পর্যন্ত। ভারতের ক্ষেত্রে সংবিধান কার্যকর করার তারিখ ছিল [[২৬ জানুয়ারি]], [[১৯৫০]]; এই দিনই প্রতিষ্ঠিত হয় [[ভারতীয় প্রজাতন্ত্র]]।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরেই ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্য স্বশাসিত অধিরাজ্য রূপে [[কমনওয়েলথ অফ নেশনস|ব্রিটিশ কমনওয়েলথে]] যোগ দেয়। ভারত বিভাগের ফলে [[বাংলা প্রেসিডেন্সি|বাংলা]] ও [[পাঞ্জাব অঞ্চল|পাঞ্জাব]] – ব্রিটিশ ভারতের এই বৃহত্তম প্রদেশ দুটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়। স্বাধীনতা সমসাময়িক কালে কুড়ি লক্ষ মানুষ শরণার্থী হিসেবে সীমান্ত পার হন এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এক লক্ষেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। ভারত বিভাগের পর [[কাশ্মীর]] অঞ্চলের অধিকার নিয়ে দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয় এবং সূচনা হয় [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭|১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের]]।

[[ভারতীয় সংবিধান|ভারতীয় সংবিধানের]] ৩০০ নং ধারায় বলা হয়েছে, "ভারত সরকার ভারত সংঘ (Union of India) নামে মামলা করতে পারবে অথবা ভারত সরকারকে ভারত সংঘ নামে চিহ্নিত করে মামলা করা যাবে।" এই কারণে আইনি নথিপত্র ও বিচার প্রক্রিয়ায় ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারকে সর্বদা "সংঘ" বা "Union" নামে অভিহিত করা হয়। যদিও এই নামটি সাধারণ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না।