শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Iltutmush.jpg|right|thumb|সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ]]
'''সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ''' দিল্লির একজন তুর্কি শাসক ছিলেন। তিনি ১১৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেণ।
 
== জীবনী ==
তার ভাইয়েরা তার রুপ ও যোগ্যতায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে এক ক্রিতদাস বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেয়। বিক্রির পর তাকে বুখারার কাজী সদর জং কিনে নেন। বুখারায় তিনি ভাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পান। এর পরে তাকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়, সেখানে তাকে কুতুবউদ্দিন আইবেক কিনে নেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক তার যোগ্যতা খুশি হয়ে তাকে সার-জান্দার ( প্রধান প্রহরী ) হিসেবে নিয়োগ দেন। কঠোর প্ররিশ্রমের দ্বারা তিনি আমির-ই-শিকার এবং পরে গোয়ালিয়রের আমির হিসেবে উন্নিত হন। আইবেক তার কন্যাকে ইলতুতমিশের সাথে বিয়ে দেন। কুতুবউদ্দিন আইবেকের মৃত্যুর পর তার পুত্র শাসনভার গ্রহণের অযোগ্য প্রমানিত হলে তুর্কিরা তাকে সুলতান হিসেবে মনোনিত করে। ইলতুতমিশ একজন যোগ্য শাসক ছিলেন। তিনি জ্ঞানী, প্রশাষক ও উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের দেশে নিয়ে আসেন যারা মঙ্গল আক্রমণের সময় চলে গিয়েছিল। এদের নিয়ে ইলতুতমিশ এক শক্ত প্রশাষনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন।
 
== ধর্মপ্রান ইলতুতমিশ ==
তিনি ধর্মপ্রান ছিলেন এবং দরবেশদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতেন। কুতুবউদ্দিন বাখতিয়ার খাকি তার সময়ের একজন বিখ্যাত দরবেশ।
 
 
== স্থাপত্য ==
কুতুবউদ্দিন আইবেকের শুরু করা কুতুব মিনারের কাজ ইলতুতমিশের সময় শেষ হয়। তিনি আজমিরে একটি বিখ্যাত মসজিদ তৈরি করেণ।
 
== অর্থনীতি ==
ইলতুতমিশ প্রথম ভারতবর্ষে আরবি খচিত রৌপ্য মুদ্রা চালু করেণ। তার সময়ে বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা মুনতানজির বিল্লাহ ১২২৯ সালে ভারতে বিপুল বিনিয়োগ করেণ।
 
 
== সাম্রাজ্যের বিদ্রোহ দমন ও বিস্তার ==
ইলতুতমিশ একজন মহান শাসক ছিলেন। তিনি নতুন বিজিত অঞ্চলগুলোর বিদ্রোহ থেকে সম্রাজ্যকে রক্ষা করেণ। ঘুরি বংশের নাসিরউদ্দিন কুবাচাহ নিজ রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণা করে উচ, মুলতান এবং লাহোর দখল করে নেন। অন্যদিকে, তুর্কি বংশভত তাজউদ্দিন ইলদিজ গজনীতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেণ। ইলতুতমিশ দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নিয়ে তাদের উভয়কে পরাজিত করেণ। ১২২৫ সালে তিনি বাংলার খিলজী বংশের শাসক হুসামউদ্দিন ইয়াজকে পরাজিত করে বাংলা দখল করে নেন। তিনি সিন্ধুর সুম্রা শাসকের পরাজিত করেণ। ১২৩১ সালে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়রের কেল্লা অবরুদ্ধ করেণ। গোয়ালিয়রের শাসক মঙ্গল দেব একবছর পর পলায়ন করলে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়র শহর দখল করেণ। ইলতুতমিশ মালওয়া, বিলসা, উজ্জান দখল করেণ এবং দক্ষিণে তার সাম্রাজ্য নারবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত করেণ।
 
 
== বৈদেশিক সম্পর্ক ==