ফারেনহাইট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা? |
||
২ নং লাইন:
[[চিত্র:Raumthermometer Fahrenheit+Celsius.jpg|right|thumb|একটি থার্মোমিটারের, যার বাহিরের বৃত্তাকার স্কেল ফারেনহাইট এককে এবং ভেতরের স্কেল টি সেলসিয়াস এককে লিখা]]
'''ফারেনহাইট''' হল [[তাপমাত্রা]] পরিমাপের স্কেল, যা ১৭২৪ সালে প্রস্তাব করা হয় এবং জার্মান পদার্থবিদ [[ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইট]] (১৬৮৬–১৭৩৬) এর নামানুসারে নামকরন করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য [[সেলসিয়াস]] স্কেল ব্যবহৃত হচ্ছে।<ref name='metricusage'>{{cite web|url=http://lamar.colostate.edu/~hillger/internat.htm |title=Metric usage and metrication in other countries |accessdate=December 11, 2009 }}</ref> [[যুক্তরাষ্ট্র]] সহ আরও অল্প কিছু দেশ যেমন- [[ব্রাজিল|ব্রাজিলে]] এখনও ফারেনহাইট স্কেল ব্যবহৃত হচ্ছে।<ref name='belizeweather'>
== সংজ্ঞা এবং রূপান্তর ==
স্বাভাবিক বায়ুচাপে ফারেনহাইট স্কেলে পানির [[হিমাঙ্ক]] কে ধরা হয় ৩২ ডিগ্রী ফারেনহাইট (°F) এবং [[স্ফুটনাঙ্ক]] কে ধরা হয় {{nowrap|২১২ °F}}, এই দুই বিন্দুর মধ্যবর্তী অংশ কে ১৮০ ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ক্ষুদ্র ভাগকে বলা হয় ১ ডিগ্রী ফারেনহাইট।<ref name=math>[http://www.mathsisfun.com/temperature-conversion.html Conversion of Temperature]</ref> আবার সেলসিয়াস স্কেলে স্বাভাবিক বায়ুচাপে পানির গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্কের মধ্যবর্তী অংশ কে ১০০ ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি ভাগকে বলা হয় ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।<ref name=math/> এক ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা পার্থক্য হল {{frac|৫|৯}} ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার্থক্যের সমান।আর একটি মজার বিষয় হল,{{nowrap|−৪০ °F}} এবং {{nowrap|−৪০ °C}} একই তাপমাত্রা নির্দেশ করে।<ref name=math/> ফারেনহাইট স্কেলে [[পরম শূন্য]] তাপমাত্রা হল {{nowrap|-৪৫৯.৬৭ °F }} ।<ref>[http://www.unitarium.com/temperature Temperature Units Converter]</ref> আবার [[রানকিন স্কেলে|রানকিন]] (Rankine scale) তাপমাত্রা পরিমাপক স্কেলে এক ডিগ্রী রানকিন {{nowrap|(1 °R)}} হল, এক ডিগ্রী ফারেনহাইট এর সমান। রানকিন স্কেল এবং ফারেনহাইট স্কেলের মধ্যে পার্থক্য হল {{nowrap|০ °R}} পরম শূন্য তাপমাত্রা নির্দেশ করে, আর {{nowrap|৩২ °F}} পানির হিমাঙ্ক নির্দেশ করে।
{| class="wikitable" style="text-align:left"
২৮ নং লাইন:
ফারেনহাইট ১৭২৪ সালে তাঁর দিনপঞ্জীতে লিখেন,<ref name = 'ftempsc'/> তিনি তাঁর তাপমাত্রা পরিমাপক স্কেল টি দাঁড়া করিয়েছেন ৩ টি তাপমাত্রা সাপেক্ষে। সেগুলোর প্রথম টি হল [[বরফ]], পানি এবং [[অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড]] এর মিশ্রণের তাপমাত্রা, যাকে তিনি {{nowrap|০ °F}} বলেছেন। পরের তাপমাত্রা হল পানি এবং বরফের মিশ্রণের তাপমাত্রা, যা {{nowrap|৩২ °F}} নির্দেশ করে।<ref>{{cite book |title=Physics for Future Presidents |last=Muller |first=R.A. |year=2009 |pages=2-5, 2-17 |url=http://physics.berkeley.edu/academics/Courses/physics10/teaching/Physics10/PffP_textbook_F08/PffP-02-heat-F08.pdf |accessdate=20 February 2010}}</ref> শেষ তাপমাত্রা টি হল {{nowrap|৯৬ °F}} যা মানব দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা। এছাড়া তাঁর স্কেল অনুসারে পারদের স্ফুটনাঙ্ক হল {{nowrap|৬০০ °F}}।
পরবর্তিতে বিজ্ঞানীরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন পানির স্ফুটনাঙ্ক, তার হিমাঙ্কের চেয়ে প্রায় ১৮০ ডিগ্রী বেশি। তাই তারা পানির স্ফুটনাঙ্ক এবং হিমাঙ্কের মধ্যবর্তী পার্থক্য পুরোপুরি ১৮০ ডিগ্রী ধরে ১ ডিগ্রী ফারেনহাইটের সংজ্ঞা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।<ref name='ftempsc'>
বন্ধু [[হারমেন বোরহেভ]] (Herman Boerhaave) এর কাছে লিখা এক চিঠিতে ফারেনহাইট জানান তিনি ফারেনহাইট স্কেল তৈরি করেছেন [[ওল রোমার]] (Ole Rømer) নামে একজন গবেষকের উদ্ভাবিত [[ওল রোমার স্কেল]] এর ভিত্তিতে।<ref>Ernst Cohen and W. A. T. Cohen-De Meester. ''Chemisch Weekblad'', volume 33 (1936), pages 374–393, cited and translated in http://www.sizes.com:80/units/temperature_Fahrenheit.htm</ref> ওল আরমার তাঁর উদ্ভাবিত স্কেলে ২ টি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সাপেক্ষে। একটি হল [[ব্রাইন]] এর হিমাঙ্ক (শূন্য ডিগ্রী) এবং অপরটি পানির স্ফুটনাঙ্ক (৬০ ডিগ্রী)। ফারেনহাইট হিসেব করে দেখেন এ স্কেল অনুসারে পানির হিমাঙ্ক হয় ৭.৫ ডিগ্রী। ফারেনহাইট এই ভগ্নাংশ দূর করার জন্য ''ওল রোমার'' স্কেলের সব কিছুকে চার দিয়ে গুণ করেন। তিনি পানির হিমাঙ্ক এবং মানব শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার মধ্যবর্তী তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য নতুন করে একটি স্কেল তৈরি করেন। তাঁর নতুন স্কেল উদ্ভাবনের কারণ হল এর মাধ্যমে ৩২ ডিগ্রী এবং ৯৬ ডিগ্রী তাপমাত্রার মথ্যবর্তী স্থানকে খুব সহজে ৬ বার সমদ্বিখন্ডিত করে দাগাঙ্কন করা যায় ( কারণ (৯৬-৩২) = ৬৪ = ২<sup>৬</sup>)।<ref>{{cite web
৩৯ নং লাইন:
[[১৯৬০|১৯৬০ সাল]] পর্যন্ত বেশ কিছু ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে ফারেনহাইট স্কেল ছিল আবহাওয়া, চিকিৎসা এবং কলকারখানায় ব্যবহৃত প্রাথমিক তাপমাত্রা পরিমাপক একক। ১৯৬০, ১৯৭০ সালের পর থেকে এসব দেশ একক আদর্শকরনের অংশ হিসেবে [[সেলসিয়াস]] স্কেল (যা ১৯৪৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত সেন্টিগ্রেড স্কেল নামে পরিচিত ছিল), গ্রহণ করা শুরু করে, যা [[মেট্রিকায়ন]] নামে পরিচিত।
শুধুমাত্র [[যুক্তরাষ্ট্র]] এবং অল্প কিছু দেশ ([[ব্রাজিল]]<ref name='belizeweather'>
যুক্তরাষ্ট্রে আবহাওয়া পূর্বাভাষ, রান্না করার তাপমাত্রা এবং হিমায়ন তাপমাত্রা সাধারণত ডিগ্রী ফারেনহাইটে বলা হয়। [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রের]] ফারেনহাইট স্কেলে থেকে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ দেখানো হয়।<ref>[http://books.google.com/books?id=xRMPAAAAYAAJ&pg=PA165&dq=centigrade+too+large&lr=&as_brr=0&as_pt=ALLTYPES#PPA166,M1] Halsey, Frederick A., Dale, Sanuel S., "The metric fallacy," The American institute of weights and measures, Second Edition, 1919. Pages 165-166, 176-177. Retrieved May 19, 2009</ref> যদিও [[নিউজিল্যান্ড]] এবং [[অস্ট্রেলিয়া|অস্ট্রেলিয়ার]] মত অনেক দেশ যারা আগে ফারেনহাইট স্কেল ব্যবহার করত, তারা একে সেকেল মনে করে সম্পূর্নরূপে সেলসিয়াস স্কেল গ্রহণ করেছে।<ref>[http://nomorewinter.com/nzinfo/moneyandmetrics.htm] Information about New Zealand's money and metric measures</ref>
|