হীরক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
২৪ নং লাইন:
 
'''হীরক''' বা '''হীরা''' সর্বাপেক্ষা মূল্যবান একটি রত্ন যা গহনা তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হয়। বর্ণহীন এ রত্নটি একটি মাত্র বিশুদ্ধ উপাদান [[কার্বন]] থেকে সৃষ্ট। অন্য ভাষায় হীরক কার্বনের একটি বিশেষ রূপ মাত্র। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ২৬০০০ কে.জি. খনিজ হীরা উত্তোলিত হয় যার মূল্য প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। কথিত আছে, হীরক সর্বপ্রথম [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতবর্ষে]] মূল্যবান হিসেবে খনি থেকে উত্তোলন ও ব্যবহার করা শুরু হয়। হীরা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে কমপক্ষে ৩ থেকে ৬ হাজার বছর ধরে পরিচিত বলে অনুমান করা হয়। মানুষের জানা সকল প্রাকৃতিক পদার্থ থেকে হীরা অনেক বেশি শক্ত এবং এটি দিয়ে উচ্চতম তাপমাত্রা পর্যন্ত কাজ সম্ভব। হীরাকে আদর্শ ধরে তৈরি করা [[:en:Mohs Scale of mineral hardness|Mohs Scale of mineral hardness]] ১-১০এ অনুযায়ী হীরার কাঠিন্য ১০।
ভূ-অভ্যন্তরে প্রায় ১৪০ থেকে ১৯০ কি.মি. নিচে [[পৃথিবীর কেন্দ্র]] ও পৃথিবীর আবরণের মাঝে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে হীরা গঠিত হতে প্রায় ১ থেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর সময় লাগে বলে বৈজ্ঞানিকদের ধারণা। গবেষকদের মতে, সকল হীরাই পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে এমন নয়; পৃথিবীতে এমন অনেক হীরা পাওয়া গেছে যেগুলো পৃথিবীর বাইরে তৈরী।
 
== মূল্যমান নিরূপণ ==
হীরার মূল্য কেমন হবে তা নির্ভর করে চারটি বিষয়ের উপর। যথা – রং কিরূপ, কীভাবে কাটা হয়েছে, কতটা স্বচ্ছ প্রকৃতির এবং কত [[ক্যারেট]] ওজনের। ক্যারেট স্বর্ণের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতার একক। মানে যে কোন স্বর্ণের ২৪ ভাগের কত ভাগ স্বর্ণ তা বোঝাতেই ক্যারেট ব্যবহৃত হয়। ২৪ ক্যারেট বলতে বোঝায় ২৪ ভাগের ২৪ ভাগই স্বর্ণ অর্থাৎ ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণ (যা ব্যবহারের অনুপযোগী)। আর রত্নপাথরের ক্ষেত্রে ক্যারেট হচ্ছে ভরের একক। এক্ষেত্রে ১ ক্যারেট = .২ গ্রাম বা ২০০ মিলিগ্রাম। খনিজ হীরক এবং অলঙ্কারের জন্য প্রস্তুত কাটা হীরার মাঝে মূল্য পার্থক্য ব্যাপক।
 
== রক্ত হীরক ==
[[আফ্রিকা মহাদেশ|আফ্রিকায়]] হীরার প্রচুর খনি আছে। এ সব হীরা থেকে প্রাপ্ত অর্থ যুদ্ধ, হানাহানি, সন্ত্রাস ইত্যাদির অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়। এজন্যে এরূপ হীরাকে '''[[রক্ত হীরক]]''' নামে অভিহিত করা হয়।
 
== হীরার খনি ==
১১৪ নং লাইন:
 
== বাংলাদেশে হীরক ==
বাংলাদেশে হীরার কোনো খনি নেই। তবে হীরকখচিত গহনার ব্যবহার প্রচলিত। পাশ্চাত্য রীতি অনুযায়ী হীরকখচিত অঙ্গুরীয় ব্যবহার বিংশ শতকের শেষার্ধে বৃদ্ধি লাভ করে। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে প্রথম হীরক কাটার কারখানা স্থাপিত হয়। আমদানীকৃত খনিজ হীরা (Rought diamond) ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে হীরক উৎপাদন শুরু হয় ২০০০-এর গোড়ার দিকে। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম কাটা হীরা ইউরোপে রপ্তানী হয়। কাটা হীরার এই চালানটি বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প ডায়মণ্ড মার্কেটে বিক্রয় হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/হীরক' থেকে আনীত